নিয়োগের তারিখ থেকে চার বছর মেয়াদ শেষে কোন ক্ষমতাবলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান তাঁর পদে আছেন, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেন।
একই সঙ্গে রুলে মেয়াদ শেষে দুদক চেয়ারম্যানের নেওয়া কার্যক্রম কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং গ্রহণ করা বেতন-ভাতা কেন ফেরত প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। বিবাদীদের দুই দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলে আদালত ১৩ জুন শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এম বদরুদ্দোজা।
দুদকের পক্ষে মো. খুরশীদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আল আমিন সরকার উপস্থিত ছিলেন।
পরে রিটের পক্ষের আইনজীবী এম বদরুদ্দোজা বলেন, চার বছর মেয়াদ শেষে কোন কর্তৃত্ব বলে দুদকের চেয়ারম্যান পদে আছেন, ওই সময় তাঁর নেওয়া কার্যক্রম কেন অবৈধ ঘোষণা এবং গ্রহণ করা বেতন-ভাতা ফেরতের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আদালত ১৩ জুন শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন।
দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান বলেন, আদালত শুধু রুল জারি করেছেন। চেয়ারম্যানের কার্যক্রম পরিচালনায় কোনো স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়নি।
আদালতও কোনো স্থগিতাদেশ দেননি।
দুদক চেয়ারম্যানের পদের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে দাবি করে ৫ জুন তাঁর প্রতি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশের জবাব না পাওয়ায় রিটটি করেন আইনজীবী মির্জা আল মাহমুদ।
রিটের বিষয়বস্তু সম্পর্কে মির্জা আল মাহমুদ প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ২০০৯ সালের ২৯ এপ্রিল চার বছরের জন্য দুদকের চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁকে নিয়োগ দেওয়া হয়। ওই বছরের ৩০ এপ্রিল এ নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এতে বলা হয়, ২০০৯ সালের ২ মে থেকে নিয়োগ কার্যকর হবে। এ হিসাবে চার বছর মেয়াদ ১ মে শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু তিনি এখনো ওই পদে বহাল আছেন। দুদক আইনের ৬(৩) অনুযায়ী কমিশনাররা তাঁদের নিয়োগের তারিখ থেকে চার বছর মেয়াদের জন্য নিজ নিজ পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন।
তবে দুদকের চেয়ারম্যান গোলাম রহমান আগে জানিয়েছিলেন, ‘২০০৯ সালের ২৪ জুন আমি চেয়ারম্যান পদে যোগদান করি।
যোগদানের পর নিয়োগ কার্যকর হয়। এই পদের মেয়াদ চার বছর। সে হিসাবে ২৩ জুন মেয়াদ শেষ হচ্ছে। ’।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।