আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব। অনেক, অনেক দিন আগের কথা..?
নারে ভাই বেশী দিন আগের কথা না..
আগে কোন অসৎ লোককে উপস্থীতি সামাজিক আচার অনুষ্ঠানে অনাকাংখিত ছিল। তাদেরকে এড়িয়ে চলত। এমন কি নামাজে বা কারো জানাজায় তাদের উপস্থীতি অস্বস্থীর কারন হতো।
আর আজকাল?
দূর্নীতি সামজিক স্ট্যাটাস হয়ে দড়িয়েছে।
কি করে তার টাকা হলো, তা কোনো ব্যপারনা। ওনার টাকা আছে সেটাই তার সামাজিক মর্জাদা। চোর না ডাকাত? কোন ব্যপার না।
৫০০০ টাকার মাইনের লোকের সন্তান কে যখন দামি গাড়ি বাড়ি নিয়ে বড়াই করতে দেখি এক বারও আমাদের মনে হয় না ওর পিতার এই আয়ের উৎস কি? বরং আমরা নৈকট্যলাভের আশায় ব্যাস্ত হয়ে পরি। আগ্রহী হয়ে উঠি কি করে তার মত টাকা কামানো যায়।
হায়! আমাদের মানুষিক দীনতা আজ কোথায় পৌছেছে?
পাপে কি বাপেরে ছারে? ছারেনা রে ভাই, ছারেনা। আর পুরানো কথায় আছে দূর্জন কে পরিত্যাগ করার উপদেশ।
বাস্তব উদাহরন, জোট সরকারের আমলের দূর্নীতিবাজ সাবেক মন্ত্রী ও গডফাদার এমপিদের নিয়ে বিপাকে পরেছে বিএনপি।
বিএনপি দলীয় সাবেক ৬৩ এমপির বিরুদ্ধে দূর্নীতি সন্ত্রাস দখলের কারণে গত নির্বাচনে তাদের ভরাডুবি হয়েছিল। দীর্ঘ ৬ বছরেও তারা তাদের ইমেজ উদ্ধার করতে পারেনি।
অনেকে এখনো এলাকায় যেতে না পারলেও, এলাকায় তারা সকেলই বিএনপির মনোনয়ন প্রার্থী। এদের নিয়ে বিএনপির হাই কমান্ড চিন্তিত।
গত নির্বাচনে বিএনপির দুই ডজন মন্ত্রী এবং ৬৩ এমপিকে বিএনপির হাইকমান্ড বড় বেকায়দায় পড়েছে। এদের আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন দিলে বিএনপির ভরাডুবি আবার মনোনয়ন না দিলে কালো টাকর জোড়ে এলাকায় বিদ্রোহী প্রার্থী হবে। এ নিয়ে বর্তমানে বিএনপির হাইকমান্ড চিন্তিত।
অপর দিকে এসব দূর্ণীতিবাজ ও গর্ডফাদার এমপিদের বিরুদ্ধে একাধিক দূর্ণীতি মামলা আদালতে ঝুলছে। আবার এদের মধ্যে অনেকে গ্রেফতার এড়াতে পলাতক রয়েছে।
এনবিআর ও দূর্ণীতি দমন কমিশন দুদকের দায়েরকৃত মামলা এসব মন্ত্রী এমপি কেউ সাজা প্রাপ্ত হাইকোর্টে আপীল করে জামিনে রয়েছে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তার দুই পুত্র তারেক রহমান, আরাফাত রহমান কোকো সহ ৬৩ জন মন্ত্রী ও গর্ডফাদার এমপি রয়েছে।
এরা হলেন
১।
ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমদ
২। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী
৩। ব্যারিষ্টার আমিনুল হক
৪। গিয়াস উদ্দীন আল মামুন
৫। লুৎফর রহমান বাবর
৬।
মির্জা আব্বাস
৭। আখতার হামিদ পবন
৮। নাসির উদ্দীন পিন্টু
৯। সাদেক হোসেন খোকা
১০। আব্দুল মতিন
১১।
ওয়াদুদ ভূইয়া
১২। এম এ হাসেন
১৩। আবুল খায়ের ভূঁইয়া
১৪। এ্যাড: নাদিম মোস্তফা
১৫। অ্যাড: তৈয়মুর আলম খন্দকার
১৬।
আলতাফ হোসেন চৌধুরী
১৭। আলী আজগর লবী
১৮। আরিফুল হক চৌধুরী
১৯। আসাদুল হাবিব দুলু
২০। বরকত উল্লাহ বুলু
২১।
মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম
২২। ব্যারিষ্টার শাজাহান ওমর
২৩। ডাঃ ফিরোজ মাহমুদ ইকবাল
২৪। শাহরিন ইসলাম তুহিন
২৫। একেএম ফজলুল হক মিলন
২৬।
ফজলুর রহমান পটল
২৭। হাফিজ ইব্রাহিম
২৮। হারিজ চৌধুরী
২৯। এমএএইচ সেলিম
৩০। মজিবর রহমান সারোয়ার
৩১।
মোসাদেক আলী ফালু
৩২। মুফতি শহীদুল ইসলাম
৩৩। এজেড এম জাহিদ হোসেন
৩৪। রুহুল কুদ্দুছ তালুকদার দুলু
৩৫। সালাউদ্দীন আহমেদ
৩৬।
সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল
৩৭। তরিকুল ইসলাম
৩৮। মাহমুদুর রহমান,
৩৯। বিএম বরিক হোসেন
৪০। নাসের রহমান
৪১।
এম ইলিয়াস আলী
৪২। গিয়াস উদ্দীন
৪৩। জয়নাল আবেদিন ফারুক
৪৪। অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম
৪৫। মঞ্জুরুল আহসান মুন্সি
৪৬।
সৈয়দ মেহেদী আহম্মেদ রুমি
৪৭। আব্দুল ওয়াদুদ ভূইয়া
৪৮। মিজানুর রহমান চৌধুরী (জামায়াত)
৪৯। এসএ খালেক
৫০। জহির উদ্দিন স্বপন
৫১।
অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন
৫২। মাষ্টার শহিদুল ইসলাম
৫৩। মোজাহার হোসেন
৫৪। মোস্তফা কামাল পাশা
৫৫। নুরুল ইসলাম মনি
৫৬।
সারোয়ার জামাল নিজাম
৫৭। শহিদুল আলম তালুকদার
৫৮। আলমগীর কবির এমপি।
*সেরা পাঁচের কথা সকলের জানা তাই উল্লেখ করলাম না। (উনাদের নাম নিতে হয় না।
)
এদের মধ্যে ২৩ জন এমপি এখনো পলাতক রয়েছে। এছাড়া আরো শতাধিক এমপির বিরুদ্ধে দূর্ণীতি মামলা রয়েছে। তারাও এলাকায় বিতর্কিত। দূর্ণীতির কারণে মামলা দায়ের হওয়ায় এলাকায় তাদের অবস্থান নেই।
বিগত বিএনপি জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে সারাদেশে এদের দূর্ণীতি প্রাতিষ্ঠানিকতা পেয়েছিল।
ঐ সময় সব মন্ত্রী ও গর্ডফাদার এমপিরা দ্রুত তাদের ভাগ্য বদলায়। জোট সরকার ক্ষমতা হস্তান্তরের পর বিভিন্ন মিডিয়ায় নানাভাবে জোটের এসব মন্ত্রী এমপি ও হাওয়া ভবনের কর্মকর্তাদের দূর্ণীতির চিত্র প্রকাশ পেতে থাকে।
তাদের লাগামহীন দূর্নীতি যথারীতি তাদের ভাগ্য বদলায়, তারই ধারাবাহিকতায় ১/১১ সৃষ্টি হয়। এসব মন্ত্রী এমপিদের বিরুদ্ধে সবমিলে প্রায় সহস্রাধিক দূর্ণীতির মামলা রয়েছে। তাই এদর নিয়ে বিএনপির হাইকমান্ড চিন্তিত।
এসব মন্ত্রী এমপি এলাকা রাজনৈতিক দুর্বৃত্ত বলে পরিচিত, তাদের কোন রাজনৈতিক বা সামাজিক অবস্থান নেই। অথচ আগামী নির্বাচনে এরা সকলেই মনোনয়ন প্রত্যাশী। এদের মনোনয়ন দেয়া হলে বিএনপির ভরাডুবির আশংকা রয়েছে। আবার মনোনয়ন না দিলে তারা এলাকায় বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে অংশ নিবে। এই নিয়ে খালেদা জিয়া সহ বিএনপির হাইকমান্ড চিন্তিত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।