আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মৃত্যুপূরী থেকে ফিরেঃ-৫

সব কিছুর মধ্যেই সুন্দর খুঁজে পেতে চেষ্টা করি............ মৃত্যুপূরী থেকে ফিরেঃ-৫ আজ শুক্র বার। মুসলিম রাস্ট্র পাকিস্তানেও আর এক মুসলিম রাস্ট্র সৌদি আরবেরমত শুক্রবার সরকারী ছুটির দিন নয়। আজ আমরা Quayum & Elahee Co’র ফ্যাক্টরী ভিজিট করি। Quayum & Elahee কোম্পানী পাকিস্তানের অন্যতম অত্যাধুনিক সার্জিক্যাল ইন্সট্রুমেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার। নির্দিস্ট সব মালামাল এক্সপোর্ট করার জন্য রেডি।

PSI হলেই প্যাকিং হয়ে চলে যাবে করাচী। স্থানীয় একটি মসজিদে জুম্মা নামাজ আদায় করি। পাকিস্তানে একটা জিনিষ লক্ষ করেছি-নামাজের সময় সবাই নামাজ পরতে মসজিদে যায়-কিন্তু খুব কম মুসুল্লীদেরই নামাজের আগে অযু করতে দেখেছি। এমনও দেখেছি ছেলে-বুড়ো মাঠে কৃকেট খেলছে-নামাজের সময় দৌড়ে মসজিদে কিম্বা মাঠেই লাইন ধরে নামাজে দাঁড়িয়ে যেতে! হয়ত ওরা সব সময়ই অযু অবস্থায় থাকে!! ইডি সাহেব বললেন-"অযু করাতো দুরের কথা অনেক পাকিস্তানী টয়লেট করেও পানি ইউজ করেনা-কিন্তু নামাজ পড়ে" ! বিষয়টা নিয়ে আমি এক পাকিস্তানীকে প্রশ্ন করলে উত্তর দেয়-"ওহি জরুর নেহি" ! আজও আমরা লাঞ্চ করি সিলভারস্পুনে Quayum & Elahee কোম্পানীর সৌজন্যে। লাঞ্চ টেবিলেই বাংলাদেশথেকে ইডি সাহেবের কল আসে-উনার আম্মা’র মৃত্যু সংবাদ! ইডি সাহেব দেশে ফিরলেই দাফন করা হবে।

এই শোকাবহ সংবাদে আমাদের লাঞ্চ শেষহয় শোকাহত পরিবেশে। সিদ্ধান্ত হয়-আজই ইডি সাহেব লাহোর চলে যাবেন দেশে ফেরার উদ্দেশ্যে। লাঞ্চ শেষে আমরা হোটেলে চলেযাই-ইডি সাহেবের রিটার্ণ টিকেট কনফার্ম করে তাঁকে লাহোর পৌঁছানোর দ্বায়িত্ব নেন-কাইউম এন্ড এলাহী কোং কর্তিপক্ষ। সবকিছু কণফার্ম করে ইডি সাহেব মনখারাপ নিয়ে বিকেলে লাহোর ফিরে যান। আজও আমরা ২ টা আত্মঘাতী বোমা হামলা দেখেছি।

আমি নাসের মাহমুদের দুই গার্ডদের নিয়ে কিছুটা কৌতুহলী। ওদেরকে জিজ্ঞেশ করি-আমরা সন্ত্রাসীদের দ্বারা আক্রান্ত হলে-তোমরা কি করবে? জুম্মন গুলি করার ভংগীতে বন্দুক উঁচিয়ে বলে-“সিদা মার্দেইউংগা” একই ভংগীতে হিকমত বলে-“ফটাফট গোলি মার্দেইউংগা”! আমি আর জিজ্ঞেস করিনি-কাকে মারবে! আত্মঘাতি বোমা বিস্ফোড়নের ছবি নাসের মাহমুদকে জানতে চাই- Do you know who is Taleeban around us? নাসের একটু চিন্তা করে বললেন- I don’t know who is Taliban around here,possible any one can be Taliban, but I assure you, all Pakistani should be Taliban here when its becomes an issue against of America! আমার ধারনা নাসের মাহমুদের এই কথাটা প্রতিটি পাকিস্তানীদের 'কঠোর মার্কিন বিরোধী মানসিকতা'। । চেনাব রিভার জাবির কোরেশী নামক এক পাকিস্তানী ব্যাবসায়ীকে খুঁজতে বের হই বিকেলে-সাথে নাসের এবং যথারিতি পাকশার্দূল জুম্মন-হিকমত। ওর ঠিকানা শিয়ালকোট মডেল টাউনের ক্যানাল কলোনী নামক স্থানে।

চেনাব রিভারের তীর ঘেষেই- ক্যানাল কলোনী/ক্যানাল হাউজিং স্টেট। জাবিরের সাথে আমার পরিচয় হয়েছিল কয়েকবছর আগে লন্ডনে। ২০ বছরের ইনোসেন্ট চেহারার জাবির-এর দুচোখ ভরা মায়া! শিয়ালকোট ক্যাডেট কলেজ থেকে HSC পাশ করে লন্ডনে এসেছিলা পড়াশোনার জন্য। কিছুটা খেয়ালী স্বভাবের। ওর বাবা সেনা কর্মকর্তা তালেবানদের আত্মঘাতি বোমা হামলায় অন্য ১৬ জন সেনার সাথে মারাযায়।

বাবার মৃত্যুহলে পড়াশুনা শেষ নাকরেই পাকিস্তান ফিরে বড় ভাইয়েরসাথে পারিবারিক ব্যাবসার হাল ধরে। জাবিরের সাথে ফোন- ইমেলেই কিছুদিন যোগাযোগ ছিল। হঠাত একদিন জাবির আমাকে কল দেয়-সে ঢাকা এসেছে বিজনেস ডেভলপমেন্টের কাজে, হোটেল শেরাটনে উঠেছে। ঢাকাতে ও কাউকে চেনেনা। ওর আর আমার ব্যাবসা ভিন্ন ধরনের।

তারপরেও আমার পক্ষে সাধ্যমত ওকে বিভিন্ন ব্যাবসায়ীদের সাথে মিটকরিয়ে দেই-কিন্তু আমাদের দেশীয় কোনো ব্যাবসায়ীরাই ওকে অভিজ্ঞ ব্যাবসায়ী হিসেবে গ্রহন করেননি। ২০দিন ঢাকা থেকে ফিরে যায় পাকিস্তান-তারপর আবার যোগাযোগ নেই। ৬/৭ মাস পর জাবির হঠাত ফোন করে জানায়-আমার কোম্পানীর নামে ১ লক্ষ ১৫ হাজার ডলারের বিভিন্ন প্রডাক্ট পাঠিয়েছে Freight collect basis by DHL! আমিতো শুনে থ! ১৪০০ কেজি ওজনের কার্গো ফ্রেইটই আসবে কমপক্ষে ১০ হাজার ডলার! কি গুডস পাঠিয়েছে-আমি কিছুই জানিনা। অনেক পাকিস্তানীদেরমতই আমি জাবিরকেও সন্দেহের উর্ধে রাখিনি। সভাবতই আমি কনসাইনমেন্ট ডেলিভারী নিতে অস্বীকৃতি জানাই।

জাবির ইমেলে প্যাকিং লিস্ট ও ক্যাটালগ পাঠায় এবং ইমেইলে লিখেছে-“We are in deep financial crisis, thus I can’t able to pay DHL’s bill freight prepaid. So please take delivery the consignment by your own fund and adjust it after selling the goods if possible.”! প্যাকিং লিস্টে দেখি-বেশীরভাগই হস্ত শিল্পজাত দ্রব্য,শো পিস, লেদারস গুডস, আইভরী বোন ইত্যাদি......যার কোনোটিই আমার ব্যাবসা সংশ্লিষ্ঠ নয়। উপরন্তু ৫ হাজার ডলারবেশী মূল্যমানের পণ্য L/C নাকরে ইম্পোর্ট করার জন্য কাস্টমস কর্তিপক্ষ বিশাল অংকের প্যানাল্টিতো করবেই-তার উপর আছে নানান হয়রানী! কার্গো চলে এসেছে ঢাকায়। অনেক ভেবেচিন্তে আমি কনসানইন্মেন্ট রিসিভ করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ইমেইল করি-ডকুমেন্ট রাখার জন্য। এখন আমি জাবিরের সাথে কথা কম বলি, যাও বলি তা সবই রেকর্ড করি। উইথ আউট মাই কনসার্ন পাকিস্তান থেকে কনসাইনমেন্ট এসেছে-যা আমার কাছে সন্দেহ জনক এবং অবশ্যই ভীতির কারনও।

বিষয়টা আমি সাথে সাথে NBR সহ গোয়েন্দা বিভাগেও জানিয়ে দেই। শুল্ক গোয়েন্দা পরিদপ্তর পুরো কন্সাইন্মেন্ট পরীক্ষা নিরীক্ষা করে কনফার্ম করে-দোষনীয় কোন কিছু কার্টনে নেই কিন্তু ডকুমেন্টারী অনেক শর্টেজ আছে। জাবির ঢাকা আসে। এয়ারপোর্ট থেকেই কল করে-আমার অফিসের কাছাকাছি মোটামুটি কোনো সস্তা হোটেলের ঠিকানা জানতে চায়। আমি পল্টনের হোটেল আজাদ এর কথাবলি।

জাবির হোটেলে লাগেজ রেখেই চলে আসে আমার অফিসে। জাবিরের শুকনামুখ ও অসহায়ত্ব দেখে মনটা খারাপ হয়ে যায়। শুধু বলে-“চাচাজী,We are passing a very disappoint situation, plz unconditionally help me. অনেক অনূরোধ করে কনসাইনমেন্ট রিসিভ করতে। NBR কর্মকর্তা বন্ধু ফরিদউদ্দীন, কাস্টমস কমিশনার মাহবুব ভাই ও DCCI, FBCCI প্রেসিডেন্ট সাহেবের সাথে জাবিরকে সাথে নিয়েই দেখা ও পরামর্শ করি। জাবিরের অসহায়ত্ব এবং বোকামী দেখে চিরায়ত বাংগালী মনের কোমলত্ব এবং মমতায় সকলেই ওর প্রতি সীমপ্যাথীক হয়।

NBR কর্মকর্তা বন্ধু ফরিদ, কাস্টমস কমিশনার মাহবুব ভাই ও FBCCI সভাপতি জানালেন-যদি এই কনাসাইন্মেন্ট রিসিভ না করা হয়-তাহলে আমাকেও একটা প্যানাল্টি দিতে হবে-যেহেতু পন্য আমার কোম্পানীর নামেই এসেছে। ২য়ত এই পন্য নাছাড়ালে গোডাউনেই নষ্ট হবে। ১ বছর পর যখন নিলাম হবে-তখন এগুলোর কোনো মূল্য থাকবেনা। কিন্তু পন্যগুলো আমি রিসিভ করলে সরকার কমকরে হলেও ৭০ হাজার ডলার সম মূল্যের শুল্ক পাবে এবং ভাগ্য সহায়ক হলে পন্য সেল করে এক্সপোর্টারের পেমেন্ট পরিশোধ করে প্রফিটও পাওয়া যেতে পারে। অনেক ভেবেচিন্তে শেষ পর্যন্ত বিরাট অংকের প্যানাল্টিদিয়ে কনসাইনমেন্ট রিসিভ করি।

উল্লেখ্য, কয়েকজন স্বনাম ধন্য ব্যাবসায়ী আমাকে প্রস্তাব দিয়েছিল-"কবির সাব, আপ্নে কোনো কথা কৈয়েন্না, চুপচাপ থাকেন, পোলাডারে পুলিশে ধরাইয়া দেই আর মাল্গুলো আমরা খাইয়া ফালাই"! আমি জাবিরকে জানাই-যেহেতু তুমি নিয়মমেনে এক্সপোর্ট করোনি-তাই পণ্য সেল করার পরে তোমার টাকা পাঠানোও অনেক সমস্যা হবে। NBR, Import Controllar থেকে নানান ডকুমেন্টস/পার্মিশান নিতে অনেক খরচ হবে। কয়েকটা কার্টন খুলে দেখি- হস্তশিল্প পণ্যগুলো সত্যি খুব সুন্দর এবং কস্টলী। বড় সমস্যা এই পণ্য অভিযাত এলাকার শো-রুম ছাড়া সেল করা সম্ভব নয় এবং সেইসব শো-রুমে এই পণ্য সেল করতে দিলে আলাদাকরে মার্কেটিং সেলস মেন লাগবে-অর্থাৎ নতুন একটা এস্টাব্লিশ্মেন্ট। জাবির নিজেই ১০ দিন ঢাকায় থেকে বেশ কিছু অভিযাত শোরুম, শপে যোগাযোগ করে সামাণ্য এডভান্স নিয়ে কয়েকলক্ষ টাকার পণ্য বাকীতে দেয়।

স্থানীয় ব্যাবসায়ীরা জাবিরের অসহায়ত্বের সুযোগে লক্ষ টাকার জিনিষ হয়ত ৩০/৩৫ হাজার টাকায় কেনে-তাও বাকী! জাবির চলে যাবে পাকিস্তান। আমি প্রশ্ন করি- Why you lend thousand dollar’s goods by trusting me? You don’t do anything against me if I don’t pay back your money. Because you have no any legal right about goods & you have no proper export documents like EXPO, CO, OBL etc. জাবির এটেনশন হয়ে বলে- I was an ex-cadet, u also. My father was an Army officer, your father also the same. My father completed PSC from National Defence College and Defence Services Command and Staff College of Bangladesh. My father always told me about remarkable morality of Bengali people. I seek help to my senior cadet who was like my father. I believe he must not misuse my money. জাবির পাকিস্তান ফিরে যায়;আমার উপর দ্বায়িত্ব ও বিশ্বাস রেখেযায়-বিক্রিত পণ্যের টাকা থেকে আমার বিনিয়োগ টাকা রেখে বাকী টাকা ওকে ফিরিয়ে দেবো। এয়ারপোর্ট এবং বিভিন্ন স্টার হোটেলের আউটলেট সারভান ডিউটি ফ্রি শপের মালিক আমার দীর্ঘদিনের পরিচিত। তাঁকে পণ্যগুলো দেখাতেই তিনি সব পণ্য কিনতে চায় কমদামে তাও টু থার্ড টাকা বাকী! ঝামেলা এড়াতে আমি সারভান মালিকের কাছে ওয়ান থার্ড এডভান্স নিয়ে এগ্রিমেন্টের মাধ্যমে বাকীতেই মালগুলো বিক্রি করেদেই। সারভানের ডিউটি ফ্রি শপে যে লেদার ক্যাপ ৪০০ টাকা, যে লেদার জ্যাকেট ৫ হাজার টাকায় বিক্রি হতে দেখেছি-সেই ক্যাপ ও জ্যাকেট আমার থেকে কিনেছে যথাক্রমে মাত্র ১০০ ও ১০০০ টাকায়! অথচ জাবিরের প্রডাকশন কস্ট ছিল যথাক্রমে ১০০ ও ১২০০ টাকা।

প্রায় ৭/৮ মাসের চেস্টা তদ্ববীরে কোনো রকম জাবিরের আসল টাকা বের করা সম্ভব হয়েছিল। কিন্ত জাবির পাকিস্তান ফিরে পরপর ৩/৪ দিন ফোন করে যখন আমি পণ্য বিক্রির কোনো ব্যাবস্থা করতে পারিনি। মাস খানেকপর মাত্র একবার ফোন করেছিল-তখনও ওকে আমি ভাল কোনো খবর দিতে পারিনি। তারপর আর আমার সাথে কোনো প্রকার যোগাযোগ করছেনা। মাল বিক্রির পর ইমেইল, ফোনে যোগাযোগে ব্যার্থ হয়ে আমি নাসের মাহমুদের শরনাপন্ন হই।

নাসেরকে জানাই-আমি জাবিরের নিকট কয়েক হাজার ডলার পাবো……কিন্তু জাবির আমার সাথে কোনো যোগাযোগ করছেনা! কিছুদিন পর নাসের খোঁজ নিয়ে জানান জাবিরের বড় ভাই সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হলে ওদের কোম্পানী “মার্শাল ক্রাফট” বন্ধ করে জাবির বিদেশে চলে গিয়েছে। জাবিরের বড় অংকের আমানত আমার হাতে গচ্ছিত-যা নিয়ে আমি সবসময়ই টেনশনে! বিষয়টা আমি নাসেরকেও জানাইনা। চেবান ব্যারেজ অপূর্ব সৌন্দর্য্যের চেনাব ব্যারেজ দেখে আমি অবিভূত! চেনাব ব্যারেজ Neelum–Jhelum Hydropower Plant এর একটি অংশ-যেখানে থেকে চেনাব নদীর পানির গতিপথ পরিবর্তন করে Neelum–Jhelum Hydropower Plant এ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শিয়ালকোট-কাশ্মীর সীমান্তের শেষ দিকে মোজাফফরবাদে Neelum–Jhelum Hydropower Plant পাকিস্তানের অন্যতম বিদ্যুৎ কেন্দ্র কৌশলগত কারনে নিরাপত্তা বেস্টনীতে ঢাকা। চেক পোস্টেই আমি আসর নামাজ আদায় করি।

পাহাড় ঘেরা চেনাব নদী যেখানে সমতল ভূমি পেরিয়েছে সেখানে নদীর তীর ঘেঁষে সুন্দর ওয়াক ওয়ে আর একটু উঁচুতে হাইওয়ে দিয়ে আমরা চলছি চেনাবকোট। প্রমত্তা নদীর ভাংগন এড়াতে কয়েক মাইল জুড়ে চেনাবের দুই তীর কংক্রিটে বাঁধানো। এই এলাকায় প্রচুর গরু-মহিষের বাথান। ছাগল আর দুম্বারও অভাব নেই। নাসের জানালো-শিয়ালকোট তথা পাকিস্তানের অন্যতম বিখ্যাত মাদানী ডেয়ারী ফার্ম’র মেইন ইউনিট এখানেই অবস্থিত।

পড়ন্ত বিকেলে চেনাব রিভার জাবিরদের বাড়ি আমরা যখন জাবিরের ঠিকানায় পৌছি তখন পড়ন্ত বিকেল-ভয়ংকর খরস্রোতা চেনাবের সৌন্দর্য্য উপভোগের প্রকৃত সময়। প্রথমে জাবিরদের অফিস ঠিকানায় গিয়ে দেখি-তালাবদ্ধ। পাশের অফিস থেকে এক লোক জানালো-“জাবির ছাবকো মাকাণ উধারসে হাউজিং স্টেস্ট......ডি ব্লক”-লোকেশন জেনে জাবিরদের বাড়ি খুঁজে পেতে সমস্যা হয়নি। চমতকারসব বাড়ি ঘর। হাউজিং স্টেটের সব বাড়িই আড়াইতলা ডুপ্লেক্স এবং সব বাড়ির সামনেই খোলামেলা যায়গা, সামনে সাজানো বাগান।

পাকিস্তানের সব যায়গারমতো এখানেও বাড়ির সামনে, রাস্তায়, খোলা যায়গায় সর্বত্রই শিশু-কিশোর এমনকি বয়স্করাও কৃকেট খেলছে! ছেলেদেরকে জিজ্ঞেশ করতেই জাবিরদের বাড়ি দেখিয়ে দিল। (পরের পর্বে.........) আগের পর্বের লিংকঃ- Click This Link ।


আরো পড়ুন

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।