আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হুমায়ূন আহমেদ কে নিয়ে এত , এত , এত লেখা চোখে পরছে যে কোথাও human লেখা থাকলে সেটাকেও হুমায়ূন পড়ে যাই

বেশ কয়দিন যাবত হুমায়ূন জ্বরে ভুগছে জাতি । হুমায়ূন যখন ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন তখনো জাতির এত মাথা ব্যাথ্যা ছিলোনা হুমায়ূনকে নিয়ে । মরলেই যেন মানুষের কদর বেড়ে যায় ( মাইকেল জ্যাকশনের বেলায় যেমন পৃথিবীর মানুষ দেখাইছে ) । আমরা বাঙ্গালীরা তাই দেখালাম হুমায়ূনের বেলায় । আহা , আমি তাকে অশ্রদ্ধা করে কিছু বলছিনা ।

আমাদের দরদ যখন এত ছিলো ? তখন জীবিত থাকা কালিন তাকে নিয়ে এত টানা হ্যাচরার দরকারটা কি ছিলো ? আমার ছোট্ট মাথায় ঢোকেনা । কিছু কিছু মানুষ আবার হুমায়ূনকে পচাঁই মজা লুটে , আরে ব্যাটা হুমায়ূন তো হুমায়ূন , তার সাথে অন্য কারো তুলনা দিয়ে লাভ আছে ? নাকি কান্ধের উপরে চাইপা ঝগড়া করতে চাও ? তাদের ঝগড়া শেষ হয় হুমাঊনের ফ্যামিলীতে গিয়া । কিছু মানুষরে দেখলাম হুমায়ূন মরার পর থেকে হুমায়ূন ভক্ত হোই গেছে । বন্ধু বান্ধবের কাছ থেকে হুমায়ূনের ব-ই খোঁজ করে নিয়ে আসতেছে । তার পর সেগুলা পরতে পরতেই কোন একটা লাইন ফেইসবুকে স্ট্যাটাস মারতেছে ।

তাও আবার স্ট্যাটাস মারা বেশিরভাগ ব-ই হোইলো '' হিমু '' ভাইয়ের । দুই একটা ভালুবাসার লাইন অথবা মহা দার্শনীক লাইন তুইলা দিতাছে । তাদের ঐ ফ্যাশনটাও হুমায়ূনের কাছ থেকেই শেখা , হুমায়ূন যেমন কথা বার্তা ছাড়া হুট কোইরা এক্ষাণ ইংলিশ কবিতা ঢুকাই দিতো ব-ই এর সামনের পাতা অথবা লাষ্টের পাতায় , তারাও কথা বার্তা ছাড়াই হুমায়ূনের লাইন তুলে দেয় । নাস্তিক আস্তিকের মাঝেও ক্যাচাল বাঁধাই গেছেন হুমায়ূন আহমেদ । মানুষটা জানতো কি করে রহস্য বানাই রাখা যায় নিজেরে , তাই নাস্তিকের পক্ষেও কথা বলতেন আবার আস্তিকের পক্ষেও বলতেন ।

আবার বিড়াট রহস্য রাইখা গেছেন মরার আগে শেষ কি জানি বলবেন বোইলা না বলেই চলে গিয়ে । এই সবের কারণেও তিনি অনেক দিন আলোচনায় থাকবেন এইটাই স্বভাবিক । কিন্তু আমরা সব বুইঝাও না বুঝার ভান কোইরা আলোচনা করতেই থাকি । আমি তার মিসির আলীর একটু ভক্ত ছিলাম । আগে হিমুও পরছি , তবে তার সংলাপ চয়ন আমার কাছে ভালো লাগতোনা ।

সব চরিত্র গুলা ক্যান জানি মুখের কাছে আইসা কথা কয় মনে হয় (আমি কোইলাম সাহিত্য সমালোচনা করতেছিনা )। প্রত্যেকটা চরিত্রের এই রকম গায়ে পরা ভাব ভালো লাগতো না । যদিও তার ভালো ভালো উপন্যাস গুলো ভালোই আনন্দ দিত । কিন্তু তসলিমা নাসরিনের মত-ই বলতে হয় '' যখন একটু বড় হয়ে অন্য ব-ই গুলো পড়তে শুরু করলাম , বাঙ্গলা সাহিত্যের মুল স্রোতে গেলাম , তখন থেকে আর হুমায়ূন টানেনি '' আবার আমার এক দোস্ত নালিশ কোইরা কোইলো , আচ্ছা ? হুমায়ূনরে সবাই এখন স্যার স্যার কয় ক্যান ? তারে কি স্যার উপাধি দেওয়া হোইছেনি ? সব জায়গায় দেখি স্যার এই করছেন , স্যার সেই করছেন ? সে কি জাতীয় অধ্যাপক হোইছেন? আমি এর জবার দিতে পারলামনা ! তাও বলছিলাম একটু '' তিনি তো ভার্সিটির স্যার আছিলো , তাই ডাকে '' উত্তর শুইনা দোস্ত আমার এমন কোইরা তাকাইলো যে আমার বয়র নিমেষেই ৫-৬ হোইয়া গেল । হুমায়ূন আহমেদের মরে যাবার পর সব চাইতে বেশী পেইন দিছে ফেইসবুক পেইজগুলা ।

একেকটার লাইক চাওয়ার স্ট্যাইলতো আপনাদের অজানা নয় । *গত ৭ দিনে স্যারের ৭০০০ ভক্ত লাইক দিছে , আপনি দিয়েছেন তো ? * এই হোইলো ভক্ত আর পীরের সম্পর্ক । আর ফেইসবুকের সুশীল সমাজের সবার ওয়ালেই এখন দেখতে পাওয়া যায় *নাউহাশ হুমায়ূন * কে ৫-৬ দিন আগেই সাবস্ক্রাইব করছেন । ভাবখানা অনেকটাই এমন এখন নুহাশ হুমায়ুন লেখার হাল ধরবেন । শেষ কথাঃ এই অগোছালো লেখার জন্য ক্ষমা পার্থী ।

আমরা (বাঙ্গালীরা) জ্ঞানীর কদর দিতে জানিনা , তাই আসুন হুমায়ূন আহমেদকে তাঁর প্রাপ্য সম্মান টুকু দেই । তার ভালো ভালো ব-ই গুলো নিয়ে আলোচনা করি , অনুরোধে রাইস মিল গেলা ব-ই গুলোর বিজ্ঞাপন থেকে বিরত থাকি । এবং সর্বোপরি তার মৃত্যু পরবর্তী তাকে নিয়ে করা ব্যাবসা গুলোয় ধিক্কার জানাই । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.