আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

"ঘেটুপুত্র কমলা" নিয়ে মৌলবাদী সংগঠন জামাত-শিবিরের অপপ্রচার ও তার প্রতিউত্তর !

আমি একা নই......আরও অনেকে আমার সাথে । এই মুহূর্তে সকল রাজনৈতিক কর্মকান্ডের ভিড়ে ও আমাদের কে আরও একটা বিষয় নিয়ে বেশ ভাবতে হচ্ছে। এটা হল সদ্য প্রয়াত জননন্দিত কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহম্মেদ এর জীবাদ্যশায় নির্মিত শেষ চলচিত্র ঘেটুপুত্র কমলা নিয়ে। বাংলা সিনেমায় একটা নতুন ধারা সৃষ্টি করে দিয়ে গেছেন এই জননন্দিত কথা সাহিত্যিক এটা অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই। একটা বিষয় খুব স্পষ্ট খেই হারিয়ে ফেলা বাংলা চলচিত্র যার হাত ধরে আমার নিজের ধারায় ফিরে এসেছে তাদের মধ্যে হুমায়ুন আহমেদ ছিলেন একজন।

উনার বেশ কিছু সিনেমা জাতীয় চলচিত্র পুরস্কার লাভ করেছে। বলা যায় বাংলা সাহিত্যে গল্প, উপন্যাস, টেলিভিশন মিডিয়ায় নাটক এর সফল একজন নির্মাতা হওয়ার পরে বাংলা সিনেমায় ও খুব সহজে উনি সফল হয়েছিলেন। স্যালুট হুমায়ুন আহমেদ কে। ঘেটুপুত্র কমলা হলো জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ এর শেষ চলচিত্র। ঘেটুপুত্র কমলা নিয়ে কথা বলতে গেলে বলতে হয় ভাটি অঞ্চলের অনেক পুরাতন লোকগীতির নাম হল ঘেটু গান।

যা তথ্য অনুসারে প্রাপ্য ১৫০ বছর ধরে প্রচলিত। তত্কালীন সময়ের সামাজিক চিত্র যা ছিল আমি বলব না (যেহেতু আমি সেই পরিস্থিতি দেখিনি) যে সবটুকু ফুটে উঠেছে, তবে এটা ঠিক যে আমাদের তরুণপ্রজন্ম হাওর অঞ্চলে বসবাসরত জনসাধারণ এর প্রাচীন জীবন যাপন বিষয়ে কিঞ্চিত ধারনা নিতে পেরেছে। যে আসলে কী হতো সেখানে। কিভাবে প্রভাবশালী জমিদাররা সমাজের নিচু স্তরের মানুষ দের অভাবে সুযোগ নিয়ে ব্যবহার করতো। শোষণ করে সুযোগের স্বদব্যবহার করতো।

হুমায়ুন আহমেদ এর ঘেটুপুত্র কমলা সেই চিত্র ফুটে উঠেছে। ঘেটুপুত্র কমলা নিয়ে মৌলবাদী দের দ্বাবি গুলো হলো,ঘেটুপুত্র কমলা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিচ্ছে। আবার কেউ বলছে সমকামিতা কে বৈধতার দ্বাবি জোরালো করবে। আবার কেউ কেউ মন্তব্য করছে ঘেটুপুত্র কমলা একটি অশ্লীস সিনেমা। এমনকি এইসব মৌলবাদীরা এই চলচিত্রটি নিষিদ্ধের জন্য ও ব্লগ, ফেসবুক এ হুমকি দিচ্ছে।

ঘেটুপুত্র কমলা নিয়ে মৌলবাদীদের দ্বাবি যৌক্তিক নয়,কেন না যদি হুমায়ুন আহমেদ এই সিনেমা করে কোনও পাপ করে থাকে তাহলে এই প্রসঙ্গে তথাকথিত মৌলবী, মাদ্রাসার ছাত্র, ধর্মীয় রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই যদি বুকে সত্ সাহস থাকে কিছু প্রশ্নের উত্তর দিন, ১.মাদ্রাসার আবাসিক হলে নতুন ছাত্ররা থাকতে চায় না কেন ? ২.মাদ্রাসা থেকে ছাত্ররা একবার বাড়িতে আসলে কেন আবার সেই মাদ্রাসায় ফেরত যেতে চায় না ? ৩.অনেক ছাত্ররা মৌলবীদের ভয়ে পায় কেন ? এটা কী শুধু পড়াশুনা নাকি অন্য কিছু ? জানি সঠিক উত্তর দিতে পারবেন না, আর যদি o বা উত্তর কিছু দেওয়ার চিন্তা করেন তাহলে সেটা হবে নিছক গুজামিল যা হবে আপনাদের মনগড়া। এই বিষয়ে খুব ছোট্ট একটা গঠনা বলছি, আমার পরিচিত একজন রয়েছে। যার একমাত্র ছেলের বয়স হলো ১০ বছরের কিছু বেশি হবে হয়তো বা। তার নিজের একটা বাস্তব গঠনা অনুযায়ী দেখ্জেছি আপনাদের মাদ্রাসার শিক্ষকদের অমানুষিক সমকামিতার অভিযোগ। মধ্য রাতে আবাসিক শিক্ষক তার ছাত্রটিকে জোরপূর্বক ভাবে সমকামিতা লিপ্ত হতো নিয়মিত।

কান্নাকাটি করলে মেরে ফেলার হুমকি দিত। এক অবস্থায় ছেলেটি একবার বাড়িতে এলে সে আর ওই মাদ্রাসায় ফিরে যাবে না বলে জানায় তার বাবা-মা কে। যদিও ছেলেটির বাবা-মা বুঝতে পারেনি কী কারনে সে আর ওই মাদ্রাসায় ফিরে যাবে না। কিছু দিনের মধ্যে ছেলেটির মলদ্বারে অসজ্য ব্যাথা শুরু হয়। তারপর ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায় ছেলেটির বাবা-মা তারপর ডাক্তারি চিকিত্সায় ধরা পড়ে ছেলেটির মলদ্বার দিয়ে বিশেষ কিছু প্রবেশ করানো হতো।

যার প্রেক্ষাপটে ছেলেটির এই অবস্থা হয়। তারপর ও ছেলেটি বলতে চায় না। অবশেষে সে স্বীকার করে যে তার হুজুর প্রতি রাত্রে তার সাথে এইসব খারাপ কাজ করতো। পাঠক এটা শুধু একটি মাদ্রাসার গঠনা বললাম। এই মুহূর্তে আপনি যদি আরও বিশদ জানতে চান তাহলে দয়া করে খোজ নিতে পারেন আপনার আশে পাশে থাকা মাদ্রাসায় ভর্তি হয়েছে নতুন কোনও বাচ্চাদের জিজ্ঞাসা করে দেখুন তাদের শিক্ষকরা তাদের সাথে কেমন আচরণ করে।

আথবা খেয়াল করে নতুন ছুটি এসে কোনও ছাত্র আর মাদ্রাসায় যাবে না বলে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে কী না ? যদি এমন কিছু চোখের সামনে ঘটে তাহলে খোজ নিয়ে দেখুন আসল গঠনা কী। দেখুন না কি অবাক কান্ড, তত্কালীন সময়ের জমিদার আর আমাদের বর্তমান সময়ের মৌলানাদের মধ্যে কেমন মিল। এখন এইসব মিল জেনে যদি মৌলবাদীরা তাদের শিক্ষা গুরুদের চরিত্র রক্ষা করতে চায়, সেই ক্ষেত্রে খুব বেশি অবাক হওয়ার মত কিছু নেই। তত্কালীন জমিদার আর ধর্মীয় শিক্ষকদের চরিত্র যে একমাপের। আমাদের সামনে সেই চিত্র সিনেমার মাধ্যমে তুলে ধরেছেন আমাদের শ্রদ্ধেয় হুমায়ুন আহম্মেদ।

আর এইজন্য ঘেটুপুত্র কমলার বিরুদ্ধে মৌলবাদীরা সোচ্চার হয়ে উঠেছে। ধন্যবাদ @সুলতান মির্জা ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.