বম ভোলানাথ প্রথমেই আজকের প্রথম আলোতে প্রকাশিত একটি খবর শেয়ার করি। কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাঙচুর, মহাসড়ক অবরোধ
এখানে মন্তব্যের ঘরে মন্তব্য করলামঃ
সারা জীবন শুনে এলাম, "গাছের গোড়া কেটে আগায় জল দেয়া", কিন্তু এখানে দেখি "গাছের গোড়া কেটে আগায় আক্রমন করা এই বলে যে, মরে যাচ্ছিস কেন?"
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আমার মতে বন্ধ করে দেয়া উচিৎ। শখে বলছিনা, শোকে বলছি। আমি নিজে এর বর্তমান ছাত্র। দীর্ঘ ২২ দিন ধরে ক্যাম্পাসে যেতে পারছিনা, নিজ-ভূমে পরবাসী থাকার যন্ত্রনা আমরা ভালোই বুঝতে পারছি।
কিন্তু গত ২২ দিনে কি মিডিয়া, কি সরকার, কি প্রশাসন কারো কার্যকলাপে মনে হচ্ছিল না যে এখানে একটি বিশ্ববিদ্যালয় আছে এবং তা ২২ দিন ধরে বন্ধ আছে শুধুমাত্র কিছু লোকের চাকরির খায়েশ মেটেনি বলে। বুয়েট, ঢাবি, জাবি, জবি এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন বিভাগে ১ দিন ক্লাস-পরিক্ষা বন্ধ থাকলে প্রথম আলোর প্রথম পাতায় চলে আসবে। কিন্তু গোটা ইবি ২২ দিন বন্ধ থাকলেও তা শেষের পাতায় আসার যোগ্য খবরও না। কারন আমরা দেশের রাজধানীতে থাকিনা।
যারা এখন ক্যাম্পাসে হলে অবস্থান করছে তাদের কথা একটু চিন্তা করছেন? ক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য পরিবহন মালিক সমিতি ধর্মঘট ডেকে বসে আছে।
বাড়িতেও চলে যেতে পারছিনা। যেতে হলে তিনগুন ভাড়ায় কুষ্টিয়া বা ঝিনাইদহ গিয়ে তারপর অন্য ব্যবস্থা দেখতে হচ্ছে। আর চলে গেলেও সমস্যা। টাকার ভাগাভাগিতে যদি সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে যায় তবে ক্যাম্পাস শুরু হয়ে যাবে, পরিক্ষা দিতে হবে, আবার গাড়ির চাপে চেপ্টা হয়ে ফিরে আসতে হবে।
সবচেয়ে আতঙ্কজনক কথা হচ্ছে, এর মেডিকেল সেন্টার বন্ধ হয়ে আছে।
এম্বুল্যান্সও ভেঙ্গে দিয়েছে। জরুরী প্রয়োজনে আল্লাহকে ডাকা ছাড়া আর কোন উপায় এখন দেখছি না।
[জানি, প্রথম আলো তার নীতিমালা অক্ষুন্ন রেখে এটা প্রকাশ করবেনা। করলেও প্রথম দুটি লাইন। তবুও মডারেটরকে বলছি, ছাপালে সুখি হব।
]
এবার আসি পোস্ট শিরোনামে। গত ২৫ তারিখ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় গেটের সামনে মানববন্ধন করার সময় আব্দালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আরব আলী দম্ভভরে ঘোষণা দেন, "স্থানীয় আওয়ামী লীগের লোকজনকে চাকরি না দিলে বিশ্ববিদ্যালয় চালাতে দেয়া হবেনা। ""
আমরা যারা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী তারা এহেন ঘোষনায় শঙ্কিত।
ফেসবুকে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, এখানে দেখুন
সময় পেলে আরো তথ্য দিয়ে আপডেট করব। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।