আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মুসলিম জাহানের পুড়ছে ঘর, সরকার শুকিয়ে নিচ্ছে তার ভেজা কাপড়ঃ মিনার রশীদ

মানবিক দায় ও বোধহীন শিক্ষা মানুষকে প্রশিক্ষিত কুকুরে পরিণত করে....আইস্ট্যাইন। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা রাষ্ট্র ক্ষমতা দান করেন আবার যার কাছ থেকে ইচ্ছা সেই রাষ্ট্র ক্ষমতাটি কেড়ে নেন। শেখ হাসিনা যখন ক্ষমতায় আসেন আর বেগম খালেদা জিয়া যখন ক্ষমতা থেকে বিদায় নেন তখন আল কোরআনের এই বাণীটি খুবই প্রীতিকর ও যুক্তিযুক্ত বলে মনে হয়। ক্ষমতা হাতে পেয়ে বেশ কয়েকবার শেখ হাসিনা নিজে এই বাণীটি প্রশান্তি সহকারে বলেছেন। কিন্ত পালাবদলের সময় এই আধ্যাত্মিক ভাবনাটি তার মাঝে আর কাজ করে না।

তখন সূক্ষ্ম কিংবা স্থূল কারচুপির তত্ত্বই বেশি করে মনের মধ্যে ভর করে। অন্যদিকে ক্ষমতা ‘দেওনের’ মালিক হিসেবে আল্লাহকে বিশ্বাস করলেও ভালো ফসল দেওনের মালিক মনে করেন ‘মা দুর্গা’কে। এই ব্যাপারে শেখ হাসিনার ধর্মীয় পলিসি দেখে আমাদের এক আত্মীয়ের দাম্পত্য পলিসির কথা মনে পড়ে যায়। ভদ্রলোক স্ত্রীর সামনে গিয়ে নিজের মাকে আচ্ছামতো গালি দেন। আবার মায়ের সামনে গিয়ে স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে দেন আচ্ছামতো গালি।

মা আর বউকে ম্যানেজ করার চমৎকার পদ্ধতি। তবে মা একটু বোকা কিসিমের হওয়ায় এই পলিসি তার জন্যে কোনো বিড়ম্বনার সৃষ্টি করেনি। হাজি-ক্যাম্পে গিয়ে জেহাদি স্পিরিটে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন, প্রিয় নবীজীর উপর অপবাদকারী ‘পাঁজিদের’ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া দরকার। কিন্তু পাজি-ক্যাম্পে গিয়ে বিশ্বব্যাংক, জাতিসংঘের সংস্কারের কথা বললেও আসল কথাটিই বলতে ভুলে গেলেন। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট, মিসরের প্রেসিডেন্টসহ অন্য অনেকে এই কথাটি তুললেও তিনি গাইলেন তখন অন্য ‘শিবের গান’।

ইসলামোফোবিক পশ্চিমাদের মনে ‘বাঘ আসছে বাঘ’ এই ভয়টি আবারো জাগানোর চেষ্টা করলেন। এই ফোবিয়ায় আক্রান্ত হলেও পশ্চিমা শক্তি কিছুটা টের পেয়েছে যে তার রাজনৈতিক বিরোধীদেরই তিনি জঙ্গি হিসেবে মনে করেন। প্রতিটি অ্যাম্বেসিতে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে জঙ্গিবাদের পুরনো ক্যাসেটটি আবার বাজাতে। যে ক্যাসেট শুনে বিল ক্লিনটন ঢাকায় এসে আমেরিকান অ্যাম্বেসির বাইরে পা রাখতে সাহস করেননি। মনে মনে ‘জেসাস’ জপে জপে কয়েক ঘণ্টা পার করেছিলেন।

নতুন করে এই ক্যাসেট বাজানোর মাজেজাটিও স্পষ্ট। ৭০ লাখের কালো বিড়াল থেকে শুরু করে ২৬শ কোটি টাকার হুলো বিড়াল (হলমার্ক) সরকারের আরামের কাঁথাটি সত্যিই ভিজিয়ে ফেলেছে। পৌষের কনকনে রাতে সেই ভিজে কাঁথায় শুয়ে আছে সরকার। ‘ইনোসেন্স অব মুসলিমস’ সারা বিশ্বে যে দাবানল প্রজ্জ্বলিত করেছে তাতে সরকার কিছুটা আশার আলো দেখতে পাচ্ছে। ৯/১১-এ যে আগুন লেগেছিল তার তেজ এখন কমে গেছে।

নতুন তেজের এই আগুন দিয়েই সরকার তার ভেজা কাঁথাটি শুকিয়ে নিতে চাচ্ছে। শেখ হাসিনার অপেক্ষাকৃত কম বুদ্ধিওয়ালা ভোটার ও সমর্থকগণ উপরে বর্ণিত মায়ের মতোই। নেত্রী যা বলেন তাতেই বিশ্বাস করেন। বেশি বুদ্ধিওয়ালারা সব সময় এক ধরনের ইসলামাতঙ্কে ভোগেন এবং তজ্জন্যে শেখ হাসিনাকে ছাড়া দুই চোখে অন্ধকার দেখেন। আর সামান্য স্কুল শিক্ষিকা থেকে যারা সরাসরি সোনালী ব্যাংকের পরিচালক বনে যান এবং এখন ৮৭ লাখ টাকার গাড়ি হাঁকান তারা কেন সমর্থন করবেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

গণতান্ত্রিক ও অন্যান্য মানবিক মূল্যবোধ থেকে পুরোপুরি দেউলিয়া হয়ে স্বাধীনতাযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দলটি মূলত এই তিনটি শ্রেণীর অন্ধ ও বাধ্যবাধক সমর্থনের উপর টিকে রয়েছে। মানবিক প্রজ্ঞা, সকল যুক্তি ও লোক-লজ্জাকে নির্বাসনে পাঠিয়েছে। বিবেকবান ও যুক্তিশীল মানুষের পক্ষে আওয়ামী লীগের উপর নৈতিক সমর্র্থন অব্যাহত রাখা সত্যিই কঠিন হয়ে পড়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রায় নিয়ে পুরো বিচার ব্যবস্থাকেই খেলো বানিয়ে ফেলা হয়েছে। সংক্ষিপ্ত রায়ে ছিল এক কথা।

পূর্ণাঙ্গ রায়ে দেখা যাচ্ছে অন্যকথা। যা সরকারেরই মনের কথা। অর্থাৎ কনে দেখানো হয়েছে একজনকে। বাসর ঘরে ঢোকানো হয়েছে অন্যজনকে। জনগণকে এই কনে নিয়েই এখন ‘ঘরসংসার’ করতে হবে।

আমির হোসেন আমুর মতো নেতাও বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আর কোনো যুক্তি নেই। ১৯৯৬ সালে যুক্তি ছিল। কারণ তখন শেখ হাসিনা এটা চেয়েছিলেন। নির্বাচন নিয়ে সরকারের বিভিন্ন ক্যারিক্যাচার দেখে সরকারের মনের কথাটি সবচেয়ে সুন্দরভাবে প্রকাশ করেছেন এবিএম মূসা, ‘সংসদে আইন পাস করে সরকারের মেয়াদ আরো পাঁচ বছর বাড়িয়ে নিলেই সমস্ত ল্যাঠা চুকে যায়। ’ সবকিছুতে চরম হতাশ সর্বজন শ্রদ্ধেয় সাংবাদিক ও প্রাক্তন আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি সরকারের লোক দেখা মাত্র ‘তুই-চোর’ বলার পরামর্শ দিয়েছেন।

সমালোচকদের সমালোচনা, সুহƒদদের উপদেশ, অনুরোধ বা গোস্বার প্রতি থোরাই কেয়ার করছে এই সরকার। সকল ধরনের বিরোধিতা নির্মূল করাই এখন সরকারের একমাত্র টার্গেট। সেই লক্ষ্যে র‌্যাবকে এখন রক্ষী বাহিনী বানিয়ে ফেলা হয়েছে। ড. কামাল হোসেনের মতো দৈহিক ও রাজনৈতিকভাবে হƒষ্টপুষ্ট মানুষটিও গুম আতঙ্কে পড়ে গেছেন। দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি ও পুরো সমাজকে অশান্ত করে এই অশান্তি বেগমরা জাতিসংঘে গিয়ে ‘ শান্তির মডেল’ ঘোষণা করেছেন! বিএনপি-জামায়াতকে জঙ্গিবাদী দেখাতে গিয়ে প্রকারান্তরে পুরো দেশটিকেই চরম বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।

বিদেশের এয়ারপোর্টে কিংবা ভিসা অফিসে যে অফিসারটি বসে রয়েছেন তার মনে এই ভয়টি জেগে গেলে আওয়ামী লীগার ও নন-আওয়ামী লীগারের মধ্যে কোনো পার্থক্য করবে না। তখন ইমিগ্রেশন অফিসারের সামনে গগনবিদারী ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিলেও কোনো কাজে আসবে না। ওদের চোখে ‘শেখ ওসামা বিন লাদেন’ আর ‘শেখ হাসিনা বিনতে মুজিব’ সবই একাকার। আপনি ফারুক খান হন আর শাহরুখ খান হনÑ ইমিগ্রেশন অফিসার বলবে, নেভার মাইন্ড। ওপেন ইউর বেল্ট অ্যান্ড সুজ।

এতে আপত্তি করলে হয়তোবা প্যান্টটিও খুলে ফেলার নির্দেশ আসতে পারে। কাজেই শেখ হাসিনার এমন প্রচারণা খালেদা জিয়ার কতটুকু ক্ষতি করছে জানি না। তবে মারাত্মক ক্ষতি করছে এক কোটির উপরে প্রবাসীদের যারা জীবিকার জন্যে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে রয়েছেন। ইমিগ্রেশন নামক পুলসিরাত যাদেরকে প্রায়ই পার হতে হয়। মুখে বিভিন্ন রাজনৈতিক স্লোগান থাকলেও এই সব পুলসিরাতে এসে সবার অন্তরেই ‘আল্লাহ’ ‘আল্লাহ’ জপটি চলে আসে।

গরিব এই দেশটির অন্যতম বড় বৈদেশিক মুদ্রার জোগানটি আসে শ্রমশক্তি রপ্তানি থেকে। বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে জঙ্গিবাদের এই প্রচারণাটি কতটুকু ভয়ঙ্কর হচ্ছে তা বোঝার মতো প্রজ্ঞা আওয়ামী লীগের কখনোই ছিল না। এ ব্যাপারে সরকার নাকি বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে ফেলেছে! সেই ‘উজ্জ্বল মুখ’টি দেখতে খুব বেশি দূরে যাওয়ার দরকার নেই। ইন্ডিয়ার কোনো নাবিক চিটাগাং বা মংলা পোর্টে সহজেই নামতে পারেন। কিন্তু বাংলাদেশের কোনো নাবিক ইন্ডিয়ার কোনো পোর্টে নামতে পারেন না।

ইন্ডিয়ার ইমিগ্রেশনের দৃষ্টিতে আমাদের স্ট্যাটাস হলো পাকিস্তানের পর্যায়ে। তবে পাকিস্তান ‘টিট ফর ট্যাট’ করলেও আমরা আজও সেই একতরফা প্রেমিকই সেজে বসে আছি। ঢাকা পুরোপুরি দিল্লির রাডারের আওতায় আসার পরেও এই অবস্থার কোনো উন্নতি হচ্ছে না। যে বিএনপি-জামায়াত জোটকে জঙ্গিবাদের প্রশ্রয়দাতা বলে প্রচারণা চালানো হয়েছে তাদের সময়েই বাংলাভাইসহ জেএমবির সকল নেতাকে পাকড়াও করা হয়েছিল। দ্রুত বিচার সমাধা করে ফাঁসির আদেশও চারদলীয় জোট সরকারের আমলেই দেওয়া হয়েছিল।

সেই ফাঁসি কার্যকর করেছিল মইনউদ্দীন-ফখরুদ্দীনের সরকার। কাজেই এদেশের প্রথম শক্তি, দ্বিতীয় শক্তি ও তৃতীয় শক্তির কেউই এই জঙ্গিবাদের সমর্থক ও প্রশ্রয়দাতা নয়। যতদূর মনে পড়ে জঙ্গিবাদের মোকাবিলায় তখন সবচেয়ে বড় ভূমিকাটি রেখেছিল এদেশের লাখ লাখ মসজিদ। তা না হলে এই নাটের গুরুরা এত সহজে ধরা পড়ত না। আজকে বিভিন্ন কারণে বিতর্কিত র‌্যাবও তখন প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখেছিল।

আওয়ামী লীগের নেতা ও বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে সমস্যাটি হলো, ওরা শুধু বলতেই থাকে। কারো কোনো কথা শুনতে চায় না। এটাই মৌলবাদিতার লক্ষণ। কারণ মৌলবাদিতা শুধু ধর্মীয় বলয়েই সৃষ্টি হয় না। রাজনৈতিক বলয়েও সৃষ্টি হতে পারে।

ধর্মীয় ফ্যানাটিসিজমে যোগ হয় উš§ত্ত আবেগ। রাজনৈতিক ফ্যানাটিসিজমে যোগ হয় সীমাহীন লোভ আর লালসা। কাজেই ধর্মীয় ফ্যানাটিকদের চেয়েও এদেশের মানুষের টেনশন বেড়েছে এই রাজনৈতিক ফ্যানাটিকদের নিয়ে। ১৯৭১-এর ভূমিকার জন্যে এদেশের রাজনীতিতে অচ্ছুৎ জামায়াতে ইসলামীকে রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্যতাটি ফিরিয়ে দেয় আওয়ামী লীগ। ১৯৯৬ সালে এক মঞ্চে বসে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আন্দোলন করে।

অধ্যাপক গোলাম আযমের কাছে নিজেদের প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে পাঠায় কদমবুছির জন্যে। তাদের হাত ধরেই বিএনপি-জামায়াতকে আরো কাছে টানার সুযোগ ও সাহসটি পায়। ১৯৯৬ সালে মাওলানা নুরুল ইসলাম ও ফয়জুর রহমানের গাড়িতে পতাকা তুলে দেয় আওয়ামী লীগ। কাজেই ২০০১ সালে নিজামী ও মুজাহিদের গাড়িতে পতাকা তুলে দিতে বিএনপিকে খুব বেশি ভাবনা ভাবতে হয়নি। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এই কৃষ্ণর বেলায় সবকিছু লীলাখেলা (কৌশলগত ঐক্য) আর অন্যের বেলায় পাপ।

সংসদীয় গণতন্ত্রে ভোটের হিসাবে বিএনপি-জামায়াত জোটটি আওয়ামী বলয়ের জন্যে মারাত্মক হয়ে পড়ে। এই জোটটিকে জব্দ করার জন্যেই সম্ভবত জঙ্গিবাদের জš§টি তখন অপরিহার্য হয়ে দেখা দেয়। জঙ্গিবাদ যদি এদেশের কোনো রাজনৈতিক দল বা গোষ্ঠীর উপকার করে থাকে তা করেছে আওয়ামী লীগের। জঙ্গিবাদের এই প্রাদুর্ভাবে রাজনৈতিকভাবে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে আওয়ামী লীগসহ বামপন্থী দলগুলো। মির্জা আজমের দুলাভাই তার শ্যালকের দলটির জন্যে আসলেই অনেক উপকার করে গেছেন।

অন্যদিকে রাজনৈতিকভাবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিএনপি-জামায়াত জোট। এ ব্যাপারে আজকের বা ভবিষ্যতের কোনো মুক্ত গবেষকদের জন্যে কয়েকটি প্রশ্ন রাখছি। রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও সামাজিক হতাশা বা চাপ থেকেই মূলত জঙ্গিবাদের সৃষ্টি হয়। ভোটের মাধ্যমেই যারা দুই-তৃতীয়াংশ আসন পেয়েছিল, তাদেরকেই কেন আবার জঙ্গিবাদের আশ্রয় নিতে হয়েছিল? সংসদের মাধ্যমেই যারা অনায়াসে শরীয়া আইন প্রবর্তন করে ফেলতে পারত তাদেরকেই কেন আবার বোমা মেরে শরীয়া আইন প্রবর্তন করার চেষ্টা করতে হলো? এই ধরনের বিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন এই জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। আমাদের অস্তিত্বের স্বার্থেই এই প্রশ্নগুলোর জবাব বের করা দরকার।

এটা নিয়ে আর নোংরা ও আত্মবিধ্বংসী রাজনীতি নয়। জঙ্গিবাদ বা উগ্রবাদ যেখানেই থাকুক-শেকড়সহ এর উৎপাটন জরুরি। এটা থেকে ফায়দা নেয়া যেকোনো রাজনৈতিক দলের জন্যেই বুমেরাং হবে। দেশের মানুষ সজাগ না থাকলে বাইরের কোনো অশুভ শক্তি এর ‘কন্ট্রোল’ হাতে নিয়ে দেশ ও জাতির জন্যে ভয়াবহ ক্ষতি করে ফেলতে পারে। পরস্পর মুখোমুখি দুটি পক্ষ টেরই পাবে না যে পেছন থেকে কে রিমোট বাটনটি চাপছে।

এই অশুভ শক্তিটিকে বাধাহীনভাবে তাদের মিশন নিয়ে অগ্রসর হতে দিলে আমাদের দেশটিও একদিন আফগান বা ইরাক হয়ে পড়বে। স্মার্ট কিংবা আনস্মার্ট বোমার আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত হবে আমার-আপনারই কোনো স্বজন বা পরবর্তী প্রজন্ম। ওরা জানবে না এই শাস্তির জন্যে ওদের পাপটি কী ছিল? বোমা যত স্মার্টই হোক এটা বুঝবে না কোন বাড়িটি মৌলবাদীর আর কোনটি অ-মৌলবাদীর। কাজেই, মাই কান্ট্রিমেন। প্লিজ ওয়েক আপ।

প্লিজ। View this link ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.