মানবিক দায় ও বোধহীন শিক্ষা মানুষকে প্রশিক্ষিত কুকুরে পরিণত করে....আইস্ট্যাইন।
এক বছর আগে লিবীয় নেতা কর্নেল মোয়াম্মার গাদ্দাফিকে যে ক’জন লিবীয় বিদ্রোহী একটি ড্রেন থেকে আটক করেছিল, তাদের একজন নির্মম নির্যাতনে প্যারিসে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। গাদ্দাফির অনুসারীরা তাকে অপহরণ করার পর তার শরীর চিরে ফেলেছিল। আল-জাজিরার খবরে একথা বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার একটি প্রাইভেট বিমান যোগে ২২ বছরের তরুণ ওমরান শাবানের লাশ ভূমধ্যসাগরীয় লিবীয় শহর মিছরাতায় এসে পৌঁছে।
তার পরিবারের সদস্য, বন্ধুবান্ধব ও শুভাকাঙ্খীরা তার লাশ গ্রহণ করে। ২০১১ সালের ২০ অক্টোবর গাদ্দাফিকে তার নিজ শহর সার্ত্রে আটক করার মুহূর্তের কয়েকটি ছবি প্রকাশিত হয়। এসব ছবিতে দেখা গেছে যে, ওমরান শাবান গাদ্দাফিকে ধরে রেখেছেন। একইদিন বিপ্লবীরা গাদ্দাফিকে হত্যা করে। ওমরান শাবানের মৃত্যু লিবিয়ায় আরো সহিংসতার আভাস দিচ্ছে।
লিবিয়ার জাতীয় কংগ্রেস শাবানকে একজন ‘দায়িত্বশীল শহীদ’ হিসাবে আখ্যায়িত করেছে। তবে তার পরিবার বলেছে, গাদ্দাফিকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য প্রতিশ্রুত ১০ লাখ ডলার পুরস্কার তাকে দেয়া হয়নি।
গত জুলাইয়ে শাবান ও তার তিন বন্ধু ছুটিতে মিছরাতায় তাদের বাড়িতে ফিরে আসছিল। বনি ওয়ালিদের কাছে আল-শিমেখ নামে একটি জায়গায় সশস্ত্র ব্যক্তিরা তাদের ওপর হামলা চালায়। শাবান ও তার বন্ধুরা পাল্টা গুলি চালায়।
শাবানের শরীরে দু’টি বুলেট বিদ্ধ হলে তার পা থেকে নিচ পর্যন্ত অবশ হয়ে যায়। আটক করার পর ব্লেড দিয়ে তার বুক চিরে ফেলা হয়। অবশেষে শাবান বাড়িতে ফিরে আসেন। তবে তিনি ছিলেন তখন অস্থিচর্মসার। তাকে চিকিৎসার জন্য ফ্রান্সে পাঠানো হয়।
সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।