নবী মোহাম্মদ (সা: ) আপন চাচা আবু লাহাবের আসল নাম ছিল আব্দুল উযযা ইবনে আব্দুল মুত্তালিব । নবী মোহাম্মদ (সা: ) এর দুই মেয়ে রুকাইয়া (রা: ) ও উম্মু কলসুম (রা: ) সংগে আবু লাহাবের দুই ছেলে উতবা ইবনে আবী লাহাব ও উতইবা ইবনে আবু লাহাব এর বিয়ে দিয়েছিলেন ।
পারিবারিক ভাবে নবী মোহাম্মদ (সা: ) সংগে আবু লাহাবের এত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকা সত্বেও "একমাত্র “আল্লাহ ছাড়া আর কোন প্রভু নাই, মোহাম্মদ আল্লাহ’র রাসুল ও বান্দা”" এই বাণী জন্য আবু লাহাব হয়ে গেলেন নবী মোহাম্মদ (সা: ) এক নাম্বার শত্রু ।
নবী মোহাম্মদ (সা: ) এর দুই মেয়ের বিবাহ বিচ্ছেদও ঘটে খুব নিরর্মম নির্যাতনের মাধ্যমে ।
আবু লাহাব তো মোহাম্মদ (সা: ) এর পিছনে পিছনে লেগেই থাকতেন, তাঁকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে এবং জনতার মাঝে অপপ্রচার চালাতেন ।
কোন কোন সময় নবী (স: ) কে লক্ষ করে পাথর নিক্ষেপ করতেন, পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত রক্তাক্ত হয়ে যেত ।
মোহাম্মদ (সা: ) এক দিন সাফা পর্বত শাখরে আরোহণ করলেন এবং তার উপর আরেকটি পাথর রেখে তথায় দাঁড়িয়ে উচ্চকন্টে বলতে থাকলেন ‘ইয়াসাবাহাহ (হায় প্রাথ:কাল),: ওহে বনু ফিহর, ওহে বনু আদী, ওহে বনু আব্দুল মুত্তালিব, (ওহে বনু অমুক, ওহে বনু ওমুক, ওহে......) তারা ডাক শুনে সবাই তাঁর নিকট উপস্হিত হয় ।
রাসুলুল্লাহ বললেন , হে আব্দুল মুত্তালিব এর বংশধরগন!, হে ফিহরের বংশধরগন!, হে কাআব এর বংশধরগন!, (হে অমুকের বংশধরগন,.....)
আমি যদি বলি এই পাহাড়ের অপর দিকে শক্রপক্ষ রয়েছে তারা তুমাদের উপর আক্রমন করতে উদ্যত । তোমরা কি আমার কথা বিশ্বাস করবে?
সকলে বলল, হ্যা অবশই করব ।
হে কাআব এর বংশধরগন! তোমরা জাহান্নাম থেকে নিজেদেরকে রক্ষা কর!......
হে অমুকের বংশধরগন,.....)
হে ফাত্বিমাহ বিনতে মুহাম্মদ তুমি নিজ কে জাহান্নাম থেকে বাঁচাও!, ..............।
বক্তব্য শেষ হলো সম্মেলন ভেঙ্গে গেল কেউ কোন প্রতিবাদ করল না, লোকজন চলে গেল ।
আবু লাহাব বলে উঠল আমাদের কি এ জন্যই ডেকে এনেছ?( হাতে পাতর তুলে ) সারা দিন ধরে তোমার জন্য ধ্বংস আর দুর্ভোগ নেমে আসুক ।
এ প্রেক্ষিতে আল্লাহ তালা নাযিল করলেন:
“"আবু লাহাবের হাত ধ্বংশ হোক"” ১১১:১
আবু লাহাবের মত লোক আসবে যুগে যুগে, কখন ও ফিল্ম মেইকার কখন কাটুনিষ্ট বা ব্লগাগার হয়ে ।
আর আমারা ও বলবো, আবু লাহাবের মত ওদের হাত ধ্বংশ হোক, ধ্বংশ হোক, ধ্বংশ হোক ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।