আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হুমায়ুন আহমেদ এর সকল অর্জন কী প্রশ্ন বিদ্ধ হবে পারিবারিক কলহে ?

আমি একা নই......আরও অনেকে আমার সাথে । জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক শ্রদ্ধেয় হুমায়ুন আহমেদ এর প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা প্রকাশ করেই বলছি। হুমায়ুন আহমদের এর ভক্ত ছিলাম না কোনও দিন এটা বলব না। ছোট বেলা থেকে টেলিভিশন বিনোদন বলতে বহুব্রীহি, কোথাও কেউ নেই, আয়োময় বুঝেছি। তারপর আরও বেশ কিছু জনপ্রিয় নাটক,সিনেমা হুমায়ুন আহমেদ এর হাত দিয়ে এসেছে তত দিনে আমি আর টেলিভিশন দেখি না।

বই পড়ার অভ্যাস ছিল তবে কোনও উপন্যাসের দিকে কোনও দিন নজর ছিল না। তার অন্যতম একটা কারণ ছিল, ধৈর্যের অভাববোধ। তবে উনার কালজয়ী উপন্যাস গুলোর চরিত্রের সাথে বেশ পরিচিত ছিলাম। মানুষের কাছ থেকে শুনে। যে চরিত্র গুলো মানুষ কে অন্যরকম অনুভূতি দিয়েছে, নতুন করে সপ্ন দেখার সাহস যুগিয়েছে।

তা কী খুব সহজে ভুলে যাওয়া যাবে ? ব্যাক্তি হুমায়ুন আহম্মেদ এর সাথে আমার পরিচয় ছিল না কোনও কালে, কিন্তু উনার লেখনীর দার উপলব্ধি করেছি মর্মে মর্মে চরিত্রের প্রয়োজনে যখন একজন বাকের ভাইয়ের ফাসি রোধ করার জন্য রাজপথে মিছিল বের করেছে জনতা, চরিত্রের প্রয়োজনে যখন মানুষ ধারণ করে হিমু চরিত্রের ভূমিকায়। তখন কী আর অস্বীকার করার কোনও উপায় থাকে যে হুমায়ুন আহমেদ বাংলা সাহিত্যটাকে নিজের মত করে ঘষেমেজে পরিষ্কার করে তৈরি করেছেন। শ্রদ্ধেয় এই কথা সাহিত্যিক এর প্রতি বিনম্য শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি। বলতে চাচ্ছিলাম, এই যে মহান মানুষটা জীবদ্দশায় তার মেধা দিয়ে বাংলা সাহিত্য কে সৃজনশীল করেছেন, সাংস্কৃতিক অঙ্গন কে করে দিয়েছেন প্রতিষ্ঠিত, প্রকাশনা শিল্পকে দিয়েছেন প্রাণ। তদুপরি সাহিত্যশিল্প, সাংস্কৃতিকশিল্প, চলচিত্রশিল্প ও আনুষাঙ্গিক সকল স্তরে উনার ভূমিকা ছিল নির্ভেজাল ও আন্তরিকতা পূর্ণ।

যার অভাব খুব সহজে পূর্ণ হবে বলে আমি মনে করি না। এত কিছুর পরে আজকে যদিও এই সব বিষয় বস্তু নিয়ে আলোচনা করার মানে হল নিচু মনের পরিচয় দান করা। তারপর ও না বলে পারছিনা। আমি বিশ্বাস করি প্রতিটা মানুষের ব্যাক্তিগত জীবন হয় নিজের বিকশিত চরিত্রের থেকে ভিন্য প্রকৃতির যার বাহিরে আমাদের হুমায়ুন আহমেদ ছিলেন না। উনার ও একটা ব্যক্তিগত জীবন ধারা ছিল।

যা নিয়ে আমাদের মাথা ঘামানোর মত কোনও সুযোগ নেই। যেহেতু এইগুলো ছিল উনার ব্যাক্তিগত বিষয়াদি। কিন্তু অবাক করার মত গঠনা উনার পরিবারের লোকজন আমাদের সেই সব বলে সুযোগ করে দিচ্ছে। যা নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় রয়েছি যে, জীবিত হুমায়ুন আহমেদ এর চেয়ে মৃত হুমায়ুন আহমেদ কী ক্রমেই ভয়ংকর হতে যাচ্ছে আমাদের জন্য ? নাকি উনার সৃষ্টির সকল ভূমিকা আমাদের জন্য প্রশ্নবিদ্ধ হতে চলেছে ? গত কয়েক দিন ধরে আমি খেয়াল করছি, এই দেশের মানুষ হুমায়ুন আহমেদ কে কতটুকু ভালবাসতো, ব্লগ, ফেসবুক, পত্রিকা, মিডিয়া কোথায় ছিল না। এই জননন্দিত লেখকের সৃতির প্রতি শেষশ্রদ্ধা জ্ঞাপন।

যারা যতটুকু পেরেছে, যেভাবে পেরেছে, যা খুশি পেরেছে অন্তত পক্ষে দুই লাইন হলেও উত্সর্গ করেছে এই জনপ্রিয় লেখকের প্রতি। যা দেখে কিছু একটা ধারনা করা যাবে নি:সন্দেহে হুমায়ুন আহমেদ ছিলেন এই হতভাগ্য জাতির মনের খোরাকের ভূমিকায়। প্রশ্ন করতে চাই লেখকের প্ররিবারের প্রতি আপনার কী শুরু করেছেন ? আপনারা কী উনার সকল রেখে যাওয়া সৃষ্টি গুলো কে মেরে ফেলতে চাচ্ছেন, আপনাদের লোভ লালসার প্রশ্নে ? ভাসমান সম্পত্তি বলতে সেন্টমার্টিনে সমুদ্র বিলাস, পিরোজালিতে নূহাশ পল্লী, কাকরাইলে নূহাশ টেলিফ্লিম, ধানমণ্ডি তে দখিনা হওয়া (আরও কিছু থাকতে পারে) যার মূল্য হয়তো বা কয়েক কোটি টাকা হতে পারে। যা নিয়ে ভাগ ভাটোয়ারা আপনাদের হতেই পারে পারিবারিক ক্ষমতাবলে। কিন্তু অনুরোধ করছি বাকের ভাই,হিমু,মিছির আলী, চরিত্রের মাধ্যমে একজন হুমায়ুন আহমেদ বাংলা ভাষা প্রেমী জন সাধারণের মনে যে জায়গা করে নিয়েছে, ব্যাক্তি হুমায়ুন এর চরিত্র কলঙ্কিত করে আপনাদের পরিচয়ের মাধ্যমে তা ভাগ ভাটোয়ারা করবেন না দয়া করে।

তাহলে মানুষের কাছে জীবিত হুমায়ুনের চেয়ে মৃত হুমায়ুন কলঙ্কিত হয়ে যাবে। যার দ্বায়ভার আপনাদের বহন করতে হবে। ধন্যবাদ উক্ত লেখাটি পরে যদি কেউ মন কোস্ট পেয়ে থাকেন তাহলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য অনুরোধ করছি। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.