প্রত্যাশাই জীবন, বিবেক বাধা, আর বিভ্রান্তিই গতি সঞ্ছারক। হোক সে গতি পশ্চাৎমুখী কিংবা অভিমুখী। এই গতিতেই রয়েছে প্রত্যাশা, হয়ত ঊর্ধ্বমুখী কিংবা নিম্নমুখী খ্রিষ্টপূর্ব ৫ম শতকে এথেন্স ও এর আশে পাশের নগর রাষ্ট্রে বিদ্যমান রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে বোঝাতে 'ডেমোক্রেসি' শব্দটির ব্যবহার শুরু হয়। মূলত ডেমোক্রেসি শব্দটি এসেছে গ্রীক শব্দ δημοκρατία (ডেমোক্রেসিয়া) থেকে। যা হোক এই ডেমোক্রেসিই আমাদের আকাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্র।
আসুন একটু পিছন ফিরে তাকাই, দেখে আসি আমাদের আমাদের পূর্ব পুরুষদের শাসন ব্যবস্থা।
১৭৫৭ সালের পূর্বে বাংলা তথা সমগ্র ভারতীও উপমহাদেশে স্বৈরতন্ত্রাত্রিক শাসন ব্যবস্থা ছিল। ঐ সময় গুপ্ত, পাল, মুঘল রাজাগন সহ আরো অনেক রাজাই শাসন করেছেন। তারপরের ইতিহাস শুধুই নির্যাতিত হওয়ার ইতিহাস। ১৭৫৭ থেকে ১৯৪৭ সাল।
১৯০ বছর ব্রিটিশদের গোলামী করেছি। নীলচাষীর কান্নার আওয়াজ আজো বাতাসে ভেসে বেড়ায়। ১৯৪৭ এর পর থেকে ১৯৭১ তা প্রায় ২৪ বছর পাকিস্তানীদের শোষণের শিকার হয়েছি আমারা। ওরা পান করে গেছে এক সাগর রক্ত। ওরা বাঙ্গালীদের ওপর চালিয়েছিল অর্থনৈতিক শোষণ।
এই সকল কারনেই বাঙ্গালীর মস্তিস্কে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলার স্বপ্ন রচিত হয়। তারপর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা।
বাংলাদেশ প্রাচীন ইতিহাসের কোন পর্যায়েই সম্পূর্ণ স্বাধীন ও একতাবদ্ধভাবে আপন রাষ্ট্র গড়ে তোলার সুযোগ পায় নি। এই সুযোগ আমারা লাভ করেছি ১৯৭১ সালে চূড়ান্ত স্বাধীনতার পর।
কিন্তু এই স্বাধীনতা আমাদের দিতে পারেনি অর্থনৈতিক মুক্তি।
আজো বাংলায় অভাবী মানুষের কান্না আকাশে বাতাসে ভেসে বেড়ায়। গরীব মানুষের গলাফাটা আত্মচিৎকার পৌছায় না গনভবনের প্রধান ফটকে। কিংবা কোন মন্ত্রী পাড়ায়। স্বাধীনতার ৪২ বছরেও নিশ্চিত হয়নি সাধারন মানুষের মৌলিক অধিকার। মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়টার জন্যে ৪২ বছর কি যথেষ্ট সময় নয়??
অন্ন
বস্ত্র
বাসস্থান
চিকিৎসা
শিক্ষা
অধিকার নিশ্চিত হয়েছে শুধু মন্ত্রী আমলাদের ক্ষেত্রে।
আর রাজনীতিবিদের ক্ষেত্রে। ধিক রাজনীতিবিদের যারা জনগনের রক্ষক হয়ে ভক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। ধিক তাদের যারা গরীবের অন্ন কেড়ে নিয়েছে। এটি কখনো সুস্থ গণতন্ত্র হতে পারে না। এটি নষ্টা গণতন্ত্র।
আসুন ভাই আমারা রাজনৈতিক ক্যাচাল থেকে বেড়িয়ে আসি। মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়টার জন্য একটি জাগরণ তৈরি করি। অন্যথায়, ১৯৭১ এর শহীদের আত্মা কষ্ট পাবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।