কীটপতঙ্গ খেয়ে বিশ্বের খাদ্যসঙ্কট নিরসনের যে আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, সেক্ষেত্রে পথপ্রদর্শকের ভূমিকায় রয়েছে থাইল্যান্ড। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) গত মঙ্গলবার এক গবেষণায় জানিয়েছে, পোকামাকড়কে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করা হলে তা বিশ্বের খাদ্যসঙ্কট মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
এফএও জানায়, ২০৫০ সালের মধ্যে পোকামাকড়কে খাবার হিসেবে গ্রহণের পরিমাণ ৬০ শতাংশ বাড়বে।
ওই গবেষণাটি মূলত পরিচালিত হয় থাইল্যান্ডে। থাইল্যান্ডে প্রায় ২০০ প্রজাতির কীটপতঙ্গ খাওয়া হয়।
শুধু ঝিঁঝি পোকা চাষ করেই থাইল্যান্ড তিন কোটি ডলার আয় করে থাকে। এফএওর প্রতিবেদনে বলা হয়, এরই মধ্যে বিশ্বের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ লোক বা প্রায় ২০০ কোটিরও বেশি মানুষের খাদ্যাভ্যাসে পরিণত হয়েছে কীটপতঙ্গ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভিমরুল, কেঁচো এবং এ ধরনের পোকামাকড়গুলো মানুষ এবং গবাদিপশুর খাদ্য হিসেবে এখনও তেমনভাবে কাজে লাগানো যাচ্ছে না।
এফএওর ফরেস্ট ইকোনোমিকসের পরিচালক এভা মুয়েলার বলেন, ‘আসল বার্তা হলো—কীতপতঙ্গ খাও। পোকামাকড় সবখানেই আছে, এগুলোর প্রজনন ক্ষমতাও ভালো, পরিবেশগত প্রভাবও কম।
এদের মধ্যে পুষ্টিগুণ, ফ্যাট এবং খনিজ উপাদানও অনেক বেশি। ’
জনগণের প্রাণীজ আমিষের ১০ শতাংশই কীটপতঙ্গ থেকে আসে। শূককীট এবং ভাজা উইপোকা বেশ সুস্বাদু।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কীটপতঙ্গ চাষাবাদের মাধ্যমে বিশ্বে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। গুবরেপোকা, ফড়িংসহ নানা কীটপতঙ্গ এখন ইউরোপের রেস্তোরাঁয় পাওয়া যায়।
পৃথিবীতে এখন ১৯০০ প্রজাতির কীটপতঙ্গ ভক্ষণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে গুবরেপোকা, গুটিপোকা, পিঁপড়া, মৌমাছি, ভিমরুল, ফড়িং, পঙ্গপাল, ঝিঁঝি পোকা ইত্যাদি অন্যতম।
কীটপতঙ্গের খাদ্যমানও বেশ ভালো। ১০০ গ্রাম গরুর মাংসে যেখানে আয়রনের পরিমাণ ৬.০ মিলিগ্রাম সেখানে ১০০ গ্রাম পঙ্গপালে আয়রন আছে ৮.০ থেকে ২০ মিলিগ্রাম।
তথ্যসূত্র-
Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।