আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কিডনি রোগ নিয়ন্ত্রণ!

িকসু িলখার নাই

ডা. মোসাদ্দেক আহমদ কনসালটেন্ট নেফ্রোলজিস্ট, স্কয়ার হাসপাতাল, ঢাকা কিডনির কার্যক্ষমতা যদি কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক দিনের মধ্যে নষ্ট হয়ে যায় তাকে ধপঁঃব শরফহবু ভধরষঁৎব (কিডনির সাময়িক কার্যক্ষমতা হারানো) বলা হয়। বিভিন্ন কারণ এর জন্য দায়ী। যেমন : অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ, বমি বা ডায়রিয়ার কারণে দেহে পানিশূন্যতা, অতিমাত্রায় সংক্রমণ, গর্ভাবস্থায় খিঁচুনি রোগ (বপষধসঢ়ংরধ ড়ৎ ঢ়ৎববপষধসঢ়ংরধ), পুড়ে গেলে, অতিরিক্ত প্রহার, ব্যায়াম, ম্যারাথন দৌড় ইত্যাদি। তবে সময়মতো রোগ নির্ণয় ও সময়োপযোগী চিকিৎসায় কিডনির হারানো কার্যক্ষমতা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব। তবে কিডনির কার্যক্ষমতা যদি তিন মাসের মধ্যে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে না আসে অথবা দিন দিন আরও কমতে থাকে তখনই সেই অবস্থাকে বলা হয় পযৎড়হরপ শরফহবু ভধরষঁৎব (কিডনির স্থায়ী কর্মক্ষমতা হারানো)।

এ ধরনের রোগ রোগীর অজান্তে বাড়তে থাকে। এমন একটা সময় সে তা উপলব্ধি করতে পারে, যখন তাকে আর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যায় না। অনেক সময় এ রোগের সঠিক কারণও জানা যায় না। তবে বেশ কিছু রোগ আছে, যা সময়ের ব্যবধানে কিডনিকে আক্রান্ত করে। আমরা যদি জানতে পারি কী কী কারণে সেগুলো হয় তবে সময়মতো এসব রোগের চিকিৎসা করে কিডনির ওপর এর ক্ষতির প্রভাব অনেক কমানো যেতে পারে।

ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হেপাটাইটিস ‘বি’ ও ‘সি’র সংক্রমণ, কিডনির প্রদাহজনিত রোগ, কিডনির বংশগত রোগ, কিডনির পুরনো সংক্রমণ, এইডস ও ব্যথার ওষুধ ইত্যাদি উলে¬খযোগ্য। কারও যদি ডায়াবেটিস হয়ে থাকে তবে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। পরিমিত খাবার, ব্যায়াম, ওষুধ এবং সময় সময় রক্ত ও প্রস্রাব পরীক্ষা। উচ্চ রক্তচাপের বেলায় তা নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত জরুরি। অনেক দিনের অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ কিডনির সমূহ ক্ষতি করে থাকে।

এ ক্ষেত্রেও পরিমিত খাবার, নিয়মিত ব্যায়াম ও ওষুধই যথেষ্ট। রোগ নিয়ন্ত্রণে সময়মতো হেপাটাইটিস টিকা নেয়া প্রয়োজন। রক্ত নেয়ার দরকার হলে রক্ত পরীক্ষা (ংপৎববহরহম) করে নেয়া। একই সিরিঞ্জ সবাই ব্যবহার না করা। উচ্ছৃঙ্খল যৌনজীবন পরিহার করা।

যতদূর সম্ভব ব্যথার ওষুধ লম্বা সময় ধরে ব্যবহার না করা। যাদের দীর্ঘ সময় ধরে কিডনির প্রদাহজনিত রোগ আছে তারা ধৈর্যের সঙ্গে চিকিৎসা করানো এবং চিকিৎসকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা। যাদের কিডনির কর্মক্ষমতা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের বেলায় এ কথাটি আরও বেশি প্রযোজ্য। একজন চিকিৎসকের উদ্দেশ্য হল যতদিন সম্ভব দুর্বল কিডনির কর্মক্ষমতাকে চলমান রাখা। রোগীকে পরিমিত আমিষ দেয়া হলে রোগীর দেহে পানি ও লবণের পরিমাণ বেড়ে যায়।

এ ক্ষেত্রে পরিমিত লবণ ও পানি অথবা ওষুধ দিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.