জানতে চাই জানাতে চাই আমাদের দেশে বিভিন্ন অঞ্চলে বহু যুক্তিহীন ভ্রান্ত ধারণা, বিশ্বাস, গোঁড়ামি,কুসংস্কার প্রচলিত রয়েছে। যা প্রতিনিয়ত মানুষ কথায় ও কাজে ব্যবহার করে থাকে। সবার মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির জন্যই সমাজে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য কুসংস্কার থেকে এখানে কয়েকটি মাত্র উল্লেখ করার চেষ্টা । এসবের সঙ্গে বিজ্ঞান ও ধর্মের কোন মিল নেই,শুধুমাত্র সামাজিক বিভিন্ন পরম্পরায় আমরা অনেকে এসব মেনে আসছি । এসব কুসংস্কারের মধ্যে কিছু সাধারণ বিবেক বিরোধী এবং রীতিমত হাস্যকরও ।
এসব না মানলে কোথাও কেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও শোনা যায়নি আজ পর্যন্ত । শিক্ষিত, অশিক্ষিত, সচেতন, অসচেতন সব ধরনের মানুষ অন্ধবিশ্বাসে এগুলোকে লালন করে। এ ব্যাপারে সচেতন হওয়া জরুরী কিনা সেই আলোচনায় না গিয়ে আসুন জেনে নেই এমনি কিছু মজার কুসংস্কার । তবে কারো নিয়ম বা অনুভূতিতে আঘাত লাগলে তার জন্য আমি দায়ী থাকবোনা ।
১) ডান হাতের তালু চুলকালে টাকা আসবে।
আর বাম হাতের তালু চুলকালে বিপদ আসবে।
২) নতুন বউকে নরম জায়গায় বসতে দিলে মেজাজ নরম থাকবে।
৩) অনুপস্হিত কাউকে নিয়ে কথা বলার সময় , হুট করেোরেশে চলে আসলে , কেউ কেউ বলে উঠে ” তোর হায়াত আছে। ” কারণ একটু আগেই তোর কথা বলছিলাম।
৪) পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পূর্বে ডিম খাওয়া যাবে না।
তাহলে পরীক্ষায় ডিম (গোল্লা) পাবে।
৫)বাড়ী থেকে কোথাও জাওয়ার উদ্দেশে বেড় হলে সে সময় বাড়ির কেউ পেছন থেকে ডাকলে অমঙল হয়।
৬) রাতে নখ, চুল ইত্যাদি কাটতে নাই।
৭) বিড়াল মারলে আড়াই কেজি লবণ দিতে হবে।
৮) জোড়া কলা খেলে জোড়া বাচ্চা হবে ।
৯) ঘর থেকে কোন উদ্দেশ্যে বের হওয়ার পর পেছন থেকে ডাক দিলে যাত্রা অশুভ হবে।
১০) ব্যাঙ ডাকলে বৃষ্টি হবে।
১১) ছোট বাচ্চাদের দাঁত পড়লে ইঁদুরের গর্তে দাঁত ফেলতে বলা হয়, এবং সঙ্গে এই মন্ত্র বলতে শিখানো হয়, “ইঁদুর ভাই, ইঁদুর ভাই, তোর চিকন দাঁত টা দে, আমার মোটা দাঁত টা নে। ”
১৬) মুরগীর মাথা খেলে মা-বাবার মৃত্যু দেখবে না।
১৭) বলা হয়, কেউ ঘর থেকে বের হলে পিছন দিকে ফিরে তাকানো নিষেধ।
তাতে নাকি যাত্রা ভঙ্গ হয় বা অশুভ হয়।
১৯) রাতে বাঁশ কাটা যাবে না।
২০) দোকানের প্রথম কাস্টমর ফেরত দিতে নাই।
২১) ঘর থেকে বের হয়ে বিধবা নারী চোখে পড়লে যাত্রা অশুভ হবে।
২২) ঘরের চৌকাঠে বসা যাবে না।
২৪) বিধবা নারীকে সাদা কাপড় পড়তে হবে।
২৫) ভাঙ্গা আয়না দিয়ে চেহারা দেখা যাবে না। তাতে চেহরা নষ্ট হয়ে যাবে।
২৬)নতুন স্ত্রীকে দুলা ভাই কোলে করে ঘরে আনতে হবে।
২৭) নতুন কাপড় পরিধান করার পূর্বে আগুনে ছেক দিয়ে পড়তে হবে।
২৯) হঠাৎ বাম চোখ কাপলে দুখঃ আসে।
৩০) আশ্বিন মাসে নারী বিধবা হলে আর কোন দিন বিবাহ হবে না।
৩২) রাতের বেলা কাউকে সুই-সূতা দিতে নাই।
৩৩) গেঞ্জি ও গামছা ছিঁড়ে গেলে সেলাই করতে নাই।
৩৪) খালি ঘরে সন্ধ্যার সময় বাতি দিতে হয়।
না হলে ঘরে বিপদ আসে।
৩৫) গোছলের পর শরীরে তেল মাখার পূর্বে কোন কিছু খেতে নেই।
৩৬) মহিলার পেটে বাচ্চা থাকলে কিছু কাটা-কাটি বা জবাই করা যাবে না।
৩৮) কোন ব্যক্তি বাড়ি হতে বাহির হলে যদি তার সামনে খালি কলস পড়ে যায় বা কেউ খালি কলস নিয়ে তার সামনে দিয়ে অতিক্রম করে তখন সে যাত্রা বন্ধ করে দেয়, বলে আমার যাত্রা আজ শুভ হবে না।
৩৯) ছোট বাচ্চাদের হাতে লোহা পরালে ভুত জীন ধরবেনা ।
৪০) রুমাল, ছাতা, হাত ঘড়ি ইত্যাদি কাউকে ধার স্বরূপ দেয়া যাবে না।
৪১) হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলে দুর্ভোগ আছে।
৪২) হাত থেকে প্লেট পড়ে গেলে মেহমান আসবে।
৪৩) নতুন স্ত্রী কোন ভাল কাজ করলে শুভ লক্ষণ।
৪৪) তিন রাস্তার মোড়ে বসতে নাই।
৪৫) স্বামীর নাম বলা জাবে না এতে অমঙল হয়।
৪৬) বাচুর এর গলায় জুতার টুকরা জুলালে কারো কু দৃস্টি থেকে বাচা জায়।
৪৭) খাবার সময় যদি কারো ঢেকুর আসে বা মাথার তালুতে উঠে যায়, তখন একজন আরেকজনকে বলে,তোকে যেন কেউ স্মরণ করছে বা বলা হয় তোকে গালি দিচ্ছে।
৪৮) কাক ডাকলে বিপদ আসবে।
৪৯) শুঁকুন ডাকলে মানুষ মারা যাবে।
৫০) পেঁচা ডাকলে বিপদ আসবে।
৫১) তিনজন একই সাথে চলা যাবে না।
৫২) দুজনে ঘরে বসে কোথাও কথা বলতে লাগলে হঠাৎ টিকটিকির আওয়াজ শুনা যায়, তখন একজন অন্যজনকে বলে উঠে “তোর কথা সত্য, টিকটিকি ঠিক ঠিক বলেছে। ”
৫৩) একজন অন্য জনের মাথায় টোকা খেলে দ্বিতীয় বার টোকা দিতে হবে, একবার টোকা খাওয়া যাবে না। নতুবা মাথায় ব্যথা হবে/শিং উঠবে।
৫৪) ভাত প্লেটে নেওয়ার সময় একবার নিতে নাই।
৫৬) নতুন স্ত্রীকে স্বামীর বাড়িতে প্রথম পর্যায়ে আড়াই দিন থাকতে হবে।
৫৭) পাতিলের মধ্যে খাবার খেলে মেয়ে সন্তান হবে।
৫৮) পোড়া খাবার খেলে সাতার শিখবে।
৫৯) পিপড়া বা জল পোকা খেলে সাতার শিখবে।
৬০) দাঁত উঠতে দেরি হলে সাত ঘরের চাউল উঠিয়ে তা পাক করে কাককে খাওয়াতে হবে এবং নিজেকেও খেতে হবে।
৬১) সকাল বেটা ঘুম থেকে উঠেই ঘর ঝাড়- দেয়ার পূর্বে কাউকে কোন কিছু দেয়া যাবে না।
৬২) রাতের বেলা কোন কিছু লেন-দেন করা যাবে না।
৬৩) সকাল বেলা দোকান খুলে যাত্রা (নগদ বিক্রি) না করে কাউকে বাকী দেয়া যাবে না। তাহলে সারা দিন বাকীই যাবে।
৬৪) দাঁড়ী-পাল্লা, মাপার জিনিস পায়ে লাগলে বা হাত থেকে নিচে পড়ে গেলে সালাম করতে হবে, না হলে লক্ষ্মী চলে যাবে।
৬৬) রাতের বেলা কাউকে চুন ধার দিলে চুন না বলে দই বলতে হবে।
৬৭) বাড়ি থেকে বের হলে রাস্তায় যদি হোঁচট খেয়ে পড়ে যায় তাহলে যাত্রা অশুভ হবে।
৬৮) কোন ফসলের জমিতে বা ফল গাছে যাতে নযর না লাগে সে জন্য মাটির পাতিল সাদা-কালো রং করে ঝুলিয়ে রাখতে হবে।
৭৪) দা, কাচি বা ছুরি ডিঙ্গিয়ে গেলে হাত-পা কেটে যাবে।
৭৫) গলায় কাটা বিঁধলে বিড়ালের পা ধরে মাপ চাইতে হবে।
৭৬) বেচা কেনার সময় জোড় সংখ্যা রাখা যাবে না। যেমন, এক লক্ষ টাকা হলে তদস্থলে এক লক্ষ এক টাকা দিতে হবে। যেমন, দেন মোহর (কাবীন) এর সময় করে থাকে, একলক্ষ এক টাকা ধার্য করা হয়।
৭৭) ভাই-বোন মিলে মুরগী জবেহ করা যাবে না
সংগ্রহ এখান থেকে ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।