আমি একজন ছাএ -----------------------------------------------------------------------------------
কথিত বিশিষ্ট আলেম, আলেমকুল শিরোমনি মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী রাজাকারদের শিরোমণি তথা ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের মানুষদের খুন, পাক বাহিনীর নিকট ধরিয়ে দেয়া, নারী ধর্ষন, পাক বাহিনীর নিকট বাঙ্গালি নারীদের যৌনদাসী হিসাবে সরবরাহ, ধর্মের দোহাই দিয়ে পাড়ের হাট বন্দরের হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরবাড়ি লুট করেছেন ও নিজে মাথায় বহন করেছেন। দোকান লুটপাট, লুটের মাল বিক্রিসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত ছিলেন। এই মহান কর্মবীর একসময় গর্ব করতেন তিনি বলেশ্বর নদীর পাড়ের বধ্যভূমিতে ৫০০ জন মুক্তিকামী (তার ভাষায় বেইমান, কাফের) মানুষকে জবাই করে হত্যা করেছেন। দেশের জন্যে করা মহান এই দেশপ্রেমিকের এসব মহান কর্মের তথ্য প্রমান আছে বৈকি। যুদ্ধাপরাধ আদালতে এসব তথ্য প্রমান উপস্থাপিত হবে সময়মতো।
তারপরও সাঈদী আমাদের মহান নেতা দাবি করেন। আমার ভাইয়ের বুকের রক্তে স্বাধীন এই দেশে নির্বাচিত সাবেক সাংসদ। পবিত্র সংসদ তার পদভারে ধন্য। তার মুখ নিসৃত মধু বয়ানে সংসদকক্ষ এবং জনগনের নির্বাচিত সাংসদগণ আনন্দিত হয়েছেন। এমনকি স্বাধীন বাংলাদেশে মন্ত্রিত্বের খুব কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন তিনি।
বঙ্গবন্ধুর সময়ে একবার গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। এখন তিনি জেলখানায় বসে তার উত্তরসূরিদের দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন। আর তাই তার উত্তরসূরিরা দেশে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তিনি আরও বলছেন তিনি নির্দোষ। তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ নিকৃষ্টতম মিথ্যাচার।
তিনি জেলে যাওয়ার পূর্বে বলতেন তিনি মৃত্যুকে ভয় পান না, ইসলামের প্রয়োজনে, বাংলাদেশের প্রয়োজনে, দেশের স্বার্থে শহীদ হওয়ার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু যখন তার এহেন কৃতকর্মের জন্য ফাঁসির আদেশ হল তখনই শুরু হয়ে গেল জ্বালাও, পোড়াও, ভাংচুর, বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। আজ স্বাধীনতার ৪২ বছর পর আমার ভাইয়ের মতো শহীদদের আত্মাকে আমরা যারা ধারন করে আছি , প্রতি মূহুর্তে রক্তক্ষরণ নিয়ে বেঁচে আছি তাদের প্রতি বিনীত অনুরোধ আসুন, অন্তত এই মহান ব্যক্তিদের বিচারের ক্ষেত্রে আমরা একজোট হয়ে দাড়াই। কলঙ্ক মুক্ত করি জাতিকে।
http://omarbangla.com/?p=10530&preview=1
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।