আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশ যখন অভ্যন্তরীন এবং বাহ্যিকভাবে আক্রন্ত কিছু অমানুষ দ্বারা

খুজে ফিরি আমি আলোর ঠিকানা। কিছুদিন আগেই বি,এস,এফ মহাপরিচালক বলেগেছেন যে সিমান্তে হত্যাকান্ড শুন্যে নিয়ে আসা হবে ধীরে ধীরে। কিন্তু তাদের মুখে এক কথা আর পেটে যে এক কথা তারই প্রমান আবার করে গেল গতকাল বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে বাংলাদেশিকে হত্যা করে বিএসএফ। বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের ৪ দিনের সম্মেলন শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএসএফ মহাপরিচালক ইউকে বানসাল বলেন, এ বছর “বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে” ছয় বাংলাদেশী হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। কি আর্শ্চয তাদের পরিসংখান! শিবগঞ্জ উপজেলার মাসুদপুর সীমান্তে গতকাল এক বাংলাদেশিকে রাইফেলের বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

এছাড়া এ ঘটনায় আরও চারজন আহত হন। আর নিখোঁজ রয়েছেন প্রায় ১৮ বাংলাদেশি নাগরিক। শিবগঞ্জ উপজেলার মাসুদপুর সীমান্তে গতকাল এক বাংলাদেশিকে রাইফেলের বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এছাড়া এ ঘটনায় আরও চারজন আহত হন। আর নিখোঁজ রয়েছেন প্রায় ১৮ বাংলাদেশি নাগরিক।

বিজিবি ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল ভোর ৪টার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার মাসুদপুর সীমান্তের পদ্মার চরে কয়েকজন বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ীকে ভারতীয় নিমতিতা বিএসএফ ক্যাম্পের জওয়ানরা স্পিডবোটে ধাওয়া করে আটক করে। এমনকি নদীতে সাঁতার কাটা অবস্থায় বিএসএফ তাদের শরীরের ওপর স্পিডবোট উঠিয়ে দেয়। এরপর তাদের ধরে পদ্মা নদীর চরে নিয়ে রাইফেলের বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে ফেলে রেখে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন এনামুল। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী আহত মঙ্গলা ও মোসলেমকে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

অন্যরা গোপনে অন্যত্র চিকিৎসা গ্রহণ করেন। এছাড়া ১৮ বাংলাদেশিকে আটক করে ভারতে নিয়ে গেছে বিএসএফ। এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ৯ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের অধিনায়ক লে. কর্নেল মঞ্জুরুল আলম বলেন, ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে শুধুই কি আমরা মৌখিক প্রতিবাদেই চুপ করে বসে থাকব? অধিকার এমন একটি বিষয় যা অত্যাচারী কখনোই এমনি এমনি দিয়ে দেয় না। আর দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে সবারই উচিৎ সোচ্চার হওয়ার।

কিন্তু এক সন্দেহজনক ভাবেই আমাদের সীমান্তরক্ষীবাহিনীরা চুপচাপ তামাশা দেখে যাচ্ছে। আমাদের জানা মতে সামরিক আর আধাসামরিক বাহিনীতে চেইন অব কমান্ড মেনে চলা হয় অত্যন্ত কঠিনভাবে। সুতরাং স্বাভাবিকভাবেই আমাদের সিমান্তরক্ষীবাহিনী তাদের উপরের আদেশছাড়া একচুল পরিমানও এগোতে বা পেছাতে পারবেনা। সবচেয়ে দুখঃজনক ব্যপার হলো মহাজোট ক্ষমতায় আসার পরই পরই আমাদের বিডিআর বাহিনী ভেংগে যায় যা অনেক ঘটনার আড়ালে চাপা পরে গেছে বেশ ভাল ভাবেই। আর এই ভেংগে যাওয়ার পর পরই ভারতীয় বাহিনী অধিকহারে ব্যাপরোয়া হয়ে উঠতে থাকে।

কিন্তু রহস্যজনকভাবেই এই সরকার ক্ষমতায় আসার সাথে সাথেই এমনটি একতরফা শক্তি প্রয়োগের এক মহোৎসবে নেমেছে পাশের হিংস্র দেশ ভারত। যারা নিজেদের আঞ্চলিক পরাশক্তি বলে দাবি করে। এক একাত্তুরের দোহাই দিয়ে এক রকম ধর্ষনই করে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকলে। ভারত কখনোই এত দেমাগ দেখাতে পারত না যদি না সরকারের এমন নমনীয় আচরন আগে থেকেই বন্ধ করা যেত। ৭১-আমাদের পাকিস্তান যেভাবে নিরীহ লোকজনদের হত্যা করেছে তাতে তারা যদি ঘাতক হয় আর তাদের প্রতক্ষ্য এবং পরোক্ষভাবে সাহায্যকারীরা এখন যদি হয় যুদ্ধাপরাধী, তবে ভবিষ্যতে ভারতীয় বাহিনীরাও হবে ঘাতক আর আওয়ামীলীগ সরকার হবে যুদ্ধাপরাধী।

আর এভাবেই তাদেরও বিচারের জন্যও সর্বত্র থেকে আওয়াজ আসবে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.