আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জানার মত কিছু কথা: পর্ব-৪ "প্রাণীজগতের বিচিত্র খবর!!!"

মানুষের উপকার কম করলাম না,পরিনামে খেলাম শুধু বাঁশ। তবু হাল ছাড়ি নাই....উপকারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। পৃথিবীর প্রাণীজগৎ বিচিত্রতায় ভরা। অদ্ভুত শারীরিক গঠন আর অদ্ভুত প্রকৃতির কারণেই প্রাণীজগতের কোনো কোনো প্রাণী আমাদের কাছে একেবারে স্টার। যেমন- টুনা মাছ।

এই মাছ এতই চঞ্চল প্রকৃতির যে, সাগরতলে প্রতি ঘণ্টায় ৯ মাইল পথ পাড়ি দেয়। এই চলা, এই দুরন্তপনা কখনোই থামে না ওদের। জন্মের পর থেকেই ওরা চলতে থাকে। কোনো নির্দিষ্ট গন্তব্য নেই। একটা ১৫ বছর বয়সী টুনা মাছ তার সারা জীবনে প্রায় ১০ লাখ মাইল পথ অতিক্রম করে।

ধূসর তিমি বা গ্রে-হোয়েল ছোটাছুটিতে কম নয়। এরা বছরে প্রায় ১২ হাজার মাইল পথ অতিক্রম করে। প্রাণীজগতে যেমন ঘুমকাতুরে প্রাণীর অভাব নেই, তেমনি অভাব নেই কম ঘুমানো প্রাণীরও। যেমন- ঘোড়া প্রতিদিন ৪-৫ ঘণ্টা ঘুমায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে একটু একটু করে। ডলফিন আর হাতি ঘুমায় মাত্র ২ ঘণ্টা।

কিন্তু গরিলা আর বিড়াল ঘুমের রাজা। এরা দুই জাতিই দিনে প্রায় ১৪ ঘণ্টা ঘুমিয়ে কাটায়। বাঘ, সিংহ, হরিণদের লাফালাফিতে যেমন সুনাম আছে ঠিক তেমনি দুর্নাম আছে হাতির। কারণ প্রাণিজগতের মধ্যে হাতিই একমাত্র প্রাণী, যে লাফাতে পারে না। বাদুড়ের ডানা অসম্ভব শক্তিশালী এক রাডার।

যা রাতের বেলা তাকে চলতে সাহায্য করে। আকাশে পাখীর উড়েচলা আর উড়োজাহাজের উড়েচলা একই সূত্রে। কিন্তু পাখীদের মধ্যে হামিংবার্ডই একমাত্র পাখী যে উল্টো দিকে উড়তে পারে। এই পাখীর আরেক বৈশিষ্ট্য হলো, এটি পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট পাখী। মাত্র ২.২৫ ইঞ্চি লম্বা, শরীরের চেয়ে ঠোঁট বড় আর ওজন প্রায় ছোট একটি খামের সমান।

এ রকম বৈচিত্র্যময় প্রাণীর সারিতে মরুর জাহাজ নামে খ্যাত উটও আছে। কারণ উট কোনো পানি পান না করেই একটানা ৩৪ দিন বেঁচে থাকতে পারে। আর এ সময়ে সে অতিক্রম করতে পারে ৫৩০ মাইল পথ। উটই একমাত্র প্রাণী যে সাঁতার কাটতে পারে না। আর এর বিপরীত দিকে যদি ভালুকের কথা বলা হয় তাহলে সত্যিই অবাক হতে হয়।

কারণ মাইনাস ৩০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় একটানা ৩০ মাইল সাঁতার কাটতে পারে মেরু ভালুক। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।