আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অন্ধকারের আগে

আমি এমন এক সাধারন মানুষ হতে চাই যে অসাধারন হবার পেছনে দৌঁড়ায়না এবং বিনা প্রশ্নে কিছু গ্রহন করেনা । দৌড়াচ্ছে সে , প্রাণপনে দৌড়াচ্ছে । দৌড়াচ্ছে আর ভাবছে আরেকটু পথ , আরেকটু । পার হতে পারলেই এ যাত্রায় বেঁচে যাবে । আরো কিছুদিন ধরে প্রতিশোধ নেবার তাড়নায় বাঁচবে ।

গণতন্ত্র , মৌলিক অধিকার , সুস্থভাবে বাঁচবার অধিকার এসব বাপের জন্মেও শোনেনি । জন্মের পর থেকে দেখে আসছে প্রতিদিন বাপ মাকে পেঁদায় । বাইরে থেকে নেশায় চুর হয়ে ছোট ঘুপচিতে এসে ঢুকতো আর পেঁদাতো । তার ষোল বছর বয়সে আর যখন পোষালোনা , চলে গেলো বাপ । এর পর চলে গেলো মা ।

বোনটা গার্মেন্টসে কাজ করতো । ম্যানেজার , মালিক মিলে তাকে ছিড়ে - খুঁড়ে খাওয়ার পর লাশ করে ' বেশ্যা ' বানিয়ে ছেড়ে দিলো । শালা শুয়োরের বাচ্চা পুলিশ পয়সা পয়সা পাইলে বোনরেও বেশ্যা বানিয়ে ছেড়ে দেয় সেখানে কোন এক ফকিন্নির ঝি মরলে কি যায় আসে ? আজকে এখানে কালকে ওখানে দীর্ঘদিন এভাবে চলেছে সে । তারপরে পরিচয় তার মত কয়েকজনের সাথে । তারা বদলা নিতে চায় ।

পাড়ার মাস্তান , গলির পুলিশ থেকে শুরু করে একদিন পৌঁছে যাবে উপরের মাথা পর্যন্ত । সবাই ভয় পাবে । নোংরায় , ঘিঞ্জি বস্তিতে বেঁচে থাকে যার জন্য তা কী দেখতে পারবে কখনো এই ভাবতে ভাবতে দৌড়ের গতি বাড়িয়ে দিলো । ছুটতে ছুটতেও মানুষের একসময় হুশ থাকেনা । সামনে যে বড় ইটের চাঁই ছিলো তা দেখেনি ।

আছাড় খেয়ে পড়ে যেতেই বুঝলো আর হচ্ছেনা । এই যাত্রায় তার এবারই শেষ , চারপাশ অন্ধকার হবার সময় হয়ে এলো বলে । এইবার পাইছি তোরে । মাদারচোতটাকে তোল , এই বান্দির পুতের পিছে দৌড়াইয়া দৌড়াউয়া জান শেষ । হারামীটাকে জানে মেরে ফেলার আগে আচ্ছামত পেঁদাবো ।

কোথায় বশীরের ডেরায় সেই কচি মালটার বুনি ছানাছানি করবো তা না , শুয়োরের বাচ্চাটাকে এখনই আসতে হবে । উঠা শুয়োরের বাচ্চাকে উঠা , প্রচন্ড হাঁক ডেকে উঠে কালো পোশাক পরনেওয়ালাদের বস । প্রচন্ড মারের সময়তেও কারো মুখ দেখেনি সে । পেঁদিয়ে সিধা করার পরেও কারো মুখ দেখতে পেলোনা । গুলিতে যখন শূন্য হয়ে যাবে সব ঠিক তার আগ মুহূর্ত্বে ক্ষীণ হয়ে আসা দৃষ্টিতে হাঁকডাক দেওয়া সেই মালটার মুখ দেখলো ।

দেখেই মনে করতে দেরী হলোনা । এই তো সেই মাল । বোনটাকে যেই বাইঞ্চোতগুলা ' বেশ্যা ' বানিয়েছিলো এই মাল তাদের একজন । পুলিশে থেকে তখন শালা রোয়াব দেখিয়েছিলো বহুত । তারপর থেকে প্রতিদিন মনে করে ছিলো ।

কেবল একটা সুযোগ পাইলে সবকয়টা শালাকে শেষ করবেই করবে । সব অন্ধকার হয়ে আসবে নিশ্চিত জেনে শেষ মুহূর্ত্বে ঝাঁপিয়ে পড়লো সে । তারপর কি হয়েছিলো দেখতে পেলোনা । বুক আর পেট ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিলো । লাশটার জায়গা হলো কিছুদূরের ডাস্টবিনের পাশে ।

আর পাঁচটা সেকেন্ড পরে সব শূন্য হয়ে গেলে দেখতে পেতো সেই শুয়োরের বাচ্চা প্রচন্ড ব্যাথায় নিজের হাত আকঁড়ে ধরে লাথি খাওয়া কুকুরের মত কুঁইকুঁই করছিলো । ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।