আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মোঘল সাম্রাজ্যের ইতিহাস-২

শের শাহ্‌ এর উত্তরাধিকারী ইসলাম শাহ্‌ কে সরিয়ে হুমায়ুন ১৫৫৫ সালে আবার দিল্লীর সিংহাসন দখল করেন। ১৫৫৬ সালে তার মৃত্যুর পর তার ছেলে আকবর মাত্র চৌদ্দ বছর বয়স এ সিংহাসনে বসেন। আকবরের প্রথম বাঁধা ছিল এক প্রচণ্ড শক্তিশালী হিন্দু রাজা- হিমু বা রাজা বিক্রমজিত। ১৫৫৬ সালে পানিপথের যুদ্ধে হিমু আকবরের কাছে পরাজিত হন। ১৫৫৬ থেকে ১৬০৫ পর্যন্ত দীর্ঘ ৪৯ বছর আকবর রাজত্ব করেন।

এই সময় মোঘল সাম্রাজ্য উত্তরে কাবুল ও কাশ্মীর থেকে পূর্বে বাংলাদেশ ও দক্ষিনে গোদাবরী নদী পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছিল। আকবর ছিলেন বুদ্ধিমান ও বিচক্ষন। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন শুধু তলোয়ার এর জোরেই দেশ কে মুসলমানেরা শাসন করতে পারবে না। শের শাহ্‌ এর মত আকবর ও ধর্মীয় গোঁড়ামি থেকে মুক্ত ছিলেন। তিনি বুঝেছিলেন সাম্রাজ্য কে স্থায়িত্ব দিতে গেলে স্বাধীনচেতা হিন্দু রাজপুত দের সাথে হাত মিলিয়ে চলতে হবে।

এই রাজপুতদের তেমন রাজনৈতিক চেতনা ছিল না। বিদেশী মুসলমানদের বিরুদ্ধে তারা কখনো রুখে দাঁড়ায় নি। আকবর তাই এদের উপর নির্ভর করতে পেরেছিলেন। রাজপুত বীর মানসিংহ তার প্রধান সেনাপতি ছিল। টোডরমল কে করলেন রাজস্ব মন্ত্রী।

কিন্তু বাদ সাধলেন মেবারের রানা প্রতাপ সিংহ। রাজপুত ঐতিহ্য কে জলাঞ্জলি দিয়ে মেবারের বশ্যতা স্বীকার করাকে তিনি আজীবন ঘৃণা করতেন। অতএব আকবরের সাথে তার যুদ্ধ হল ১৫৭৬ সালে হলদিঘাটের মাঠে। প্রতাপের ক্ষুদে বাহিনী হেরে গেলো আকবরের কাছে। প্রতাপ ছারাও আকবর কে শক্ত বাঁধা দিয়েছিলেন চাঁদবিবি ও বাংলার বার ভুঁইয়া,- যাদের ভেতর ঈশা খাঁ, প্রতাপাদিত্য ও কেদার রায় এর নাম উল্লেখযোগ্য।

আকবরকে যদি মহান বলা হয় তবে তা তার ধর্ম নিরপেক্ষতার জন্য। শেখ মুবারক, আবুল ফজল প্রমুখ মনিষীদের দ্বারা অনুপ্রানিত হয়ে আকবর জন্ম দেন এক নতুন ধরমের- দ্বীন ইলাহি। যদিও প্রচারের অভাবে তা বেশি দিন টেকেনি। নিজে নিরক্ষর হলেও আকবর জ্ঞানিগুণী ব্যাক্তি কে যোগ্য সন্মান দিতেন। আকবরের ছিল নবরত্ন সভা।

যেখানে গানের রাজা তানসেন ও হাস্য রসিক বীরবল সভা আলকিত করে রাখতেন। মোঘল সাম্রাজ্যের ইতিহাস-১  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ২৪ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।