আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মেজর জেনারেল জিয়া আহমেদ, চেয়ারম্যান, বিটিআরসি শান্তিতে থাকুন

দেশের কিছু ব্যক্তিবর্গ আছে যাদের সাতে আমার ব্যক্তিগত পরিচয় নেই। কিন্তু তারপরও অনেক পরিচিত মনে হয়, তাদের কাজ ও দায়িত্বশীলতার জন্য। বিটিআরসি-র চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল জিয়া আহমেদ তেমন একজন। বিটিআরসি-র চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর গৃহীত কাজগুলো প্রতিনিয়ত খুটিয়ে খুটিয়ে দেখছি। মোবাইল কোম্পানিগুলোর দায়িত্বশীল ব্যবসা নিশ্চিতে তার দৃঢ় পদক্ষেপ, দেশের মানুষের অর্থ রক্ষায় জনপ্রতিনিধিদের মতামতের বিপরীতে তার দায়িত্বশীল অবস্থান প্রশংসার দাবিদার।

মোবাইল কোম্পানিগুলো সরকারকে কর না দিতে একদিন নানা বাহনা করে। অপর দিকে অহেতুক ও অনৈতিক বিজ্ঞাপন, ভিওআইপি, অবৈধ সিম, ভৌতিক বিল, নানা সার্ভিস চার্জ, সরকারী কাজে অসহযোগিতা, অর্থ পাচারসহ নানাভাবে দেশের আইন ও মানুষের অধিকারকে লঙ্গন করার অব্যাহত অপচেষ্টাকে তিনি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে প্রচেষ্টা করেছেন। জনপ্রতিনিধিদের ক্ষতিকর বিড়ি দাম কমাতে রাজস্ব বোর্ডকে চিঠি দিতে দেখি। কিন্তু বিদুৎতে স্ল্যাব এবং দাম বৃদ্ধির মাধ্যমে মানুষ হতে অতিরিক্ত বিল নিতে চুপ করে থাকতে দেখেছি, যা হতাশা করে। কিন্তু জিয়া আহমেদ-র মতো জনসেবকদের দায়িত্বশীল আচরণ আবার আশার আলো দেখায়।

জনপ্রতিনিধির চাপের পরও তিনি কোম্পানিগুলোর অযৌক্তিক বানিজ্যের পথ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালণ করেছে। জনগনের প্রতিষ্ঠানহতে বিশেষ করে গ্রামীনফোনে ফোন করলে অনেক সময় লাইন পাওয়া যায় না, পাওয়া যায় নেটওয়ার্ক বিজি, এই মোবাইল নম্বরটি বন্ধ, এটি কোন গ্রাহকের নম্বর নয়, কথা বলার সমস্যাসহ নানা সমস্যা। আপনি পরিষ্কার বুঝি এ কাজগুলো প্রাইভেট কোম্পানির জনগনের প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ করার অপচেষ্টা। ভাবছিলাম প্রমাণসহ তাকে প্রেরণ করবে। কিন্তু তার আগেই বিদায় নিলেন।

তারপও যতটুকু দায়িত্ব পালণ করেছেন তার জন্য অনেক শ্রদ্ধা। শান্তিতে থাকুক তাঁর আত্মা। ছবি : ইন্টারনেট  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.