হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে এক সহকর্মী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে সোমবার ঢাকা মহানগরে আধাবেলা এই ধর্মঘট ডাকে পরিবহন শ্রমিকরা।
সকালে রাস্তায় বেরিয়ে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েন অফিসগামীরা, বাস না পেয়ে যাদের অনেককে হেটেই গন্তব্যে যাত্রা করতে দেখা যায়।
সকাল সাড়ে ৮টায় বাংলামোটর কারওয়ানবাজার, ফার্মগেট ও মহাখালীতে যানবাহনের অপেক্ষায় ছিল শত শত মানুষ। দুই একটি টেম্পো বা হিউম্যান হলার এলে তাতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছিলেন সবাই। কিন্তু জায়গা হচ্ছিল গুটিকয়েকের।
রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে কেবল সরকারি বিআরটিসির বাসই চলতে দেখা যায়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দুই একটি 'স্টাফ' বাসও চোখে পড়ে।
কারওয়ানবাজার থেকে অফিসগামী শত শত মানুষ মতিঝিল, পল্টন, গুলিস্তানের অফিসপাড়ায় হেটে যেতে দেখা গেছে। ফুটপাতে জায়গা না হওয়ায় তাদের রাস্তাতেও নেমে আসতে দেখা যায়।
ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েতুল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, পরিবহন শ্রমিক সিদ্দিকুর রহমানের নিহত হওয়ার প্রতিবাদে সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত শুধু ঢাকা মহানগরে পরিবহন ধর্মঘট হবে।
ধর্মঘট শেষে দুপুর ১২টায় ঢাকার ফুলবাড়িয়ায় নিহত সিদ্দিকুর রহমানের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে একটি লাঠি মিছিল বের করবে শ্রমিকরা।
শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশ চলাকালে রোববার বেলা পৌনে ২টার দিকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালায়ের সামনে ১০ থেকে ১৫টি হাতবোমা বিস্ফোরিত হয়। এরপর হেফাজতের কর্মীরা অন্তত ১৫টি গাড়িও ভাংচুর করে। এক পর্যায়ে তারা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা করতে গেলে দলের কর্মীরা বাধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ একের পর এক রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল ছুড়তে থাকে। এ সময় পুলিশের রিকুইজিশন করা হানিফ পরিবহনের একটি বাসের হেলপার সিদ্দিকুর রহমানের (২৮) মুখে গুলি লাগে।
ওই বাসের চালক জুয়েল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, স্টেডিয়ামের পাশে সংঘর্ষের সময় দাঁড়িয়ে ছিলেন সিদ্দিকুর। এ সময় তার মুখে গুলি লাগে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যান তিনি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।