যািকছু মন্দ আি তার িবপেক্ষ নিহত লিবিয় নেতা কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফির দাফন অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে সম্পন্ন করার পরিকল্পনা করছে জাতীয় অন্তর্বর্তী পরিষদ (এনটিসি)। তবে তার মৃত্যু নিয়ে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হওয়ায় দাফন বিলম্বিত হবে বলে অনেকে মনে করছেন। এদিকে জাতিসংঙ্ঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল গাদ্দাফির মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত দাবি করেছে । খবর বিবিসি, সিএনএন, এএফপি ও অন্যান্য সূত্রের।
মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে খুব সম্ভবত গোপনে ও অজ্ঞাত স্থানে দাফন করা হবে।
এনটিসি’র একজন কমান্ডার আজ শুক্রবার বলেন, গাদ্দাফির লাশ মিসরাতার একটি হিমঘরে রাখা হয়েছে এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যথাযথ মর্যাদায় ও ইসলামী বিধানে তার দাফন সম্পন্ন হবে।
লিবিয়ার একজন কর্মকর্তা বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাদ্দাফির মৃত্যুর বিষয়টি পরীক্ষা করার আগে পর্যন্ত তার দাফন বিলম্ব হবে। একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, গাদ্দাফির লাশ মিসরাতা শহরের একটি হিমাগারে রাখা হয়েছে।
ক্ষমতাসীন জাতীয় অন্তর্বর্তী পরিষদের সিনিয়র সদস্য মোহাম্মদ সাইয়েহ বলেন, ‘কাগজপত্র সম্পন্ন করার জন্য লিবিয়ার বাইরে থেকে তৃতীয় পক্ষ আসবে। ’ তিনি বলেন, গাদ্দাফির দাফন ইসলামী বিধান অনুযায়ী হবে, তবে সরকারিভাবে কোনো জানাজা হবে না।
তবে ত্রিপোলি থেকে বিবিসি’র সংবাদদাতা ক্যারোলিন হাওলে জানিয়েছেন, গাদ্দাফিকে কোথায় এবং কীভাবে দাফন করা হবে দেশটির কর্মকর্তারা সে সিদ্ধান্ত এখনো নিতে পারেনি। তবে তারা বলছেন, গাদ্দাফিকে দাফন করা হবে গোপনে। ফলে আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনের লাশ যেভাবে সাগরে ভাসিয়ে দিয়ে ‘সমাহিত’ করার কথা বলা হয়েছিল- গাদ্দাফির েেত্রও তেমন কিছু ঘটতে পারে বলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার গাদ্দাফির জন্মশহর সার্তের পতনের পরপরই তাকে বন্দি করা এবং তার মারা যাওয়ার কথা জানায় এনটিসি।
লাদেনের লাশ সাগরে ‘সমাহিত’ করার পর মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছিলেন, তার কবর সন্ত্রাসীদের তীর্থস্থান হয়ে উঠতে পারে- এমন আশঙ্কা থেকেই তারা সাগরকে বেছে নিয়েছিলেন।
নাম প্রকাশ না করে এক লিবিয় কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স লিখেছে, গাদ্দাফির মৃতদেহের কী ব্যবস্থা হবে তা নিয়ে এনটিসি কর্মকর্তাদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে।
কর্মকর্তাদের কেউ কেউ মনে করেন, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আরো কয়েকদিন অপো করা উচিৎ। আবার লিবিয়ার দীর্ঘদিনের এই শাসকের মৃতদেহ শিগগিরই গোপনে দাফন করা হতে পারে বলেও গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
একটি সূত্র জানায়, গাদ্দাফিকে কোথায় চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে তা নিয়ে বিরোধ দেখা দিয়েছে এনটিসি’র উপর মহলে। তাকে সার্ত, মিসরাতা নাকি অন্য কোথাও দাফন করা হবে সে ব্যাপারেও একমত হতে পারছেন না কর্মকর্তারা।
লিবিয়ার তেল মন্ত্রী আলী তারহুনি, রয়টার্সকে বলেছেন, গাদ্দাফির লাশ এখন মিসরাতায়। এ মুহূর্তে দাফনের জন্য সেখান থেকে সরিয়ে নেয়ার সম্ভাবনা নেই। সবার কাছে গাদ্দাফির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করতেই তার লাশ আরো কয়েকদিন সেখানে রাখা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
এনটিসি বৃহস্পতিবার গাদ্দাফির মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাকে দাফন করার কথা বলেছিলেন।
জাতিসঙ্ঘের তদন্ত দাবি : জাতিসংঙ্ঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল গাদ্দাফির মৃত্যুর বিষয়টি তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।
জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থার হাই কমিশনারের মুখপাত্র রূপার্ট কোলভিল আজ জেনেভোয় সাংবাদিকদের গাদ্দাফির মৃত্যুর বিষয়টি তদন্ত দাবি করে বলেন, ‘কিভাবে তার মৃত্যু ঘটেছে তা অস্পষ্ট। গাদ্দাফির মৃত্যু জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি রাখে। ’
তার উদ্ধৃতি দিয়ে টাইম জানায়, ‘অনভিজ্ঞ হাতে করা ভিডিও চিত্রে দেখা যায় গাদ্দাফি প্রথমে জীবিত ছিলেন এবং পরে তিনি মারা যান। এটা আসলেই বিরক্তিকর। ’
কোলভিল আরো বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি গাদ্দাফির মৃত্যু নিয়ে তদন্ত করার দরকার আছে।
তাকে জীবিত ধরার পর কিভাবে হত্যা করা হলো সে বিষয়ে বিশদ আমাদের জানতে হবে। ’
তিনি রয়টার্স টেলিভিশনে বলেন, আন্তর্জাতিক আইনের মৌলিক নীতি হলো মারাত্মক অপরাধে অভিযুক্ত লোকদেরকে সম্ভব হলে বিচার করা হবে। গণবিচার পুরোপুরি অন্যায়। যুদ্ধে কেউ যদি মারা যায়, সেটা ভিন্ন কথা।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ‘পূর্ণ, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ’ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।
তবে পশ্চিমা নেতৃবৃন্দ এ ধরনের কোনো তদন্তের দাবি জানাননি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।