আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কিডনি ছাড়া মানুষ অচল,কিডনি নষ্ট হলে কিন্তু ভীষন বিপদতাই যেনে রাখুন.... কিডনি ভালো রাখার উপায়

মানুষের উপকার কম করলাম না,পরিনামে খেলাম শুধু বাঁশ। তবু হাল ছাড়ি নাই....উপকারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কিডনি বিকল বা রেনাল বিকল শরীরের এক নীরব ঘাতক, প্রায় প্রতিটি পরিবারেরই কেউ না কেউ এই ভয়াবহ রোগে আক্রান্ত। তাই আমরা সকলেই কমবেশী জানি এ রোগের ভোগান্তি কতটা নির্মম। কিন্ত আমরা কি জানি কিছু সাবধানতা অবলম্বন করলে সহজেই এই রোগ এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব।

জেনে নেই কিভাবে সহজেই আপনার কিডনিকে সুস্থ্য রাখা সম্ভব। কর্মঠ থাকুন : নিয়মিত হাটা, দৌড়ানো, স্লাইকিং করা বা সাঁতার কাটার মতো হাল্কা ব্যায়াম করে আপনার শরীরকে কর্মঠ ও সতেজ রাখুন। কর্মঠ ও সতেজ শরীরে অন্যান্য যেকোন রোগ হবার মতো কিডনি রোগ হবার ঝুকিও খুব কম থাকে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন : ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর শতকরা ৫০ জনই কিডনি রোগে আক্রান্ত হন। রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে না থাকলে কিডনি নষ্ট হবার ঝুকি আরো বেড়ে যায়।

তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন, নিয়মিত আপনার রক্তের সুগার পরীক্ষা করে দেখুন তা স্বাভাবিক মাত্রায় আছে কিনা, না থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। শুধু তাই নয় অন্তত তিন মাস পরপর হলেও একবার আপনার কিডনি পরীক্ষা করিয়ে জেনে নিন সেটা সুস্থ্য আছে কিনা। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে রাখুন : অনেকেরই ধারণা যে উচ্চ রক্তচাপ শুধু ব্রেইন স্ট্রোক আর হার্ট এটাকের এর ঝুকি বাড়ায়, তাদের জেনে রাখা ভালো যে কিডনি বিকল হবার প্রধান কারণ হলো অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ। তাই এ রোগ থেকে বাঁচতে অবশ্যই আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। কোনো কারণে তা ১২৯/৮৯ মি,মি, এর বেশি হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

নিয়মিত অসুধ সেবন এবং তদসংক্রান্ত উপদেশ মেনে চললেই সহজেই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। পরিমিত আহার করুন এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন : অতিরিক্ত ওজন কিডনির জন্য ঝুকিপূর্ণ, তাই সুস্থ্য থাকতে হলে ওজন কমিয়ে স্বাভাবিক মাত্রায় নিয়ে আসতে হবে। পরিমিত স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে কিডনি রোগ হবার ঝুকি অনেক কমে যায়। অন্য দিকে হোটেলের তেলমশলা যুক্ত খাবার, ফাষ্টফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার খেলে রোগ হবার ঝুকি অনেকাংশে বেঙে যায়। মানুষের দৈনিক মাত্র এক চা চামচ লবন খাবার প্রয়োজন আছে -খাবারে অতিরিক্ত লবন খাওয়াও কিডনি রোগ হবার ঝুকি বাড়িয়ে দেয়।

তাই খাবারে অতিরিক্ত লবন পরিহার করুন। ধুমপান পরিহার করুন : অধুমপায়ীদের তুলনায় ধুমপায়ীদের কিডনি ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা শতকরা ৫০ গুণ বেশি। শুধু তাই নয় ধুমপানের কারণে কিডনিতে রক্তপ্রবাহ কমে যেতে থাকে এবং এর ফলে কিডনির কর্মক্ষমতাও হ্রাস পেতে শুরু করে। এভাবে ধুমপায়ী একসময় কিডনি বিকল রোগে আক্রান্ত হয়ে যায়। অপ্রয়োজনীয় অসুধ সেবন : আমাদের মাঝে অনেকেরই বাতিক রয়েছে প্রয়োজন/ অপ্রয়োজনে দোকান থেকে অসুধ কিনে খাওয়া।

এদের মধ্যে ব্যথার অসুধ রয়েছে শীর্ষ তালিকায়। জেনে রাখা ভালো যে প্রায় সব অসুধই কিডনির জন্য কমবেশী ক্ষতিকর আর এর মধ্যে ব্যথার অসুধ সবার চেয়ে এগিয়ে। নিয়ম না জেনে অপ্রয়োজনীয় অসুধ খেয়ে আপনি হয়তো মনের অজান্তেই আপনার কিডনিকে ধংস করে যাচ্ছেন -তাই যে কোনো অসুধ ব্যবহারের আগে অবশ্যই নিবন্ধিত চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নিন তা আপনার ক্ষতি করবে কিনা। নিয়মিত কিডনি পরীক্ষা করান : আমাদের মাঝে কেউ কেউ আছেন যাদের কিডনি রোগ হবার ঝুকি অনেক বেশি, তাদের অবশ্যই নিয়মিত কিডনি পরীক্ষা করানো উচিত। কারো যদি ডায়াবেটিস অথবা উচ্চ রক্তচাপ থাকে, ওজন বেশি থাকে,পরিবারের কেউ কিডনি রোগে আক্রান্ত থাকে তাহলে ধরে নিতে হবে তার কিডনি রোগে আক্রান্ত হবার ঝুকি অনেক বেশি।

তাই এসব কারণ থাকলে অবশ্যই নিয়মিত কিডনি পরীক্ষা করাতে হবে। কিডনি বিকল হয়ে গেলে ভালো হয়ে যাবার কোনো সুযোগ নেই, ডায়ালাইসিস কিংবা প্রতিস্থাপন করে শুধু জীবনকে দীর্ঘায়িত করা সম্ভব। তাই এই রোগ এড়িয়ে যাবার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়াটা প্রতিটি সুস্থ্য মানুষের জন্য বুদ্ধিমানের কাজ হবে। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.