সোমবার দুপুরে এ উপলক্ষে খুলনা শিপইয়ার্ডে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপুমনি গত ৮ অক্টোবর পানিতে ভাসিয়ে প্রথম জাহাজটি উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রধান ভাইস এডমিরাল এম ফরিদ হাবিব প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমার নিষ্পত্তি হওয়ার ফলে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা বেড়ে গেছে।
এর ফলে যুদ্ধজাহাজের প্রয়োজনীয়তা এখন অনেক বেশি। আর যুদ্ধজাহাজ নির্মাণে খুলনা শিপইয়ার্ড লি. গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
খুব শিগগিরই খুলনা শিপইয়ার্ডে নির্মিত যুদ্ধজাহাজ বিদেশে রপ্তানি করা যাবে বলে নৌবাহিনী প্রধান আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন খুলনা শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর আরইউ আহমেদ।
২০১১ সালের মার্চ মাসে যে পাঁচটি যুদ্ধজাহাজের কাজ শুরূ হয়েছিল সেগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় যুদ্ধজাহাজটি এবার নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।
৫০ দশমিক ৪০ মিটার দৈর্ঘ্য, সাত দশমিক ৫০ মিটার প্রস্থ এবং চার দশমিক ১০ মিটার গভীরতার এই জাহাজটি সমুদ্রসীমা রক্ষা, চোরাচালান রোধ, মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ ও দুর্যোগকালীন পরিস্থিতি মোকাবেলাসহ জাতীয় প্রতিরক্ষায় মুখ্য ভূমিকা পালন করবে।
২০১১ সালের ৫ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুলনায় নৌবাহিনীর এই জাহাজের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেছিলেন।
নৌবাহিনীর জন্য এরকম পাঁচটি জাহাজ তৈরি করবে খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড। প্রতিটি জাহাজে গড়ে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৮ কোটি টাকা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।