আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আজকের খেলার মাঝের বিরতিতে লেখা...

এই পৃথিবীতে শুধুমাত্র দুই রকমের মানুষ আছে। ভালো মানুষ যারা ভালো কাজ করে। আর খারাপ মানুষ যারা খারাপ কাজ করে। এটাই মানুষদের মধ্যে একমাত্র পার্থক্য। আর কোন পার্থক্য নেই... আমি ভাল মানুষ...☺☺☺ খেলা দেখা শুরু করেছি শরীরের অমানুষিক উষ্ণতা নিয়ে! নাহ্, আমার জ্বর হয়নি।

এই উষ্ণতাটা প্রিয় দলের উপরে থাকা প্রেসারের জন্যে। শুরুটা অসাধারণ ছিলো। আশরাফুলের আউট হওয়ার সময়েও আমার কাছে একটিবারও মনে হয়নি যে বাংলাদেশের ইনিংসের গতি কমবে! সত্যি করে বলছি, আশরাফুলের পর সাকিবকে নামতে দেখে মনে হয়েছিলো যে তামিম আর সাকিবের কাছ থেকে অনেক কিছু আশা করতে পারি আমরা। ইতিহাস সাক্ষী, এই দুইজন বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে ভালো বন্ধু এবং খেলায় ভালো পার্টনার। মিস আন্ডারস্টান্ডিং হতেই পারে, কিন্তু সাকিব আর তামিমের বেলায় সেটা হবে তা কল্পনাও করতে পারি নি।

এটাই খেলোয়াড়দের মনোবল ভেঙ্গে দেবার জন্যে যথেষ্ট ছিলো। শুরু হলো পাকিস্তানের 'নোংরা' মাইন্ড গেইম। 'নোংরা' শব্দটা ব্যবহার করা উচিত হবে না। কারণ, ব্যাপারগুলো মোটেও নোংরা না। তবে যেই দলের বিরুদ্ধে খেলাটা হয় তাদের কাছে ব্যাপারটা নোংরা বলে মনে হলেও ক্রিকেটে জয়ের জন্যে প্রচন্ড কাজ করে এইরকম ছোটোখাটো কিছু মাইন্ড গেম।

সেটা কি ছিলো? খেলা ভালো করে দেখলে ধরতে পারবেন। বল যেদিকেই যাক না কেনো, পুরো মাঠ জুড়ে ছোটাছুটি শুরু হয়ে যায়। সাথে বিকট চিৎকার! বল থ্রো করতে বলা..! (যদিও এই ব্যাপারে বিশেষভাবে এক্সপার্ট ছিলেন আমাদের সাবেক উইকেট কিপার খালেদ মাসুদ) নাহ্, তুলে নিচ্ছি কথাটা। ব্যাপারটা নোংরা না, পাকিস্তান দলের জয়ের অন্যতম প্রধান একটা অস্ত্র। তখনই বুঝেছি, দুইশতের স্বপ্ন ভাঙ্গতে চলেছে।

কিন্তু অন্তত ১৮০/১৯০ আশা করেছিলাম। ঐ যে! নিউজিল্যান্ডের সাথে চরম হার থেকে আমরা ৩৬রানকে কমিয়ে হিসাব করবো বলে। । বেশ চলছিলো, তামিমের আউটের পরে সাকিবের চেহারায় সেই পুরোনো জেদটা চোখে পড়লো। অসহায়ত্ব আর কষ্টের মাঝেও সেখানে ছিলো অসম্ভব একটা জেদ।

হ্যা, বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার; আমাদের সাকিব আল হাসান অসাধারণ জেদী। তখনই বুঝেছি। তামিমের আউটের জন্যে সে নিজেকে দায়ী করছে। তবে আমাদের সাকিবের জন্যে সেটা আউট হয়ে ০ নিয়ে ফিরে যাওয়া না, তামিমের না করতে পারা কাজটা করে দেওয়া ছিলো। ((তামিমকে আছাড় খেতে দেখেছি।

ব্যথাটা আমারও লেগেছে)) সাকিব সার্থক। তবে মাহমুদুল্লার ক্রিজে আসাটা সম্পূর্ণ অবিবেচকের মতো একটা কাজ বলে মনে হয়েছিলো। ঐরকম পরিস্থিতিতে আমরা নাসিরকে আশা করতে পারি। বোলার মাশরাফিকে পর্যন্ত আশা করতে পারি! কিন্তু মাহমুদুল্লাহকে "না"। ।

দুটো বল এখানে নষ্ট হয়েছে। ব্যাপার না। নাসির এসে যা করেছে তাতে নাসিরকেও কৃতিত্ব দিতেই হবে। বারবার সাকিবকে স্ট্রাইকে দিয়ে সে আবারও প্রমাণ করেছে যে, "বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা দেশের জন্যে খেলে, ব্যাক্তিগত ইনিংসের জন্যে না!" মাঠে খেলছে এগারোজন, মাঠের বাইরে তাদের জন্যে গোটা দেশ দোয়া করছি। এটা আমাদের ১৬কোটি বাঙালীর লড়াই।

আশা করছি বাংলাদেশ জিতবে। ৩৬রান তো? দেখা যাক!! তবে যদি স্বপ্নভঙ্গ হয়, হোক না! স্বপ্নের ধ্বংসাবশেষ থেকেই আমরা নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শিখবো। গুড লাক টাইগারস্। লাভ ইউ অল। বাংলাদেশের জয় হোক! ((লেখাটা খেলার বিরতিতে লেখা।

বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত হেরেছে। কিন্তু ঐ যে বললাম, স্বপ্নতো সবে শুরু। আমাদের যে আর্ও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে..)) সবাই ভালো থাকবেন -হ্যাপী ব্লগিং ** ব্লগে খুব একটা আসা হয়না এখন আর। ফেসবুকেই থাকি... ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।