আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হুমায়ুন আহমেদের মৃত্যু এবং আমার কিছু ভাবনাঃ শুধু মাত্র হুমায়ুন ভক্তদের জন্য।

আমি পোষ্টের শুরুতেই আমি আমার লেখাটি হুমায়ুন ভক্তদের জন্য নির্বাচিত পোষ্টে রাখার দাবি জানাচ্ছি। যদিও আমার পক্ষ থেকে এই দাবি করাটা ঠিক না। পাঠকেরা সাধারণত এ দাবী করেন। প্রথমে আমি হুমায়ুন ভক্তদের কাছে বলে রাখি এই লেখাটির সাথে কিছু ধর্মীয় কথা আছে, তাই আমার অনুরোধ খারাপ লাগলেও হুমায়ুন আহমেদের সম্মানার্থে কেউ খারাপ কোন মন্তব্য করবেন না। কারণ অনেকে আবার হুমায়ুন আহমেদের সাথে ধর্মীয় বিষয় নিয়ে আলাপ পচ্ছন্দ করেন না।

আমি তাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। হুমায়ুন আহমেদের মৃত্যুর পর থেকে সমাজিক যোগাযোগ সাইট ও ব্লগ সাইট গুলোতে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে আবার এক শ্রেণীর লেখকের লেখা পরে মনে হয়েছে তারা কতটাভক্ত তা প্রমাণে ব্যাস্ত। আবার কেউ কেউ শাওনে চরিত্র হননে ব্যাস্ত। যা হোক আমার লেখার উদ্দেশ্য কারো সমালোচনা নয়।

হুমায়ুন আহমেদ চলে গেছেন আমাদের ছেড়ে। হুমায়ুন আহমেদের ভক্ত যাহারা তাদের চাওয়া হচ্ছে তিনি যেন কবরে শান্তিতে থাকেন। এবার আসি ধর্মীয় বিষয়ে, আমরা যাহারা মুসলমান আমরা সবাই এটা জানি যে মৃত্যু পরবর্তি একটা জীবন আছে। বিশ্বাস না করাটা আলাদা। যা হোক আমাদের ধর্মীয় কিতাবে লেখা আছে যে, একজন মানুষের মৃত্যুর পর তার সব আমল বন্ধ হয়ে যায়, শুধু মাত্র ঈমানদার বা নেক কর্মশীল সন্তান এবং পৃথিবীতে যেসব ভাল কাজ করেছেন তার থেকে সওয়াব বা নেকী মৃত ব্যাক্তির কাছে পৌছাতে থাকে।

হুমায়ুন আহমেদের সন্তান আছে কিন্তু আমার আলোচনার বিষয় সেটা নয়। আমার আলোচনার বিষয় হল ২য় টা অর্থাৎ কাজ। হুমায়ন আহমেদের অসংখ্য লেখনীর মাধ্যমে লক্ষ কোটি ভক্ত তৈরী করে গেছেন যাহা ব্লগ, সামাজিক যোগাযোগ সাইট এবং সর্বোপরি হুমায়ন আহমেদের মরদেহে শ্রদ্ধা জানাতে মানুষের ঢল দেখে সহজেই অনুমান করা যায়। হুমায়ুন ভক্তরা চান তিনি যেন কবরে শান্তিতে থাকেন। কিন্তু সে জন্য হুমায়ুন ভক্তদের যে কাজ করতে হবে সেটা কয়জন করেছেন তা জানিনা।

আমরা জানি, আমাদের ধর্মীয় কিতাবে লেখা আছে যে, সুরা ফাতিহা ১ বার, সুরা ইখলাছ ৩ বার, এবং কয়েক বার দরুদ শরীফ পড়ে তাহা কোন মৃত ব্যাক্তির রুহের উপর বখশিষ দিয়ে দোয়া করতে হয়। তাহলে মৃত ব্যাক্তির আত্মার মাগফেরাত হয়। এখন একটা হিসেব করুন যদি দশ লক্ষ ভক্তও থাকেন তাহলে যদি এই ৪ দিনে ২বার করে হুমায়ন আহমেদের জন্য দোয়া করতাম তাহলে কত সওয়াব তার রুহে পৌছাত। সুরা ইখলাছ ৩ বার পড়লে ১বার কোরআন খতমের সওয়াব পাওয়া যায়। তাহলে ১০*৪*২=৮০,০০,০০০।

অর্থাৎ ৮০ লক্ষ বার কোরআন খতমের সওয়াব তার রুহে পৌছাত। এতবার কোরআন খতমের ক্ষমতা পৃথিবীতে কোন লোকের নেই। এছাড়া সুরা ফাতিহা ও দরুদ শরীফের সওয়াব তো আছেই। তাহলে বুঝুন আমরা তাহার জন্য সামান্য একটু করে কতটা করতে পারি। তাছাড়া এখন রমজান মাস চলতেছে, আমরা মুসলমানেরা কম বেশি সবাই নামায ধরেছি।

আমরা কি এই মহান ব্যাক্তির জন্য এইটুকু করতে পারবনা? ব্লগার ভাই-বোনেরা আমি গুছিয়ে লিখতে পারিনা। আপনাদের বুঝাতে পারলাম কি না জানিনা। আর কোথাও ভুল হয়েছে কিনা জানিনা ,আপনারা একটু কষ্ট করে জানাবেন সংশোধন করে দেব। আসুন আমরা এই মহান ব্যাক্তির জন্য এইটুকু করি, আর আল্লাহ তায়ালা করার তৌফিক দান করুন । আমিন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.