আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মৃত্যুপূরী থেকে ফিরেঃ(ইমরান খানের ক্যান্সার হাসপাতাল)-১০

সব কিছুর মধ্যেই সুন্দর খুঁজে পেতে চেষ্টা করি............ মৃত্যুপূরী থেকে ফিরেঃ(ক্যান্সার হাসপাতাল)-১০ শওকত খানম মেমোরিয়াল ক্যান্সার হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার দুনিয়ার শীর্ষস্থানীয় দুই ধনী ব্যক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিল গেটস ও ওয়ারেন বাফেট বিভিন্ন দেশের দারিদ্র্য বিমোচনে অনেক মহতী উদ্যোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিবেশী দেশ ভারতেও ধনাঢ্য ব্যাবসায়ী টাটা, বিড়লা গ্রুপসহ অনেক ব্যাবসায়ী জনকল্যাণ তথা মানব সেবায় অসংখ্য স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল গড়ে মানবিকতায় ইতিহাসে স্থান করে নিচ্ছেন। বিল গেটস, ওয়ারেন বাফেট, টাটা, বিড়লাদেরমত অজস্র বিলিওনার আমাদের দেশে নাথাকলেও অন্তত জনা বিশেক ব্যাবসায়ী আছেন-যাদের মিলিয়ন,বিলিয়ন টাকা আছে। প্রতি ডলার সর্বনিম্ন ৮০ টাকা হিসাবেও এক বিলিয়নে ৮০০০ কোটি টাকা হয়। ৮০০০ কোটি টাকার ধনসম্পদ আমাদের দেশের অন্তত ৭০/৮০ জনের আছে বলে আমার ধারণা।

কিন্তু সেই ৮০০০ কোটি টাকার মালিকদের কারোরই তেমনকোনো সামাজিক,মানবিক সেবামূলক অবদান নেই! হাজী মূহম্মদ মহসীন, অশ্বিনী কুমার দত্ত, আনন্দ মোহন, ব্রজলাল দত্ত, নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহর পর পাকিস্তানের আদমজী ফাউন্ডেশন, দাউদ-ইস্পাহানী ফাউন্ডেশন,বাওয়ানী ফাউন্ডেশন বিভিন্ন বৃত্তি দিত প্রতিবছর। তাঁরা বিভিন্ন নামের ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করে এসব ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে শিক্ষা, সাহিত্য- সংস্কৃতিকে উৎসাহিত করেছেন, বৃত্তি দিয়ে গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার ব্যবস্থা করেছেন। বাংলাদেশে সেই আদমজী ইস্পাহানী, বাওয়ানীদের প্রতিষ্ঠিত স্কুল, কলেজ ও হাসপাতাল এখনো চলছে। ঐ সময়ে বাঙালিদের মধ্যে আর পি সাহা প্রতিষ্ঠিত কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট, টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ভারতেশ্বরী হোমস, কুমুদিনী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে দাণবীর হিসেবে স্মরণীয় হয়ে আছেন। সেই আমলের ধনাঢ্য জমিদার ও শিক্ষানুরাগী করটিয়ার জমিদার ওয়াজেদ আলী খান পন্নীর করটিয়া সা’দত কলেজ এখনও আমাদের সামনে দৃস্টান্ত হয়ে আছে।

স্বাধীনতার পর কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে শিল্পপতি জহুরুল ইসলামের প্রতিষ্ঠিত বাজিতপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, সিরাজগঞ্জে খাজা এনায়েতপুরী হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ ছাড়া জাতীয়ভাবে পরিচিত আর কোনো প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করারমত নেই। যাও দুএকটি আছে তা সরকারী তথা জনগনের ট্যাক্সের টাকায় গড়া কিন্তু তাও রাজনৈতিক দূর্বিসন্ধি এবং অনেকটাই বানিজ্যিক স্বার্থ হাসিল ভিন্ন অন্যকিছু নয়! প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক কয়েক বছর ধরে প্রতিবছর শত কোটি টাকা স্কুল-কলেজের গরিব মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের জন্য বৃত্তি এবং চিকিতসা সেবায় দিয়ে আসছে। কিন্তু পোশাকশিল্পে হঠাৎ রাতারাতি কোটিপতি বনে যাওয়া মানুষগুলো এককভাবে বা সামগ্রিকভাবে কোথাও কোনো সামাজিক দায়বদ্ধতা পালন করছেন বলে দেখিনি। মায়ের প্রতি ভালোবাসা ও ক্যান্সার আক্রান্তদের প্রতি মমত্ববোধের এক অনুপম কীর্তি দেখে আমি অবিভূত! মায়ের স্মৃতিকে অম্লান করে রাখতে ইমরান খান লাহোরে গড়ে তুলেছেন পাকিস্তানের একমাত্র বিশ্বমানের ক্যান্সার হাসপাতাল-শওকত খানম মেমোরিয়াল ক্যান্সার হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার। পাকিস্তানীরা বলে "ইমরান খানের ক্যান্সার হাসপাতাল"! পাকিস্তানের ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সবাই এখানে ক্যান্সারের সর্বাধুনিক চিকিত্সা পাচ্ছেন।

ক্রিকেটার হিসেবে ইমরান খান আমার একজন প্রিয় মানুষ। ইমরান খানের মা শওকত খানম ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন। ক্যান্সার আক্রান্ত মায়ের সেবা-শুশ্রূষা করতে গিয়ে ক্যান্সার সম্পর্কে ধারণা জন্মে তাঁর। মায়ের মৃত্যুর পর তিনি তাঁর স্মৃতিকে অম্লান রাখতে এবং ক্যান্সার রোগীদের সেবা করতেই তৈরি করেন পাকিস্তানের একমাত্র বিশ্বমানের এই ক্যান্সার হাসপাতালটি। আমি নিজে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে দেশ বিদেশের অনেক ক্যান্সার হাসপাতাল ও ক্যান্সার চিকিতসকদের সম্পর্কে জানতে কৌতুহলী হই।

পাকিস্তান গিয়ে এবার ইমরান খানের প্রতিষ্ঠিত সেই হাসপাতালে আমার চেক আপ ও হাসপাতাল সম্পর্কে জানার সুযোগ হয়েছে-যা পাঠকদের সাথে শেয়ার করতে চাই। লাহোরে শওকত খানম মেমোরিয়াল ক্যান্সার হাসপাতাল প্রবেশপথে প্রথমেই চোখেপরে দেয়ালে দেয়ালে অনেক বিখ্যাত ব্যাক্তিত্বের ছবি। প্রিন্স চার্লস, লেডি ডায়ানা, সুনীল গাভাস্কার, শচীন টেন্ডুলকার, কপিল দেব, ওয়াসিম আকরাম, নওয়াজ শরিফ, জেমাইমা খান প্রমুখ ব্যক্তিত্বের ছবি-যারা এই হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাকালীন ডোনার। ৯০০ কোটিরও বেশি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে পাকিস্তানের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য এই ক্যান্সার চিকিত্সা কেন্দ্র। এখানে চিকিত্সা নিতে আসা রোগীদের প্রায় ৭৫ ভাগই আর্থিক সহায়তা পেয়ে থাকে।

বিশ একর জায়গার ওপর নির্মিত নয়নাভিরাম স্থাপত্যের এ হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠায় ইমরান খান প্রচণ্ড পরিশ্রম করেছেন। ১৯৮৯ সালে লাহোরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে অনুষ্ঠিত ক্রিকেট ম্যাচের পর তিনি দর্শকদের কাছে এ হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠায় তহবিলের জন্য আবেদন করেন। সেই আবেদনে সারা দিয়ে দর্শকগন ইমরানের হাতে তুলেদিয়েছিলেন ২৯,০২,৬০০ রুপি। এরপর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে তহবিল সংগ্রহের জন্য তিনি অর্ধশত সফল অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। ১৯৯২ সালে ইমরান খানের নেতৃত্বে পাকিস্তান ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয় করলে নিজের প্রাইজ মানি হিসেবে পাওয়া প্রায় ১ কোটি রুপির সবটাই তিনি এ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার জন্য দান করেন।

নির্মাণ কাজ শুরু করে অর্থ সংগ্রহের জন্য তিনি পাকিস্তানের ২৭টি শহরে প্রচারাভিযান চালান এবং প্রায় ১২ কোটি রুপি সংগ্রহ করেন। তার এ মহতী কর্মে দরিদ্র থেকে বিত্তশালী প্রায় ১০ লাখ লোক শরিক হন। ১৯৯১ সালের এপ্রিলে এই হাসপাতালের নির্মাণ কাজ শুরু হয় আর চালু হয় ১৯৯৪ সালের ডিসেম্বরে। হাসপাতালের একটি বুকলেট সংগ্রহ করতে যাই-যা বিনে পয়শায় দেয়া হয়। কিন্তু কেউ ঐ বুকলেট নিয়ে যেকোনো পরিমান টাকাদিলে তা মুল্য/দান হিসেবে মানি রিসিট দিয়ে গ্রহন করা হয়-সেই টাকা হাসপাতাল ফান্ডে জমা হয়।

আমি ১০০ রুপী দিয়ে বুকলেট নেই(একজন বাংলাদশীর একশত টাকা দানের প্রমান ঐ হাসপাতাল ইতিহাসে লেখা থাকবে)। সেখানে ইমরান খানের একটি বক্তব্য আছে, যার বাংলা অনুবাদ-“আমি আপনাদের যে ভালোবাসা ও সহমর্মিতা পেয়েছি, তার জীবন্ত প্রতিদান হচ্ছে এ হাসপাতাল। হাসপাতালটি পরিচালনার জন্য বছরে ৩৬০ কোটি রুপি দরকার। এর অর্ধেক আসবে চিকিত্সা পরিসেবা বাবদ প্রাপ্ত অর্থ থেকে। বাকি অর্ধেক আসবে জাকাতসহ শুভাকাঙ্ক্ষীদের অনুদান থেকে।

হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠায় আপনাদের সহযোগিতা দরকার ছিল। ক্যান্সার চিকিত্সায় যাদের আর কোনো উপায় নেই, তাদের মতো রোগীদের চিকিত্সা দেয়ার জন্য ভবিষ্যতে আপনাদের আরও বেশি সহায়তার দরকার হবে”। বাতসরিক বুলেটিনের মাধ্যমে এই হাসপাতালের যাবতীয় আয়-ব্যায় অডিট রিপোর্ট সকলের জন্য প্রদর্শিত হয়-যা সততার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। ২০১০ সালের হিসাবে দেখা যায়, ঐ বছর হাসপাতালটির চিকিত্সাসেবা, জাকাত, অনুদানসহ বিভিন্ন খাত থেকে রাজস্ব আয় হয়েছে ৩০১ কোটি রুপি এবং বেতন ভাতাসহ বিভিন্ন খাতে মোট ব্যয় হয়েছে ২৮৮ কোটি রুপি। ১৩৫ শয্যার এ হাসপাতালে ২০১০ সালে ভর্তি হয়েছেন ৬৭৮৫ জন রোগী।

এ সময় বহির্বিভাগে চিকিত্সা নিয়েছেন ১ লাখ ৩০ হাজার ১৬৫ জন রোগী। এর মধ্যে কেমোথেরাপি নিয়েছেন ২৭,৫৮৮ জন, রেডিয়েশন ট্রিটমেন্ট নিয়েছেন ৪২,৮৮৮ জন, সার্জিক্যাল প্রসিডিওর ৬১০৯ জন। এছাড়া এখানে প্যাথলজি টেস্ট হয়েছে ২৮ লাখ ৫২ হাজার ৩৪৭টি এবং ইমেজিং স্টাডিজ ১ লাখ ৩৪ হাজার ১৭৭টি। বর্তমানে অ্যানেসথিসিওলজি, ক্লিনিক্যাল রেডিওলজি, মেডিকেল অনকোলজি, ইন্টারন্যাল মেডিসিন,প্যাথলজি, পেডিয়াট্রিক অনকোলজি, ফার্মাসি, রেডিয়েশন অনকোলজি এবং সার্জিক্যাল অনকোলজি সেবা রয়েছে এই হাসপাতালে। হাসপাতালটির নির্মাণ কাজে দেশ-বিদেশের সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের জড়ো করা হয়।

অলাভজনক শওকত খানম মেমোরিয়াল ট্রাস্টের অধীন এ প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হয় একটি বোর্ড অব গভর্নর্স দ্বারা। এর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ইমরান খান নিজেই। বর্তমানে পাকিস্তানের পেশোয়ারে দ্বিতীয় শওকত খানম মেমোরিয়াল ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলছে। এ হাসপাতালে দরিদ্র রোগীদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিত্সা দেয়া হচ্ছে। হাসপাতালের আউটডোরে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৮০০ রোগী চিকিত্সা নিচ্ছেন।

স্তন ক্যান্সার গবেষণায় ও চিকিতসায় উপমহাদেশ জুড়ে এ হাসপাতালের সাফল্য। স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত ৯৫ ভাগ মহিলাই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। বর্তমানে লাহোরে মূল ক্যাম্পাসের বাইরেও করাচি, পেশোয়ার, ইসলামাবাদে রোগ নির্ণয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পাকিস্তানের বাইরে থেকেও দানশীল ব্যক্তিরা এ হাসপাতালে এককালীন দান ও জাকাত-সদকা দিয়ে থাকেন। ইমরান খান প্রতিষ্ঠিত ক্যান্সার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ইতিহাস ও সাফল্য দেখে মনটা ভরে গেল।

সেলিব্রিটিরা যদি মানব কল্যাণে এমন নিবেদিতপ্রাণ হয়ে উঠতে পারেন, তবে দেশ ও সমাজের বহু সমস্যাই মোকাবেলা করা যায়। প্রয়োজন শুধু সৎ নেতৃত্বের উদ্যোগ ও আন্তরিকতার। সাধারণ মানুষ যোগ্য নেতৃত্ব পেলেই এগিয়ে আসবেন। আমাদের মাতৃভূমি বাংলাদেশেও এ ধরনের সফল অধ্যায় আমরা দেখতে আগ্রহী। জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে আমেরিকায় চিকিতসাধীন অবস্থায় কয়েকদিন আগে ঘোষনা দিয়েছিলেন-তিনিও একটি ক্যান্সার হাসপাতাল করতে চান সকলের সহযোগীতায়।

আমাদের প্রত্যাশা তিনি অবশ্যই সেই উদ্যোগ নিবেন, আমরা সহযোগীতা করবো। এই মহতী কাজের জন্য প্রয়োজন একজন হুমায়ুন আহমেদকেই-যিনি লক্ষ কোটি তরুনকে হিমু বানিয়ে ফেলেছেন। তিনি পারবেন একজন হ্যামিলনের বাশীওয়ালা হয়ে লক্ষ কোটি বাংলাদেশীকে উদ্ববুদ্ধ করতে একটি উন্নতমানের ক্যানসার হাসপাতাল গড়তে। শুভ কামনা শ্রদ্ধেয় হুমায়ুন আহমেদের জন্য। (প্রিয় পাঠক, আমি আগেই উল্লেখ করেছি-এই সিরিজটা লিখেছিলাম গত নভেম্বর মাসে যখন আমি পাকিস্তান ভ্রমন করেছিলাম।

ঐ সময় জনন্দিত লেখক হুমায়ুন আহমেদের একটা লেখার অংশবিশেষ পড়ে এই পর্বের শেষ প্যারাটা লিখেছিলাম। আজ হুমায়ুন আহমেদ আমাদের মাঝে নাই-তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। হুমায়ুন আহমেদের মৃত্যু হয়েছে, কিন্তু তাঁর স্বপ্নের যেনো মৃত্যু নাহয়। এখন তাঁর পরিকল্পিত ক্যানসার হাসপাতাল তৈরি করতে রাস্ট্রীয় সহায়তা, তাঁর পরিবার ও সমাজের সকলস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। দেশে একটি উন্নতমানের ক্যানসার হাসপাতাল তৈরী করতে পারলে সেটাই হবে হুমায়ূন আহমেদের জন্য আমাদের ভালোবাসার যথার্থ প্রকাশ।

) (পরের পর্বে.........)  ।


আরো পড়ুন

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।