সামুতে সেফ হবার জন্য সংগ্রাম করছি! দোয়া করবেন! ও ছিল আমার বেস্ট ফ্রেন্ড। ক্যামনে কি জানি না, একদিন দেখি সে আমার গার্লফ্রেন্ড হইয়া গেলো! এবং আবার ক্যামনে কি জানি না,একদিন দেখি সে আমার এক্স গার্লফ্রেন্ড হইয়া গেলো! তো ভাবলাম,যে ওর হবু হাসবেন্ড/বয়ফ্রেন্ড হবে সেই বেচারার জন্য কিছু একটা লিখি, যেন ওরে সহজে পটাইতে পারে!
এই পোস্টটা তাই উৎসর্গ করছি আমার এক্স গার্লফ্রেন্ডের হবু বয়ফ্রেন্ডকে!
ভাই,আপনের জন্য এই ১০টি টিপসঃ
১) মনে রাখিবেন, তাঁহার সাথে প্রেম করা দুনিয়ার সব থেকে কঠিন কাজগুলার একটি। ওর সাথে প্রেম করার প্রত্থম কথা হইলো ভুলেও প্রেম-ভালবাসার কথা মুখে আনিবেন না। আর বিয়ের কথা তুলিয়াছেন তো আপনে শেষ!
২) সাদা কাগজে লিখিয়া দিতে পারি, যদি আপনি এই নারীর সাথে প্রেম করিতে পারেন,আপনের জীবন পুরা সার্থক। কাজেই এই নারী যাই বলুক,যখনই বলুক উনার কথামতো কাজ করিবেন।
৩)অতি বুদ্ধিমতি নারীরা সাধারণত দেখিতে সুন্দরী হয় না, ইহা যে অতীব ভ্রান্ত ধারণা আপনি অবশ্যই তাঁহাকে দেখিয়া বুঝিতে পারিয়াছেন। কাজেই উনাকে পটাইতে হইলে আপনি যদি বাংলা সিনেমা স্টাইলে লুতুপুতু কথা বলেন আপনি ব্যাপক ধরা খাইবেন। রাজনিতি-সমাজ-সভ্যতা-সিনেমা-বই-খাবার ইত্যাদি বিষয়াদি নিয়া যদি কথা বলেন, তাইলে অধিক সময় ধরিয়া তাহার সাথে কথা বলিতে পারিবেন। সুতরাং, আপনাকে প্রচুর পড়াশুনা করিতে হইবে।
৪)ভাই, আপনের হাত ধরিয়া বলিতেছি, উনার মতো এতো কম খরুচে হবু বউ আর কাউরে পাইবেন না।
সে অতীব কম পরিমান খাবার খায়। তাহার পিছনে আপনার খুব বেশি খরচ করিতে হইবে না। তাছাড়া সে হাঁটিতে পছন্দ করে। তাই ডেটিঙে আপনার প্রচুর রিক্সা ভাড়া সাস্রয় হইবে। ওই বেচে যাওয়া টাকা দিয়া তাঁহাকে গিফট হিসাবে বই কিনিয়া দিবেন।
সে তখন বলিবেঃ আহ!কি দরকার ছিল, খালি খালি টাকা নষ্ট করলা? বলিয়া মিটিমিটি হাসিবে আপনার দিকে তাকায়া। কি আর বলিব ভাই!উনার সেই হাসিতে আক্ষরিক অর্থেই মুক্তা ঝরে!
৫)তাহাকে একবার ফোন দিয়া না পাইলে ভুলেও ২য় বার ফোন দিবেন না। বেশি দরকার হইলে এসএমএস করিবেন। আমার সাথে তাহার বহুত বড় বড় ঝগড়ার প্রধান কারণ এই ২য় বার ফোন দিতে গিয়া হইয়াছে। আশা করি, আপনি ভাই এই ভুল করিবেন না।
৬)ডেটিং স্পট সাবধানে ঠিক করিবেন। এক ডেটিং স্পটে ২য় বার যাইবেন না। প্রতি নতুন ডেটিঙে নতুন নতুন স্থানে যাইবেন। ডেটিং স্পট নিয়া এই অধম তার ব্লগিং জীবনের শুরুতে একখান পোস্ট দিসিলো। অতি অবশ্যই পড়িয়া দেখুন কারণ আর যাই হউক, এইসব যায়গায় অন্তত তারে নিয়া যাইয়েন না।
কেননা এইসব স্পটে আমি তারে নিয়া বহুতবার গেছি!
৭)সে খাইতে পছন্দ করে। তাঁহাকে নিয়া মাঝেমাঝে খাইতে যাবেন আপনের বাজেট অনুসারে। এবং অবশ্যই তাঁহাকে দিয়া মেনু অর্ডার করাবেন। সালাদ-শাঁকসবজি-সবুজ ফলমূল টাইপ খাবার তাঁহার বিশেষ পছন্দ।
৮)তাহার কথা মনোযোগ দিয়া শুনিবেন।
সে হাজারটা হাবিজাবি বিষয় নিয়া আপনার সাথে কথা বলিতে চাহিবে আপনার হয়তো সে বিষয়ে মোটেও ইন্টারেস্ট নাই। তারপরও শুনিবেন। কারণ মনে রাখিবেন আপনারা দুই জন ভিন্ন ভিন্ন মানুষ, আর আপনাদের ফিল্ড অফ ইন্টারেস্টও ডেফিনেটলি আলাদা। কিন্তু যত যাই হউক, আপনাদের দুইজনের ভিন্নতা যেন আপনাদের রিলেশনটাকে না নষ্ট করে দেয়। ও হা, আপনিও তাহার সাথে হাবিজাবি বিষয় নিয়া কথা বলিবেন, যেনে রাখেন, সে একজন ফাস্ট ক্লাস লিসনার!২৪ ঘণ্টা এই মেয়ের সাথে আপনি গল্প করে কাটায় দিতে পারবেন!
৯)এই মেয়ের একটাই সমস্যা, সে ভয়াবহ রাগি মানুষ।
রাগের সময় সে একেবারে যা তা গালিগালাজ করে। তবে ভাই, আপনি কিছু মনে কইরেন না। এক থেকে ১০০ পর্যন্ত গুনিতে থাকেন, সে আপনারে ফোন দিয়া সরি বলবে। কাঁচুমাচু স্বরে কিছুটা অনুতাপ আর আহ্লাদের সুরে সে যখন বলিবেঃ আই লাভ ইয়ু! আহ ভাই! কি আর বলিবো বলেন! এই অমৃত বাণী শুনার জন্য আমি ইচ্ছা কইরাই তাহার সাথে নকল নকল ঝগড়া করিতাম!উহ!সে যদি উহা বুঝিতে পারিতো!
১০)এবং কিছুতেই তাঁহাকে বলিবেন না, আপনি এই পোস্ট পড়িয়াছেন। উনি যদি অবাক হইয়া আপনাকে বলেঃ আররে, তুমি ক্যামনে আমারে এতো ভালোভাবে বুঝিতে পারো? মিথ্যা কিছু একটা বানাইয়া বইলা দিয়েন।
হুম জানি, তাঁহার চোখের দিকে তাকাইয়া মিথ্যা বলা দুনিয়ার কঠিনতম কাজ। অতি সাধারন এই মায়াবতী মেয়েটার জন্য সেই কাজটা আপনি ঠিকঠাক করতে পারবেন, আমার প্রার্থনা আপনার সাথে আছে ভাই।
(ইহা একটি কাল্পনিক লিখা। )
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।