আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, এতটুকু কি আপনার কাছে চাইতে পারি না ? [প্রসঙ্গ: বুয়েট এবং বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষাব্যবস্থায় অচলাবস্থা]

খাওয়া আর ঘুম,বাংলাদেশি/বাঙালি হিসেবে এটাই আমার বড় যোগ্যতা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একরাশ হতাশা আর এক বুক আশা নিয়ে আপনাকে লিখতে বসলাম। কিন্তু আপনার অত বড় আসনে আমার এই এত ছোট কথা পৌঁছবে কিনা - ঠিক জানি না। আর পৌঁছলেও তাকে গুরুত্ব দেয়ার মত যথার্থ কারণ আপনি খুঁজে পাবেন কি না - তাও নিশ্চিত নই। তবে কিছু প্রশ্ন দিয়ে শুরু করতে চাই।

আপনার এবারের শাষণামলে এ পর্যন্ত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কত জন ছাত্র-ছাত্রীর অপমৃত্যু ঘটেছে, তার কোন সঠিক হিসাব আপনার জানা আছে কি? মজার বিষয় কি জানেন, আপনি এত কষ্ট করে এই পাঁচ বছরে দেশকে যতখানি এগিয়ে নেবেন, এতগুলো মেধাবী ছাত্রের মৃত্যু ইতোমধ্যে দেশকে তার দ্বিগুণ পরিমাণ পিছিয়ে দিয়েছে। এটা আসলে আপনার দোষ নয়। একটু থামুন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। দয়া করে এখনই ক্ষেপে গিয়ে "গত বিএনপি সরকারের আমলে কতজন মারা গিয়েছিল" - তার হিসাব শুনিয়ে দেবেন না আমাকে। জামাত-নিয়ন্ত্রিত বিএনপি আর আপনার কাছে আমাদের প্রত্যাশা - সমান নয়।

সুতরাং ওদের সাথে তুলনা করে নিজেকে ছোট করবেন না। যাই হোক, একবার ভাবুন তো, কিছুদিন আগেই মারা যাওয়া শ্রদ্ধেয় হুমায়ূন আহমেদ যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় প্রতিপক্ষ দুদলের মারামারিতে নিহত হতেন! দেশের নামকরা সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠাণে পড়তে পাঠিয়ে আমারদের বাবা-মায়েরা কতটা দুশ্চিন্তুা নিয়ে প্রতিদিন ঘুমাতে যান, সেটা আপনি কল্পনাই করতে পারবেন না। কী করে করবেন, আপনার ছেলে জয়তো কোনদিন এদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েনি!!! আপনি সব ছাত্র সমাবেশেই বলেন যে আপনি নাকি আমাদের মায়ের মত। তো গত তিন বছরে আপনার কতগুলো ছেলে প্রাণ হারালো পড়াশুনা করতে এসে, তাদের কয়জনের মৃত্যু আপনার দুশ্চিন্তার কারণ হয়েছে - একটু বলবেন কি? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই যে আজ তরুন সমাজ জামাত-নিয়ন্ত্রিত বিএনপি-কে এতটা ঘৃণা করে, এদের মুখে থুথু দিয়ে আপনাকে ভোট দেয় - এর কারণ কী, জানেন? কারণ "শিক্ষা"। শিক্ষা আমাদের বুঝতে শিখিয়েছে কারা ধর্ম ব্যবসা করে, কারা দুর্নীতি করে, কারা একাত্তরে ধর্মের নামে গণহত্যায় সহযোগিতা করেছিল।

কিন্তু এটা ভুলে যাবেন না, এই শিক্ষা তাদের "ভুল থেকে শিক্ষা নিতে"ও শিখিয়েছে। একবার যদি এদের মনে হয় যে আপনাকে ভোট দিয়ে এরা ভুল করেছে, তাহলে সেই ভুল আর ভাঙাতে পারবেন না মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। আপনার কাছে আমাদের তরুন সমাজের অনেক আশা ছিল, হ্যা ছিল, এখন সেই আশার পারদ গলতে শুরু করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সত্যি বলতে কী জানেন, আমাদের মত একটা দেশের জন্যে "শিক্ষা"র গুরুত্বটা আপনি কখনো বুঝতেই চেষ্টা করেননি। আপনার এক একটা গুরুত্বপূর্ণ বিদেশ সফরের চেয়েও এদেশের এক একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা সমাধান বেশি জরুরী।

একটু ছোট উদাহরণ দেই, পদ্মা সেতু নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় আছেন নিশ্চই, তাই না। কিন্তু একটা সহজ সমাধান দেই আপনাকে। প্রতি বছর অনেক শ্রমিক পাঠান বিদেশে, এরা দেশে পাঠায় ডলার। তাই না? শুধু যদি এতটুকু নিশ্চিত করতে পারতেন যে, কাজের খোঁজে বিদেশে যাওয়া শ্রমিকদের সবাই ন্যূনতম এইচএসসি পাশ, তাহলে এই পদ্মা সেতু নিয়ে আপনাকে আর চিন্তুা করতে হোত না। এখন যারা বিদেশে গিয়ে রেস্টুরেন্টে প্লেট ধুয়ে টাকা পাঠায়, ওরা হয়ত অফিস-জব করতে পারত।

আমাদের ছিল জনসংখ্যা, ছিল ওদের শিক্ষিত করে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরের সুযোগ। আর এতটুকু করতে পারলেই এখন বিদেশ গিয়ে কামলা-খাটা বাঙালিরা হতে পারত এক একটি ডলার -মেশিন। আমি আমাদের শ্রমিকদের শ্রমকে অসম্মান করছি না। শিক্ষার মত একটা মৌলিক চাহিদা থেকে বঞ্চিত হওয়ার কারনে তাদের শ্রম কতটা অবমূল্যায়িত হচ্ছে, তা নিয়ে দু:খ করছি। একজন ক্লাস এইট পাস শ্রমিক বিদেশ গিয়ে ছয় মাসে যে টাকা দেশে পাঠায়, একজন বিশ্ববিদ্যালয় পাস ছেলে বিদেশ গিয়ে সেই পরিমান টাকা পাঠায় সর্বোচ্চ দুই মাসে।

শিক্ষার পার্থক্যটা এবার বুঝে নেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এইতো সেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বড় ভাই বলছিলেন তার দু:খের কথা। ডিপার্টমেন্টের সবচেয়ে ভাল রেজাল্ট করেও "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন"টা পূরণ করতে পারলেন না। কারন, তার ডিপার্টমেন্টে যে সব শিক্ষক আপনার দলের অনুসারি, তারা তাকে পছন্দ করেন না। আমি বললাম, আপনি টুকটাক পলিটিক্স করলেই পারতেন! তিনি বললেন, ধুর; ঠিকমত পড়াশুনা করতে গেলে এত কিছুর সময় কোথায়? অথচ মজার বিষয় কি জানেন, তার বাবা শেখ মুজিবের ব্যক্তিত্বের এতটাই ভক্ত যে মরার আগ পর্যন্ত হয়ত নৌকা ছাড়া অন্য কোন কিছুতে ভোট দিবেন না।

বাবা আওয়ামীলীগের অন্ধভক্ত, আর ছেলে সেই আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের জন্যেই সুযোগ-বঞ্চিত! ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এটা এখন অলিখিত নিয়মে পরিনত হয়েছে যে শিক্ষক হতে হলে শুধু মেধার নয়, জোর থাকতে হবে দলীয় পরিচয়েরও। এই একটা নিয়মই দেশকে প্রতি বছর কমপক্ষে ১০ বছর করে পিছিয়ে দিচ্ছে। মানুষ গড়ার কারিগড় হিসেবেই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিচ্ছেন কিছু "দলীয় পরিচয়ধারী"। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কিছুদিন আগে আপনার সোনার ছেলেরা "শিবির উচ্ছেদ করা"র দোহাই দিয়ে পুড়িয়ে দিল শত বছরের ঐতিহ্যবাহী সিলেটের এমসি কলেজ। ঘটনার আকস্মিকতায় চোখের কোণের পানি মুছলেন আমাদের শিক্ষামন্ত্রী ! কান্না ছাড়া আর কী করার ছিল তার, যা হবার তা তো হয়েই গেছে ... "সোনার ছেলেরা" যা ভাল মনে করে, তাই করেছে! দেশ নয়, আইন নয়, দলীয় পরিচয়ই এখন বিচারের মানদণ্ড!!! খুব ভয়ে আছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বিচার আর আইনের দলীয় ব্যবহারের যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে যাচ্ছেন, তাতে পরবর্তীতে কোনদিন বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় আসলে, তারা এই "ঐতিহ্য" কাজে লাগিয়ে তাদের "ছাত্রদল-শিবির"কে কতদূর পর্যন্ত নিয়ে যায় - আল্লাহই ভাল জানেন।

এখনো সময় আছে মাননীয় প্রধানমনত্রী, দোহাই আপনার, অন্তত দেশের স্বার্থে, দেশের শিক্ষাব্যবস্থার স্বার্থে "দলীয় পরিচয়"কে শিক্ষাঙ্গণ, শিক্ষকতা আর ছাত্রত্বের বাইরে রাখুন, ছাত্রলীগকে এখনই সামলান, "ছাত্রলীগ" আর "বঙ্গবন্ধু"র নাম বেচে খাওয়া এই সব সন্ত্রাসীদের কঠোর হস্তে দমন করুন ... ... নাহলে সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন "বাংলাদেশ শিবিরমুক্তকরণ কর্মসূচি"র আওয়তায় এরা পুরো দেশটাই আগুণে জ্বালিয়ে দেবে, আর আপনি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে চোখের পানি ফেলবেন ... ... মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবার আসছি আমার একটা ব্যক্তিগত প্রসঙ্গে। আমি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)এর শেষবর্ষের একজন ছাত্র। আমার বর্তমান ভিসি-মহোদয় নাকি একসময় আপনাদের বাসায় লজিং শিক্ষক ছিলেন। ঘটনা লোকমুখে শোনা, আমি নিশ্চিত নই। তবে যদি ঘটনা সত্যি হয়, তাহলে হয় সেই সময় বা তার আগে থেকেই উনি চোর ছিলেন; অর্থাত আ পনারা একজন চোরকে লজিং রেখেছিলেন।

অথবা " প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষক" - এই পরিচয়টাই তাকে চোর হতে সাহায্য করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমার উপর ক্ষেপে গিয়ে যদি প্রশ্ন করেন, বুয়েটে উনি এমন কী চুরি করছে যে তাকে 'চোর' বলার মত দু:সাহস দেখাচ্ছি? তাহলে বলি, বুয়েট প্রসঙ্গে আসার আগে দয়া করে একটু সময় নিয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়টা ঘুরে আসবেন, আর কথা বললেন ওখানকার সিনিয়র কয়েকজন শিক্ষকের সাথে, উনার চুরির অধ্যায়ের সবচেয়ে গৌরবোজ্জল ইতিহাস তো সেখানেই। আমাদের বর্তমান ভিসির দুর্নীতির এই কাহিনী আপনাকে বলে খুব একটা লাভ হবে বলে, মনে হয় না। কারণ এগুলো সবই আপনার এবং আপনার শিক্ষামন্ত্রীর - দুজনেরই জানা। আপনার প্রিয় শিক্ষক, আমাদের ভিসি স্যারের মানসিকতা কত মহান দেখেছেন? ভিসি হয়েই উনি ধরে নিয়েছেন, He can sell the university!!! বাহ বাহ বাহ ... ... কত চমৎকার!!! উনি প্রধান বুয়েটের, আপনি প্রধান দেশের।

এবার একবার ভাবুনতো যে, কোন এক জনসভায় আপনি দেশ বিক্রি করে দেয়ার কথা বললেন, আর তারপর জনগনের অনুভূতিটা কেমন হবে? সুতরাং শুধু আওয়ামী লীগ করে, শুধু আপনার শিক্ষক - এই সব যুক্তিতে উনার মত একটা মানুষকে নিয়ে আপনি এখনো কি করে গর্ব বোধ করতে পারেন - আমার ছোট মাথায় তা বুঝে উঠে না। তবে একটা কথা মনে রাখবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পরের বার যদি ক্ষমতায় আসতে না পারেন, তার জন্যে দায়ী থাকবে এই সব দুর্নীতিবাজ আওয়ামীলীগাররাই। এদের কারনেই জামাত-নিয়ন্ত্রিত বিএনপি সুযোগ নিতে পারে। আপনি সচেতন থাকলে এই সব সুযোগসন্ধানীরা "আওয়ামী লীগ"এর নাম ভাঙিয়ে খেতে পারত না। আজ হাইকোর্ট ভিসির-দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনে নিষেধাজ্ঞা দেয়।

কোথায় ছিল এই হাইকোর্ট যখন আমার ভাই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিল ছাত্রাবাসের মেঝেতে? কোথায় ছিলেন আপনি যখন আমরা একটু ন্যায়বিচারের আশায় রাতের পর রাত জেগে কাটিয়েছি ক্লাসরুমে, ক্যাম্পাসে ??? অথচ এ সবই করছিল আপনার নাম ভাঙানো সোনার ছেলেরা, আপনার ছাত্রলীগ! মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মনে রাখবেন রাস্তায় নেয়ে স্লোগান দেয়া সব ছাত্রলীগ-আওয়ামীলীগই আপনাকে ভোট দেয় না। আবার আমরা যারা ঘরে বসে "একটা সত্যিকারের স্বাধীন বাংলা"র স্বপ্ন দেখি, তারাও আপনাকে ভোট দেই। প্রায় মাসখানেকেরও বেশি সময় ধরে বুয়েটের মত একটা আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে বসে আছে। অথচ এই ঘটনা যদি USAর কোন ভার্সিটিতে ঘটত, স্বয়ং বারাক ওবামা তার নির্বাচনী প্রচারণা বাদ দিয়ে সেখানে চলে যেতেন দ্রুত সমস্যা সমাধানের জন্য। আর এ জন্যেই তারা "আমেরিকা", আর আমরা সারা জীবন "আমেরিকায় যাওয়ার স্বপ্নধারী" ... ... ফলাও করে খালি বলে যাচ্ছেন যে এ সব নাকি বিরোধী দলের চক্রান্ত।

একটাবার ক্যাম্পাসে আসতেন আমাদের সাথে কথা বলতে!!! আমরাতো সেই সব সাধারণ ছাত্র যারা একদিন দেশকে নেতৃত্ব দেবো। আমাদের সাথে কথা বলে আমাদের বুঝিয়ে দিতেন কোনটা বিরোধী দলের ষড়যন্ত্র। আমরা আমাদের ভুলটা বুঝতে পারতাম, সমস্যারও দ্রুত সমাধান হত। কিন্তু আপনি আসার সময় পেলেন কোথায় ... কত গুরুত্বপূর্ণ কাজ পড়ে আছে আপনার ... ... ! মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বর্তমান ভিসি স্যার কী কী দোষ করেছেন, সে প্রসঙ্গে আর যেতে চাই না। শুধু এতটুকু নিশ্চিত করুন, ঘুম থেকেই উঠেই যেন ছাত্রাবাসের গেটে পুলিশ দেখতে না হয়।

আমরা পড়াশুনা করতে চাই, দেশকে এগিয়ে নিতে চাই অনেক দূর ... শুধু আমাদের নিরাপত্তা আর সুযোগটা নিশ্চিত করুন ... দয়া করে পবিত্র বিদ্যাপীঠগুলোকে দলীয় কলুষতার হাত থেকে রক্ষা করুন। পরের বার যদি নির্বাচিত হন, তাহলে দয়া করে শিক্ষা মন্ত্রনালয় নিজের অধীনে রেখে আর সব কাজ বাদ দিয়ে শুধু দেশের সবগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সফর করুন। শুধু এতটুকু নিশ্চিত করুন যে ঐ পাঁচটা বছর দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সকল কলুষতার বাইরে রাখবেন। শুধু এই প্রতিজ্ঞা করুন, ঐ পাঁচ বছরে ছাত্রলীগ/ছাত্রদল কিংবা শিবিরের তাণ্ডবে প্রাণ হারাবে না কোন মেধাবী তরুন। দলীয় বিবেচনায় নয়, মেধার ভিত্তিতে হবে শিক্ষক নিয়োগ।

যখন কেউ 'শিক্ষক', তখন তার থাকবে না কোন 'দলীয় পরিচয়'। তাহলেই দেখবেন ঐ পাঁচ বছরে দেশ এগিয়ে যাবে ত্রিশ বছর। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, এতটুকু কি আপনার কাছে চাইতে পারি না? -----------Md Tarik Mahmud ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.