আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমাদের সমাজের অধিকাংশ নারীরাই আজও পুরুষের বিবাহিত কৃতদাস

মন যা চায় তাই করি। "সময়ের সাথে সাথে অধিকার গুলোও হারিয়ে যায়" "যারা জীবনকে উপভোগ করতে জানে না তারা সর্বদা কাজ করে জীবন কাটিয়ে দেয়" আমার কাছে কেন যেন মনে হয় আমরা নারীদেরকে আজও এক প্রকার কৃতদাস হিসেবে ব্যবহার করছি। আমাদের এই সমাজের কিছু কিছু জায়গায় আজও তারা পুরুষের বিবাহিত কৃতদাস। পুরুষের চাকর, পুরুষ যা বলবে তাই তাকে করতে হবে, মানতে হবে। কোন কোন পুরুষের কাছে নারী হচ্ছে গবাদি পশুর তুল্য বিশেষ করে গ্রামীণ জীবন যাপনে।

আবার কোথায়ও কোথায়ও নারী হচ্ছে ভোগের বস্তু, যাকে পেলেই ভক্ষণ করতে হবে। অধিকাংশ নারীরই কোন স্বাধীনতা নেই, কোন মত প্রকাশের সুযোগ নেই। আগে নারী পুরষ উভয়কেই দাস হিসেবে ক্রয় করা হত। তবে আজ নিয়ম পাল্টেছে। এখন শুধু নারীকেই কিছুটা দাস হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

তবে ক্রয় করে নয়, বিবাহ করে। বিবাহের আগেও নারী কোথায়ও কোথায়ও দাসের মতই মর্যদা পায় যেমন নিজের পছন্দ অপছন্দ বলা যাবে না, বিশেষ করে বিবাহের সময়ে। আজও কোথায়ও কোথায়ও নারীকে মুখ বুঝে সহ্য করতে হয় অসম্ভব যন্ত্রণা আর নির্যাতন। নারী সংসারের কাজ করবে ও সন্তান পালন করবে যা অত্যন্ত স্বাবাভিক। কিন্তু মাঝে মাঝে নারীকে দাসের ন্যায়ই কাজ করানো হয়।

অধিকাংশ নারী আজও দাস ন্যায়ই জীবন যাপন করে, তার কারণ অধিকাংশই অর্থনৈতিক ভাবে অসচ্ছল ও অশিক্ষিত। তবে উপরের সকল সমস্যাই বিগত বছর গুলো থেকে বর্তমানে বেশ কমে এসেছে বলে মনে হয়। তার কারণ প্রজন্ম পাল্টেছে এবং নারীরাও শিক্ষিত ও অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি লাভ করেছে। তবে নারীরা আবার পুরুষের বিবাহিত দাস হবে যদি কোন ভাবে সরকার বা জনগণ বা নারীরা বর্তমানের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবি মেনে নেয়। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ২০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.