আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নেতৃত্ব শ্রেণী - মধ্যবিত্ত

অনুসরণ বা অনুকরনের ক্ষেত্রে আমরা কিছু যুক্তি ব্যবহার করি । আর যাকে আমরা অনুসরণ করি সেই কিন্তু নেতৃত্বের দাবিদার । আমি একজন মন্দ লোক হলেও আমার সন্তান বা কোন প্রিয় মানুষকে আমরা একজন সৎ ও স্বাভাবিক মানুষকে অনুসরণ করতে বলি । একটি ব্লগে আমার একটা জরিপ ছিল সমাজের নেতৃত্ব দেয় কোন শ্রেণী ? উত্তরে ৪ টি শ্রেণী উল্লেখ ছিল । এক নজরে শ্রেণীগুলোর বিন্যাস করছি , রাজনীতিবিদ - সমাজে এদের অবস্থান আসলে কোথায় ? মানুষ বহু আগেই এদের বর্জন করেছে ।

সমাজে এদের জন্য যা আছে তা হল ভয় ও ঘৃণা । বুদ্ধিজীবী - এদের মধ্যে আবার নানান শ্রেণী রয়েছে যেমন - দালাল শ্রেণী - এই শ্রেণীটি জ্ঞানপাপী । যারা বিভিন্ন দল ও দালালি ব্যবসা ভালো বুঝলে ভিন্ন দেশের দালালি করে । সমাজ তাদেরকে আদর করে ডাকে , শালা । আস্তিক / নাস্তিক - এইগুলা অবস্থা বুইঝা ব্যবস্থা নেয় ।

আরও শ্রেণী আছে বললে পাণ্ডুলিপি হবে । তারপর উহা না পরিয়া আমার মুখে মারা হবে । এত বুদ্ধির বাজারে জনতা আসল মাল খুঁজে পায়না । জাতির প্রশ্ন , বুদ্ধিজীবী কে ? উচ্চবিত্ত - এই শ্রেণীর সাথে আরেকটি শ্রেণী যোগ করতে চাই "নিম্নবিত্ত"। সমাজের যত অসামাজিক কার্যকলাপ , অসুস্থতা , অসংলগ্নতা এই দুই শ্রেণীতে শুরু ও সর্বাধিক ।

পূর্ব উল্লেখিত জীবাণু গুলোর জন্ম ও বিস্তার এই দুই শ্রেণীর দ্বারাই । উদাহরন - সংবাদ মাধ্যম । মধ্যবিত্ত - আমার মতে , সমাজের নেতৃত্ব দানকারী । এই শ্রেণীটি নিতান্তই সাধারণ । যাদের মাঝে অস্বাভাবিকতা নাই ।

কারণ এর জন্য যা প্রয়োজন তা তাদের নেই । যদি একটু খেয়াল করি , # সন্তানকে সঠিকভাবে গড়ে তোলা # পারবারিক বন্ধন অটুট রাখার চেষ্টা করা # বিভিন্ন সামাজিক নিয়ম বা অনুশাসনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ এই শ্রেণীর মধ্যেই বেশি দেখা যায় । আজকের সরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দিকে যদি তাকাই , ধরি সচিবালয় - আজকের যারা সচিব বা উপ- সচিব তারা শতকরা ৯০ ভাগ এই শ্রেণী থেকে এসেছে । আর এর ৮০ ভাগ মফস্বলের পরিবারগুলো থেকে । ঠিক এভাবে বিচার বিভাগ , শিক্ষা , চিকিৎসা , আইনশৃঙ্খলা সব ক্ষেত্রে এই শ্রেণী থেকেই আসা মানুষ ।

কারণ , উচ্চবিত্তরা তাদের জীবন নিয়ে এত বেশি নিশ্চিন্ত থাকে আর নিম্নবিত্ত এত বেশি অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকে যে এর থেকে বের হয়ে কিছু করা তদের পক্ষে প্রায় অসম্ভব । আর যারা পারে আসলেই তারা অসাধারণ । উচ্চবিত্তের উৎসব থার্টি ফার্স্ট আর মধ্যবিত্তের পহেলা বৈশাখ । এছাড়া , ২১ শে ফেব্রুয়ারি , ১৬ই ডিসেম্বর , বইমেলা এই ধরনের স্থান ও দিন গুলোতে যে মানুষগুলো দেখা যায় । তাদের উপর একটা জরিপ চালালে আমার এই দাবির শতভাগ সত্যতা পাওয়া যাবে ।

মধ্যবিত্তরা শতভাগ সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন যাপন করে । আর তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই সমাজের সুস্থতার প্রতীক । সে জন্যই স্বাভাবিক নিয়মেই তারা অনুকরণীয় । ফলে নেতৃত্বের স্থান তাদেরই। মধ্যবিত্ত কোন সমাজ ব্যবস্থা নয় ।

একটা জীবন ধারা । একমাত্র যেখান থেকে দেশ পরিচালনার সর্বাধিক মেধা আসে । হয়তো আমার সাথে সবাই একমত হবেনা এবং মধ্যবিত্তরাও কখনো নেতৃত্বের দাবী করেনা । কিন্তু যা সত্য তা হল , দেশ যদি মা হয় , সেই মায়ের ঋণ পুরো জাতির পক্ষ থেকে মধ্যবিত্তরাই কিছুটা শোধ করছে । তাই জাতি এই শ্রেণীর কাছে ঋণী ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.