আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গোলক ধাঁধা : একটা ধাঁধা অথবা গল্প

এটা আমার জন্য অনেক সুখকর যে, আমি এখন ব্লগ ও ফেইসবুক থেকে নিজেকে আসক্তিমুক্ত রাখতে পারছি। পরিবার ও পেশাগত জীবনের কর্মব্যস্ততা অনেক আনন্দের। অংকের স্যার ক্লাসে ঢুকেই বললেন, আজ তোমাদেরকে একটা ধাঁধা দেব। উত্তরটা অবশ্য আজই নয়, সাতদিনের মধ্যে দিতে পারলেই হবে। তবে প্রথম তিনজনের জন্য রয়েছে আকর্ষণীয় পুরস্কার।

একটা দুষ্টু ছেলে হুট করে জিজ্ঞাসা করলো, স্যার, পুরস্কারটা কী দেবেন? স্যার হেসে দিয়ে বললেন, পুরস্কারটা দামি হওয়া বড় কথা নয়। বড় হলো এই যে, একটা কৃতিত্বের জন্য কাউকে স্বীকৃতি দেয়া হচ্ছে। একটা বটপাতা দিয়েও এই স্বীকৃতি দেয়া যায়। ছেলেটি চুপসে গেলো লজ্জায়। স্যার বললেন, কষ্ট পেয়েছ? এ কথায় ওর মুখে হাসি ফুটলো।

স্যার বললেন, কী নাম তোমার? আবু তালেব। কোন্‌ স্কূল থেকে পাশ করেছ? মালিকান্দা হাইস্কুল থেকে, স্যার। আবু তালেব এতক্ষণে ভয়ে ভয়ে উঠে দাঁড়িয়েছে। তার বুক কাঁপছে। সে জানে পরবর্তী প্রশ্ল কোন্‌টি।

স্যার জিজ্ঞাসা করলেন, কত নম্বর পেয়েছ? অন্যান্য শিক্ষক সাধারণত প্রথমে জিজ্ঞাসা করেন কোন্‌ ডিভিশনে পাশ করেছো, এরপর জিজ্ঞাসা করেন কত নম্বর পেয়েছো। কিন্তু অংকের স্যার একটি প্রশ্লই জিজ্ঞাসা করেন, কত নম্বর পেয়েছো? এতেই জানা যায় কে কোন্‌ ডিভিশনে পাশ করেছে। আবু তালেব কথা বলতে পারছে না। প্রথম দিনেই চট করে এমন একটা বেফাঁস প্রশ্ল করে ফেলে এখন ধরা খেয়েছে। মেয়েগুলো ঘাড় ফিরিয়ে চোখ বড় বড় করে বেশ কয়েকবার ওর দিকে তাকিয়েছে এরই মধ্যে।

সে খুব বিব্রত বোধ করছে। স্যার আবার জিজ্ঞাসা করলেন, কথা বলছো না কেন? কত নম্বর পেয়েছ? আবু তালেব দম ছাড়তে ছাড়তে বললো, স্যার ৩৪৫। স্যার বললেন, বসো। সিট ডাউন। এতো ঘাবড়ে গেছ কেন? আবু তাবেল হাফ ছেড়ে বসলো।

যাক বাঁচা গেছে। স্যার আর কিছু জিজ্ঞাসা করেন নি। সে ৩৪৫ নম্বর পেয়েছে সত্য, কিন্তু এসএসসি পাশ করতে পারে নি। সে সবার সাথে ক্লাসে বসে, কিছুদিন বাদে আর আসবে না। এতে কলেজ-ছাত্র হিসাবে ওর একটা পরিচিতি জুটবে।

আর কদিন পর সে যাবে মিডল ইস্টে। ফিরে এসে বিয়ে করবে। বিয়ের বাজারে কলেজ-ছাত্রের কদর কম কীসে? সে নূরীকে ভালোবাসে। স্যার গম্ভীর মুখে কী যেন ভাবছিলেন। নূরী জিজ্ঞাসা করলো, স্যার ধাঁধাটা! ইয়েস, ধাঁধাটা হলো, স্যার বলতে শুরু করলেন, এক থেকে চল্লিশ কেজি ওজনের মধ্যে পৃথক ওজনের এমন চারটি বাটখারার ওজন বলো যার দ্বারা দু বার ব্যবহার না করে এক থেকে চল্লিশ কেজি ওজনের জিনিস মাপা যায়।

ধাঁধাটা বলার পর তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তোমরা কি ধাঁধাটি বুঝতে পেরেছ? কিছুক্ষণ কেউ কোনো উত্তর করলো না। তারপর একটা ছেলে দাঁড়িয়ে বললো, পানির মতো পরিষ্কার! স্যার আগ্রহ সহকারে বললেন, বাকিরা বোধহয় বুঝতে পারে নি। তুমি ওদেরকে বুঝিয়ে বলো। ছেলেটি বোঝাতে লাগলো, বাটখারা হবে চারটি। এদের ওজন হবে এক থেকে চল্লিশ কেজি।

জিনিসও মাপতে হবে এক থেকে চল্লিশ কেজির মধ্যে। স্যার এবার সবার উদ্দেশ্যে বললেন, বুঝতে পেরেছ? সবাই প্রায় সমস্বরে বললো, জি স্যার। স্যার জিজ্ঞাসা করলেন, তোমরা কি উত্তর বের করতে পারবে? সেই ছেলেটিই ঝটপট বলে ফেললো, উত্তর তো পানির মত পরিষ্কার! স্যার বিস্মিত হয়ে তার দিকে এগিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, বলো তো। বাটখারার ওজন মাত্র এক কেজি। অনলি ওয়ান কেজি।

ওর উপস্থিত বুদ্ধিতে স্যার অত্যন্ত চমৎকৃত হলেন। একটা উত্তর মিলে গেছে। ওর মাথা খুব দ্রুত খুলছে, অত্যন্ত প্রখর বুদ্ধিসম্পন্ন ছেলেটি। তারিফ করতেই হবে। ওকে উৎসাহ দিয়ে স্যার জিজ্ঞাসা করলেন, হ্যাঁ, তারপর বলো, বাকি বাটখারাগুলোর ওজন বলো।

সে তৎক্ষণাৎ উত্তর দেয়, সবগুলোর ওজনই এক কেজি করে। ছাত্রছাত্রীরা একযোগে হো হো করে হেসে উঠলো, সে ছাড়া। কিন্তু অংক স্যার বোধ হয় হঠাৎ মুখের ভাষা হারিয়ে ফেললেন। চোখ বড় করে এক দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে থেকে বললেন, তোমার নাম কী? আব্দুল কুদ্দুস। স্যার বললেন, আব্দুল কুদ্দুস, তুমি ধাঁধাবিশারদ হলে কবে থেকে? আবারও ক্লাসে একচোট হাসির রোল উঠলো।

হাসি থামিয়ে স্যার জিজ্ঞাসা করলেন, আব্দুল কুদ্দুস, তোমার বাড়ি কোথায়? আব্দুল কুদ্দুস নির্লিপ্তভাবে জবাব দেয়, স্যার উত্তর শিমুলিয়া। উত্তর শিমুলিয়া? কলেজে কীভাবে এসেছো, পায়ে হেঁটে, না বাসে? স্যার, সাইকেলে। কয়েকটি মেয়ে ঘ্যাঁৎ ঘোঁৎ করে হেসে উঠলো। আব্দুল কুদ্দুস ওদের দিকে আগুনচোখে তাকিয়ে মনে মনে গালি দিলো, মাদী হাঁসের দল। গাভীর পাল।

স্যার আবার জিজ্ঞাসা করলেন, আব্দুল কুদ্দুস, তুমি খুব বুঝে সুঝে ধীরস্থিভাবে বলো তো, ধাঁধাটা তুমি বুঝতে পেরেছ কিনা। আব্দুল কুদ্দুস আগের মতই জবাব দেয়, স্যার, ধাঁধাটা তো পানির মতো পরিষ্কার। আমি বুঝতে পারছি না এতে না বোঝার কী আছে। স্যার বললেন, তুমি আবার বলো তো কী বুঝতে পেরেছো? আব্দুল কুদ্দুস আগের মতোই ধাঁধাটি বুঝিয়ে বলে। স্যার মনে মনে দুঃখিত হলেন।

আসলে সে ধাঁধাটি ব্যাখ্যা করলেও একটা অংশ তা থেকে বাদ রয়ে গেছে। প্রথমবার তিনিও এর ব্যাখা ঠিকমত খেয়াল করেন নি। খেয়াল করলে তিনিও ফাঁকটুকু ধরতে পারতেন। ফাঁকটুকু হলো, চারটা বাটখারার ওজনই হবে চার রকমের। তিনি বললেন, স্যরি, আমারই ভুল হয়েছে।

তুমি বসো আব্দুল কুদ্দুস। তোমার ব্যাখ্যা সবই ঠিক আছে। শুধু একটা অংশ তুমি বাদ দিয়ে গেছ, এবং সেটাই প্রধান অংশ। তারপর তিনি পুনরায় ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দিলেন। কিন্তু আব্দুল কুদ্দুসের মাথায় কিছুতেই এই ব্যাখা বোধগম্য হলো না - তার ব্রেইনের সবগুলো দরজা হঠাৎ চারদিক থেকে শক্ত খিল দ্বারা আটকে দেয়া হয়েছে।

অংক স্যার বললেন, ধাঁধার উত্তরটা বেশ কঠিন। তোমাদেরকে একটা উত্তর বলে দিচ্ছি, একটা বাটখারার ওজন এক কেজি হবে। কী, পারবে তো? কোনো উত্তর পাওয়া গেলো না। সবার মুখ কালো এবং গোমড়া হয়ে গেছে। অংক স্যার হেসে দিয়ে বললেন, সবাই এতো গম্ভীর হয়ে গেলে কেন? পরীক্ষার কোনো প্রশ্নের উত্তর মুখস্থ করতে বলেছি? ধাঁধা হলো এক ধরনের অংক।

মানসাংক বলা যেতে পারে। এই অংক মনে মনে কষতে হয়। যত বেশি মানষাংক কষবে বুদ্ধির তীক্ষ্ণতাও তত বাড়বে। বুদ্ধি প্রখর না হলে অংক কষবে কেমন করে? একটু মাথা খাটাও। সবাইকে চুপ করে থাকতে দেখে তিনি বললেন, একটা সহজ ধাঁধা বলি, খুব খেয়াল করে শোনো।

এক বনে একবার একদল শিকারি শিকার করতে এল। তারা সবাই সৌখিন শিকারি ছিল। তারা সংগে নিয়ে এলো একটা লোহার খাঁচা। খাঁচাটির দরজা বন্ধ ছিল। এবং এক সংগে একটার বেশি প্রাণী ঐ খাঁচায় রাখা যায় না।

খেয়াল করো কিন্তু। প্রথম দিনেই শিকারিরা প্রকাণ্ড এক হাতি ধরে ফেললো। এবার হাতিটাকে খাঁচায় ঢোকাতে হবে। প্রশ্ন হলো, হাতিটাকে খাঁচায় ঢোকাতে হলে মোট কয়টি কাজ এবং কী কী কাজ সম্পন্ন করতে হবে? আব্দুল কুদ্দুস দাঁড়িয়ে গেলো এবং চট করে বেকুবের মতো বলে ফেললো, স্যার পানির মতো পরিষ্কার। সবাই একযোগে হেসে উঠলেও আব্দুল কুদ্দুস গম্ভীর।

সে বললো, তিনটি কাজ : ১। গুলি করে হাতিটাকে মেরে ফেলা। ২। মৃত হাতিটাকে এক লাখ টাকায় বিক্রি করে দেয়া, এবং ৩। বিক্রিত টাকা সবাই মিলে ভাগ করে নেয়া।

ক্লাসে আবারো হাসির রোল উঠলো। স্যার হাসি থামিয়ে দিয়ে বললেন, তোমাকে বলেছি হাতিটাকে খাঁচায় ঢোকাতে, তুমি কিনা গুলি করে মেরে ফেললে। যাকগে, জবাবটা আমিই বলে দিচ্ছি। আব্দুল কুদ্দুস ঠিকই বলেছে যে কাজ হবে তিনটি। তবে কাজগুলো হলো : ১।

খাঁচার দরজা খোলা। ২। হাতিটাকে খাঁচার ভেতরে ঢোকানো, এবং ৩। পুনরায় খাঁচার দরজা বন্ধ করা। আব্দুল কুদ্দুস কিছুক্ষণ হাঁ করে দাঁড়িয়ে থেকে আপনা আপনিই বসে পড়লো।

স্যার বললেন, এখানেই গল্পের শেষ নয়। পরদিন শিকারিরা একটা বাঘও ধরে ফেললো। এবার বাঘটাকে খাঁচায় ঢোকাতে হবে। বলো তবে মোট কয়টি, এবং কী কী কাজ সম্পন্ন করতে হবে? আব্দুল কুদ্দুস এবারও চটপট উঠে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু স্যার তাকে আর কোন সুযোগ না দিয়ে মেয়েদের দিকে তাকালেন।

একটা মেয়ে উত্তর দিল, স্যার, কাজ তো আগের মতো তিনটাই হবে। দরজা খোলা, ভিতরে বাঘ ঢোকানো আর পুনরায় দরজা বন্ধ করা। স্যার একটু হেসে বললেন, হলো না। তোমরা কি ভুলে গেছো যে খাঁচার ভেতরে অলরেডি একটা হাতি ঢোকানো আছে। আমি আগেই বলেছিলাম, খাঁচায় এক সংগে কেবল একটা প্রাণীই থাকতে পারে।

অতএব, এবার কাজ হবে চারটি। যথা : ১। খাঁচার দরজা খোলা। ২। খাঁচার ভেতর থেকে হাতিটাকে বের করা।

৩। খাঁচায় বাঘটাকে ঢোকানো, এবং ৪। পুনরায় খাঁচার দরজা বন্ধ করা। ধাঁধার আনন্দে সবাই খুব মজা পাচ্ছিল এবং উৎসাহী হয়ে উঠছিল। স্যার বললেন, শিকার এখনো শেষ হয় নি।

এর পরদিন পর শিকারিরা একটা জিরাফ ধরে ফেললো। এবার জিরাফটাকে খাঁচায় ঢোকাতে হবে। আশা করি এবার সবাই বলতে পারবে মোট কয়টি এবং কী কী কাজ সম্পন্ন করা হবে। প্রায় সবারই মাথা খুলে গেলো এবং নিম্নোক্ত উত্তর দিল, কাজ হবে চারটি : ১। খাঁচার দরজা খোলা।

২। খাঁচার ভেতর থেকে বাঘটাকে বের করা। ৩। খাঁচায় জিরাফটাকে ঢোকানো, এবং ৪। পুনরায় খাঁচার দরজা বন্ধ করা।

আব্দুল কুদ্দুস এবার প্রতিবাদ করে উঠলো। বললো, স্যার, জবাব হয় নি। বাঘটাকে খাঁচা থেকে বের করার আগেই ওটাকে গুলি করে মেরে ফেলতে হবে। নতুবা বের হয়েই ওটা সবগুলো শিকারির ঘাড় মটকে খাবে। ক্লাসসুদ্ধ সবাই হেসে উঠলেও স্বভাবতই আব্দুল কুদ্দুস সেই হাসিতে অংশগ্রহণ করলো না।

স্যার অবশ্য হেসে ফেলে বুঝিয়ে বললেন, পাগল ছেলে! এটাতো গল্পমাত্র। ধাঁধার গল্পে একটু ফাঁক থাকবেই। আর সেজন্যই এটা ধাঁধা। ধাঁধার পরের অংশটা শুনলেই এটা বুঝতে পারবে। স্যার বললেন, এরপরের ঘটনা শোনো।

বাঘটা তো ছাড়া পেয়ে গেলো। ছাড়া পেয়েই বনের মধ্যে একটা মহাসমাবেশের আয়োজন করলো সে। দাবি একটাই, এই বনে শিকারিদের দৌরাত্ম্য আর বাড়তে দেয়া যায় না। তারা রোজ রোজ একেকটা প্রাণী ধরে খাঁচায় বন্দি করে রাখবে- এভাবে চলতে পারে না। আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

প্রতিবাদ, প্রতিরোধ ছাড়া গত্যন্তর নেই। স্যার বললেন, সেই মহাসমাবেশে সকল প্রাণীই উপস্থিত ছিল একটি ছাড়া। সেটি কোন্‌ প্রাণী? কেউ বললো সিংহ। কারণ সিংহ উপস্থিত থাকলে সে-ও সভাপতির আসনে বসার জন্য বাঘের সাথে মল্লযুদ্ধে নামতো। কেউ জিজ্ঞাসা করলো বনে পুকুর কিংবা নদী ছিল কিনা।

স্যার অবশ্য জানালেন যে বনের ভেতরে কোনো জলাশয় ছিল না। তখন কেউ কেউ বললো, কুমীরই তাহলে অনুপস্থিত ছিল। কারণ বনে জলাশয় নেই বলে সেখানে কুমীরেরও বসবাস ছিল না। কাজেই কুমীর আসবে কোথা থেকে? স্যার বললেন, বনের ভেতরে জলাশয় না থাকলেও নদীর ধারেই ছিল বনটি। অতএব কুমীরেরও সশরীরে হাজির থাকাটা অসম্ভব ছিল না।

সবাই যখন একের পর এক ভুল উত্তর দিয়ে যাচ্ছিল তখন স্যার খেয়াল করে দেখলেন আব্দুল কুদ্দুস অত্যন্ত বিমর্ষভাবে চুপচাপ বসে আছে। তিনি তার দিকে একটু এগিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, কী আব্দুল কুদ্দুস, উত্তরটাতো পানির মতো সোজা। পারবে? আব্দুল কুদ্দুস আস্তে উঠে দাঁড়ালো। লজ্জিতভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের দিকে একনজর চোখ ঘোরালো। সবাই কেমন কৌতুকপূর্ণ দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে আছে।

মেয়েগুলো কেউ কেউ স্বভাবসুলভ ঘ্যাঁৎ ঘোঁৎ করে হেসে ওড়নায় মুখ ঢাকছে। আব্দুল কুদ্দুস নরম স্বরে ছোটো করে উত্তর দিল, স্যার, জিরাফ সেদিন মহাসমাবেশে যেতে পারে নি। কারণ সে খাঁচায় বন্দি ছিল। পুরো ক্লাস থ বনে গেলো। স্যারও যেন বিশ্বাস করতে পারছেন না যে, আব্দুল কুদ্দুসের মতো বেকুব ছেলেটা কীভাবে সঠিক জবাবটা দিয়ে ফেললো।

তিনি খুশিতে অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত হয়ে বললেন, ভেরি গুড! ভেরি গুড! *একটি বিদেশী গল্পের ছায়ারূপ এবার ধাঁধা : বাটখারাগুলোর ওজন কতো? হিসাব করে দেখান তো ২৭ কেজি কীভাবে মাপা যায়? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.