এক সময়ে আমিই ছিলাম দুনিয়ার সবচাইতে উচু ভবন। সে প্রায় চল্লিশ বছর এই টাইটেলটা ধরে রেখেছিলুম। তারপর ১৯৭২ এ এলো ওয়ারল্ড ট্রেড সেন্টার, হয়ে গেল সে চ্যাম্পিয়ন। এরপর তো অনেকেই এসেছে আর হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন! অবশ্য সবচেয়ে উঁচু ভবন এর মধ্যে অনেক রকম সংজ্ঞা আছে্। যাক সেটা অন্য প্রসংগ।
আমি থাকি নিউইয়র্কের ম্যানহাটান এলাকার ফিফথ এভিন্যুতে।
আমার উচ্চতা এমনিতে ১২৫০ ফুট আর এন্টেনা নিয়ে ১৪৫৪ ফুট। আমার নামকরণ হয় নিউইয়র্কের নিজ নাম 'এম্পায়ার স্টেট' থেকে।
আমাকে তৈরি করা হয় ১৯৩১ সালে মাত্তর দেড় বছরের মধ্যে! ওহ আপনি বাংলাদেশি, তাহলে ভাবুন তো আজ থেকে ৮১ বছর আগে এরকম একটা ভবন তৈরী করা খুব একটা সহজ ব্যাপার ছিল কিনা।
১০২ তলার আমি, আমার মালিকের নাম W & H Properties যারা আমাকে সেই আমলে প্রায় চার কোটি নয় লাখ ডলারে বানায় যা আজকের দামে প্রায় ৫০ কোটি ডলার হবে (২০১০ সালে)।
আমার আছে ৭৩ খানা এলিভেটর, মোট ফ্লোর স্পেস প্রায় ২২,৪৮,৩৫৫ বর্গ ফুট। আমার উপর থেকে ঝাপ দিয়ে এ পর্যন্ত ৩০ জন মানুষ আত্মহত্যা করেছেন।
হ্যাঁ মনে পড়েছে ২০০১ সালে টুইন টাওয়ার ধ্বংশ হওয়ার পর আবার আমি আমেরিকার সবচাইতে উঁচু ভবন হয়ে গেছিলাম। অবশ্য এখন অনেক ভবন আমার চাইতে উঁচু আছে যেমন ট্রাম্প টাওয়ার
বা শিকাগোর 'উইলিস টাওয়ার' যাকে আপনারা এককালে সিয়ার্স টাওয়ার হিসেবে জানতেন, আর সেটার স্হপতি কে জানেন, আপনাদের দেশের মরহুম জনাব ফজলুর রহমান খান।
(১৯২৯- ১৯৮২)
আমাকে উপর দাড়িয়ে ম্যালা দিন আগে ফিলমে কিংকং সাহেবের সে কি দাপট!
১৯৪৫ সালে একটা যুদ্ধ বিমান B-25 Michelle আমাকে আঘাত করে।
কিছু ক্ষতি হয়েছিল তবে পরের সোমবারেই আবার খুলে দেয়া হয় আমাকে, হুঁ বাওয়া এর নাম আমেরিকা।
আসেন আমেরিকার চকলেট খাই।
সুত্র: উইকিপিডিয়া
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।