আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পাহাড় ফেটে চার খণ্ড

অচিন আমি অচিনপুরের । চিনতে চাই নিজেকে । চিনতে পারলামনা নিজেকে তাই , একলা একা এই আমি একলা থাকতে ভালোবাসি । মিরসরাইয়ে আকস্মিকভাবে একটি সুউচ্চ পাহাড় ফেটে চার খণ্ড হয়ে গেছে। একটি অংশ থেকে অন্য অংশ ২০ ফুট দূরে সরে গেছে।

এর মধ্যে এক অংশ ধসে রাস্তায় পড়ায় মিরসরাই-ফটিকছড়ির যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে। এত উঁচু ও বড় পাহাড়ের মাঝখানে ফেটে চার খণ্ড হয়ে যাওয়ায় বিস্মিত হয়ে আশপাশের মানুষ সেখানে ভিড় করছে। মিরসরাইয়ের পূর্ব গোভনিয়া বনবিট এলাকায় দোচাইল্লা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মিরসরাই সদরের পূর্বে এর দূরত্ব প্রায় ১০ কিলোমিটার। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি পাহাড়িপথ।

ধারণা করা হচ্ছে, পাহাড়ের পাদদেশে সড়ক নির্মাণের সময় অপরিকল্পিতভাবে পাহাড় কাটার কারণে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া কয়েক দিনের বৃষ্টিতে পাহাড়ের মাটি ফুরফুরে হয়ে যাওয়াও এর কারণ হতে পারে। গত ২৫ আগস্ট এ ঘটনা ঘটলেও গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত রাস্তা থেকে ধসে পড়া পাহাড়ের মাটি সরানো হয়নি। ফলে এখন পর্যন্ত এ সড়কে সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। তবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের চট্টগ্রামের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জিয়া উদ্দিন, নির্বাহী প্রকৌশলী রানাপ্রিয় বড়ুয়া এবং উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সুমন সিংহসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গত মঙ্গলবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

পরিদর্শন শেষে সুমন সিংহ জানান, বৃষ্টিপাত কমে গেলে ধসে পড়া পাহাড়ের মাটি সরানো ও সড়ক মেরামতের কাজ শুরু করা হবে। কারণ বৃষ্টিতে পাহাড়ি অঞ্চলে কাজ করা ঝুঁকিপূর্ণ। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আশপাশের পাহাড়ের চেয়ে কিছুটা উঁচু এ পাহাড় মাঝ বরাবর চার খণ্ড হয়ে গেছে। প্রথমে পাহাড়টি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। এ সময় একটি অংশ অন্যটি থেকে কমপক্ষে ২০ ফুট দূরে সরে যায়।

এরপর উভয় অংশের মাঝখানে ফের লম্বালম্বিভাবে বড় ফাটল দেখা দেয়। এর মধ্যে একটি অংশ সম্পূর্ণ ধসে পড়েছে সড়কের ওপর। সেখানে বসতি না থাকায় কোনো ক্ষতি হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দারা পাহাড়ে এত বড় ফাটলের দৃশ্য দেখতে ভিড় করছে। খবর পেয়ে মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন, চট্টগ্রাম বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক মো. বেলায়েত হোসেন ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রেজাউল করিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

বেলায়েত বলেন, অতি বর্ষণের ফলে পাহাড়ের মাটি ফুরফুরে হয়ে যাওয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে। ফেটে যাওয়া পাহাড়ের আয়তন প্রায় এক একর ছিল। ২০১০ সালে ওই পাহাড়ে সামাজিক বনায়নের আওতায় বনায়ন করা হয়েছিল। মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে সড়কটির ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরো বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে সূত্র : Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।