স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি, বাস্তবতা কঠিন...
জাতীয় শিক্ষানীতি-২০০৯!!
এতে কত কৌশলেই প্রথম ও ২য় শ্রেণী থেকে ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষাকে বাদ দিয়ে তার স্থলে "ললিত কলা" শিখানোর ব্যাবস্থা করা হয়েছে।
আরো আছে একটু পড়ুন হাসিতে দম ফেটে যাবে..........
যেখানে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষই ইসলাম ধর্মের অনুসারী সেই দেশেই সাধারন শিক্ষা ধারার মানবিক ও ভোকেশনাল শিক্ষায় ধর্মকে করা হয়েছে ঐচ্ছিক বিষয়!!! আর বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষার পাঠ্যসূচী থেকে ধর্মকে একেবারেই বাদ দেয়া হয়ছে, কত কৌশলৈই ইসলামকে অবহেলা করা হচ্ছে!!
** সবছেয় মজার ব্যাপার হল মাদ্রাসা যেখানে ধর্মীয় শিক্ষা দেয়া হয় সেই খোদ মাদ্রাসাতেই তৃতীয় শ্রেণী থেকে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত কুরআন, তাজবিদ, আকাইদ ও ফিকাহকে অতিরিক্ত বিষয় হিসেবে রাখা হয়েছে।!!
মাদ্রাসার ৯ম ও ১০ম শ্রেণীর মানবিক, বিজ্ঞান বিভাগেই আরবী ২০০ নম্বরের স্থলে ১০০ নম্বর এবং হাদিস, ফিকাহ ২০০ এর স্থলে ১০০ নম্বন এবং বিজ্ঞান বিভাগে এসব বিষয়ের কোনটাই রাখা হয়নি, কত সংকীর্নতা!!
এভাবে মাদ্রসা শিক্ষায় কুরআন, হাদিস, ফিকাহ, আরবী শিক্ষাকে ৫০ ভাগ কমিয়ে আনা হয়ছে, বাস্তবে হাসিরই বিষয়।
বিগত ২৬ আক্টোবর ২০০৯ শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটির একজন গুরুত্ব পূর্ন সদস্য মন্তব্য্ করেন " অতীতে ধর্ম শিক্ষা দিতে গিয়ে ছোট বাচ্চাদের ঘোরতর সাম্প্রদায়িক মানষ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে"।
দেখুন ইসলাম সম্প্রর্কে কত অজ্ঞই ছিলেন তিনি!! অথচ ইসলাম কখোনোই সাম্প্রদায়িকতাকে প্রস্রয় দেয় না। যার ইসলামের নামে দুর্নাম ছড়ানোর জন্য এসব করে মহান আল্লহ যেন তাদের হেদায়েত দান করেন।
আর একটু লক্ষ করুন এই শিক্ষনীতি জনগনকে বিচার করার জন্য যথেষ্ট সময় দেয়া হয় নি.... সুতারং এই ধর্ম বিরোধী শিক্ষনীতির বিরুদ্দে সচেতন মানুষের ঐক্য এখন সময়ের দাবি.....................
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।