আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যে সকল সম্পদের যাকাত দিতে হবে

জালিমের ফাঁসি হোক, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি হোক, রাজাকারদের ফাঁসি হোক যাকাতযোগ্য সম্পদের বিবরণ: * সোনা, রূপার গহনা, বার বা গিনি কয়েন-এর বর্তমান বাজার মূল্য। * সোনা/রূপা/মূল্যবান পাথর/হিরক বা মণিমুক্তা মিশ্রিত অলঙ্কার অর্থাৎ এসব ক্ষেত্রে শুধুমাত্র সোনা বা রূপার মূল্য। * ব্যবসার জন্য ক্রয়কৃত খালি প্লটের ক্রয় মূল্য * নিজ ব্যবহার্যের অতিরিক্ত বাড়ি/ফ্ল্যাট রক্ষণাবেক্ষণ খরচ বাদে বাৎসরিক আয় (যদি সঞ্চিত থাকে)। * যানবাহন : ব্যবসায় ব্যবহৃত রিক্সা, ট্যাক্সি, লরি, সিএনজি, গাড়ি, বাস-ট্রাক, ট্রলার, লঞ্চ, নৌকা ইত্যাদি রক্ষণাবেক্ষণ খরচ বাদে বাৎসরিক আয় (যদি সঞ্চিত থাকে) * সাবালকের বিভিন্ন সঞ্চয় বা যাকাতযোগ্য সম্পদের মূল্য। * প্রাইজবন্ড সবগুলোর ক্রয় মূল্য * ব্যক্তিগত বা পোষ্যের নামের বীমা অর্থাৎ বীমায় জমাকৃত মোট প্রিমিয়াম।

* নিজ বা পোষ্যের ডিপিএস বা এ ধরনের যে কোনো সঞ্চয় অর্থাৎ জমাকৃত মোট অর্থ। * বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্র অর্থাৎ সবগুলো সঞ্চয় পত্রের ক্রয় মূল্য। * বন্ড (ব্যাংক বা অর্থলগ্নী প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন নামের যে কোনো বন্ড) অর্থাৎ সবগুলো বন্ডের ক্রয়কৃত মূল্য। * বিভিন্ন মেয়াদী আমানত-এর জমাকৃত মোট অর্থ। * প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমাকৃত মূল টাকা।

অর্থাৎ প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমাকৃত মূল টাকা যখন থেকে নিছাব পরিমাণ হবে তখন থেকে যাকাত গণনা করতে হবে। এরপর পূর্ণ ১ বৎসর হলে নিছাব যদি থাকে তাহলে তার যাকাত দিতে হবে। * সিডিবিএল বা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত শেয়ার হোক অথবা সিডিবিএল বা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত না হোক যাকাত দেয়ার নিয়ম হচ্ছে- শেয়ার ক্রয় করা হয়েছে কম মূল্যে, যাকাত প্রদানের সময় শেয়ারের মূল্য বেশি, এক্ষেত্রে ক্রয় মূল্যে যাকাত দিতে হবে আর যদি বিক্রি করে দেয় তবে বিক্রিকৃত মোট টাকার যাকাত দিতে হবে। আবার শেয়ার ক্রয় করা হয়েছে বেশি মূল্যে যাকাত প্রদানের সময় শেয়ারের মূল্য কম, এক্ষেত্রে যাকাত প্রদানের সময়কার মূল্য ধরতে হবে। * অংশিদারী বা যৌথ মালিকানার যাকাতযোগ্য সম্পদ অর্থাৎ যৌথভাবে যাকাত আদায় না হলে নিজ অংশের ক্রয় মূল্য।

* বিদেশের সকল যাকাতযোগ্য সম্পদ (যদি থাকে) তার ক্রয় মূল্য। * ক্যাশের/হাতের বা সঞ্চিত নগদ অর্থ। সেভিংস (সঞ্চয়ী) অ্যাকাউন্ট অর্থাৎ নির্দিষ্ট তারিখের ব্যালেন্স। * কারেন্ট (চলতি) অ্যাকাউন্ট অর্থাৎ নির্দিষ্ট তারিখের ব্যালেন্স। * কারখানায় ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য ক্রয়কৃত কাঁচামালের মজুদ অর্থাৎ ক্রয়কৃত মালের ক্রয় মূল্য।

* কারখানায় ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে প্রস্তুতকৃত তৈরি মালের মজুদ অর্থাৎ কোম্পানির নির্ধারিত ক্রয় মূল্য। * ব্যবসার জন্য ক্রয়কৃত মালের মজুদ অর্থাৎ মজুদ মালের ক্রয় মূল্য। * পোল্ট্রি ফার্মের ব্রয়লার বড় করে বিক্রির জন্য পালিত হলে অর্থাৎ ফার্মের হাস-মুরগির ক্রয় মূল্য। * ব্যবসার জন্য পালিত গরু/মহিষ/ছাগল/ভেড়া/ঘোড়া/উট দুম্বা থাকলে অর্থাৎ সব পশুর ক্রয় মূল্য। * ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে চাষকৃত মাছের ক্রয় মূল্য (যদি সঞ্চিত থাকে) * প্রদানকৃত ঋণের অথবা ধার দেয়া টাকা অর্থাৎ প্রদানকৃত ঋণ বা ধার দেয়া টাকা ফেরত পাওয়া সুনিশ্চিত তার মোট পরিমাণ।

উল্লেখ্য, উপরোক্ত বর্ণনায় উল্লেখিত হয়নি এমন যাকাতযোগ্য সম্পদ যাকাতদাতার মালিকানাধীন থাকলে তাও হিসাবে আনতে হবে। যাকাত ক্যালকুলেটর, ফ্রী!!!!! বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ যাকাত না দিলে নামায কবুল হবে না। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.