আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অতএব, ধর্ষণ করিতেই হইবে..!!

ধর্মান্ধ মুমিন বান্দাদের লন্ডভন্ড করব ! আগে পুরোটা পড়ুন। এরপর যদি আপনার পুরুষানুভূতি কিংবা নারীঅনুভূতিতে আঘাত লাগে তবে না হয় গালি দিবেন । ক্যমন ?? **ধরুন পথে চলিতে কোন স্বল্পবসনা কিংবা অধিকবসনা ললনাকে দেখিয়া আপনার দেহে শিহরণ জাগিল। বিশেষ অঙ্গখানি নাড়াচাড়া করিতে লাগিল। কন্যার প্রস্ফুটিত অঙ্গের পানে আড়চোখে কিংবা সোজাচোখে তাকিয়ে আপনি চিন্তা করিতে লাগিলেন যে সম্পদ আছে বলিয়াই চোর তাহা চুরি করে।

সম্পদ না থাকিলে তো চুরির প্রশ্ন আসে না। তাই দোষ নিশ্চিতভাবেই চোরের নয় ;সম্পদের। অতএব , কন্যাটিকে ধর্ষণ করিতেই হইবে ! **ধরুন আপনি বিবাহিত পুরুষ। আপনার খুব প্রাণপ্রিয় একখানা পুস্তক আছে। যাহাতে লেখা রয়েছে স্ত্রী যদি কোন করনে সঙ্গমে রাজী না হয় তবে তাহাকে পিটিয়ে আধমরা করে হলেও বিছানায় শোয়াতে হবে।

ইহাতে কোন সমস্যা নাই। আপনি কিঞ্চিত চিন্তা করিয়া দেখিলেন যে নারীরা সত্যই ভোগের সামগ্রী। নিশ্চিতভাবেই তাহাদের মন বলিয়া কোন বস্তু নেই। পুরুষের মনই তাহাদের মন। পুরুষের সন্মুখে দু পা ছড়িয়ে দেয়াই তাহাদের একমাত্র দায়িত্ব।

সুতরাং মারিয়া হোক, কাটিয়া হোক স্ত্রীকে ধর্ষণ করিতেই হইবে। [img|http://cms.somewhereinblog.net/ciu/image/131624/small/?token_id=7fda65ed72b4936e14b07c5f41432173 **ধরুন বোরকা এবং হিজাবকেই আপনি সকল সমস্যার সমাধান হিসাবে মনে করেন। কারন আপনার জন্য বোরকা বা হিজাব পড়ার কোন নিয়ম নেই। একদিন হঠাৎ বোরকা পরিহিত দুটি প্রেতিনীর সহিত আপনার সাক্ষাত হয়ে গেল। আপনি অভ্যাসমত টিজ করা শুরু করিলেন।

কিছুক্ষণ পরে আপনি খুব অবাক হয়ে লক্ষ্য করলেন যে আপনি টিজ করছেন এবং করতে পারছেন !! কিন্তু এমন তো হবার কথা নয়। কারণ আপনার মতে বোরকা এবং হিজাবের “কুদরতি ক্ষমতার ” গুনে কেউ টিজ করতে পারবে না । বোরকার দোষ তো কিছুতেই দেয়া যাবে না। তাহলে নিশ্চিতভাবেই প্রেতিনীদ্বয় নষ্ট ! কারন বোরকা থাকা সত্তেও আপনার কামভাব জেগেছে। সুতরাং ওদের ধর্ষণ করিতেই হইবে।

**ধরুন আপনি প্রেম করেন কোন এক কন্যার সাথে। কিন্তু ইদানিং আপনার একাধিক সম্পর্ক এবং ডাইল-গঞ্জিকা সেবনের প্রমান পেয়ে মেয়েটি আপনাকে এড়িয়ে চলে। মাইয়া মানুষের এতবড় সাহস আপনি কিভাবে সইবেন বলুন। প্রতিশোধ নিতে হইবে প্রতিশোধ। ধর্ষণ করিতেই হইবে এবং সেই ভিডিওখানি নেটে লোড দিতে হইবে।

এই না হলে পুরুষ !! **ধরুন আপনি খুবই বড়লোক । বাড়িতে একাধিক কাজের ময়ে পালেন। এর মাঝে একজন আপনার চোখে পড়িয়া গেল। সে যখন ঘর মুছত তখন পেছন থেকে আপনি তাহার স্ফীত নিতম্বের সৌন্দর্য্য উপভোগ করিতে লাগিলেন। কিংবা ঘর ঝাড়ু দেবার সময় জামা থেকে বের হয়ে আসা স্তনের অংশবিশেষ আপনার ভেতরে কামোত্তেজনা তৈরি করছে।

আপনি ভাবলেন মেয়েটি আছে বলেই আপনার কামভাব জেগেছে। তাহলে দোষ মেয়েটির। আর কামভাব জাগিলে তাকে নিয়ন্ত্রণ করার প্রশ্নই আসে না। পুরুষ বলে কথা। মেয়েরাই শুধু কামভাব প্রকাশ করতে পারবে না বইয়ে এটাই লেখা আছে।

সুতরাং কাজের মেয়েটিকে ধর্ষণ করিতেই হইবে। কুনো ছাড় নাই। **ধরুন বিধর্মী কোন বালিকাকে আপনার মনে ধরল। সেইসাথে আপনার মনে পাপের ভয়ও ঢুকল। পাপী বলে কি আপনার পাপবোধ নেই ? আপনি একটু চিন্তা করে বের করলেন যে মেয়েটিকে যদি কোনভাবে ধর্মান্তরিত করা যায় তবেই কেল্লাফতে !! সওয়াবও হবে আবার নিন্মাঙ্গ শান্ত হবে।

হিন্দুদের রক্ত নাকি অন্য ধরনের । তবে তো ভিন্ন ধরনের স্বাদ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশী। ধর্ষণ করিতেই হইবে; করিতেই হইবে !! *************************** এখন বলুন তো ধর্ষণ না করিয়া আপনি থাকিবেন কিভাবে ? আপনি তো মানুষ নন। আপনি তো পুরুষ !!!! (সংবিধববদ্ধ সতর্কীকরন : এই লেখাটি শুধুমাত্র "পুরুষানাভুতিতে" আঘাত দেবার জন্যই লেখা। ") ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.