আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও তাহার লাইব্রেরী (অস্ত্রাগার) !!

জীবনকে এমন ভাবে সাজান যেন আপনার ব্যক্তিগত ডায়েরীটা কখনো লুকাতে না হয়। শিরোনাম দেখেই গালাগাল শুরু করবেন না। রাবির সর্বশেষ ঘটনার বিভিন্ন প্রতিবেদন দেখে রাবির লাইব্রেরীর একটা তালিকা পাইলাম যা কিনা রাবি ক্যাম্পাসের গোয়েন্দা বিভাগ কর্তৃক তৈরী। সৌভাগ্যবশত(!) অপ্রকাশিত বা আধা প্রকাশিত। কথা বাড়িয়ে কথার মারপ্যাচে যাওয়ার ইচ্ছে নাই।

খবরটা জানিয়ে দিই। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ সভাপতি আহমেদ আলী তার বিশ্বস্ত সহযোগী তুহিন,কৌশিক,সেতু,রাজিব ও তানিমকে সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে রেখেছেন। অস্ত্রগুলো মজুদ রাখা হয় শেরে বাংলা হলের ২০৬,২০৮,২১২ ও ২১৩ নাম্বার কক্ষে। অপরদিকে ছাত্রলীগ সেক্রেটারী আবু হোছাইন বিপু তার একনিষ্ট কর্মী তাকিম,সালাম,আতিক,জুয়েল ও মামুনের কাছে আটটি আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে রেখেছেন। শাহ মখদুম হলের ২০০,২৫৩,২৫৪ ও ২৫৬ নাম্বার কক্ষ এবং সহীদ হাবিবুর রহমান হলের ২৩৭ নাম্বার কক্ষ হলো বিপু গ্রুপের অস্ত্রাগার।

মঙ্গলবার বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া ও সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে গুলি ছোড়ার যে ছবি ও ভিডিও ফুটেজ দেখানো হয় তাতে উপরেল্লেখিত ব্যক্তিদের অস্ত্র হাতে দেখা যায়। উল্লেখিত অস্ত্রাগার সম্পর্কে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অবগত আছে। যে ঘটনা ঘটেছে তার ব্যাপারে আমার কোন মাথা ব্যাথা নাই। রাবিতে গত চার বছরে চার জন খুন হয়েছে যদি আমার হিসেব ভুল না হয়ে থাকে। অস্ত্রাগার গুলো ধবংস না হলে হয়তো আরো কিছু মানুষের জান কবজ হতে পারে।

বৃটিশ শাসনামলে ভারতবর্ষের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সাইনবোর্ড লাগানো থাকতো - " Dogs And Indians not Allowed" আমরা কি লাগাতে পারি?? "ছাত্রলীগ ও কুকুর হতে সাবধান" - হা এইটাই চলবে। পোষ্টটি প্রকাশ করার সাথে সাথে কিছু ছাত্রলীগ এসে আমাকে রাজাকার বানাবে। আর কোনভাবে পুলিশের নজরে গেলে আমাকে জেলেও ডাকা হতে পারে। ওনাদের বলবো - আমাকে নয়, ঐ অস্ত্রাগারের একটা ব্যবস্থা করেন। নয়তো কবি নজরুলের সাথে কন্ঠ মিলায় বলতে হবে - "আমি কোন রাজার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করি নাই, আমার বিদ্রোহ অন্যায়ের বিরুদ্ধে।

" সোনার ছেলেদের কর্মকান্ড গুলো যদি দেখভাল না করেন তাহলে কিছু দিন পর সোনার ছেলেরা পিতলের ছেলে রূপান্তরিত হবে সাথে দেশটাও। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।