আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হুমায়ুন আহমেদ ও তার অমীমাংসীত সমাধিস্থল

তোমাদের সময়ে মেধাবীদের অন্যতম হুমায়ুন আহমেদ, তাতে কারও দ্বিমত কিংবা তারও বেশি মত প্রকাশের অবকাশ নেই। শিক্ষকতায় যেমন তোমার সাফল্য ঠিক তেমনি ভাবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই সাফল্যের সাক্ষর তুমি রেখেছ। সদ্য জানলাম অন্যসব বিষয়ের মত চিত্রকলাতেও তোমার পদচারণা ছিল। টেলিভিশনের বদৌলতে তার কথাও সকলের জানা। তোমায় শ্রদ্ধাবনতচিত্তে স্মরণ করি, ভালবাসায় সিক্ত হও, হে মহান।

আজ তোমার সমাধিস্থল নিয়ে মানুষের অনেক আগ্রহ, কোথায় তোমায় সমাধিত করা হবে। তোমার লাখো ভক্তের হৃদয়ের অপূরণীয় ক্ষতস্থান কিছুতেই সান্তনার বাণীতে পূরণ হবেনা। আমি হলফ করে বলতে পারি এমন হাজারো মানুষ আছে যারা তোমায় তাদের নিজেদের একফালি জমিতেই সমাধিত করতে চাইবে। আবার এমন অনেক ভক্তও আছে যারা বছর ঘুরতে না ঘুরতেই প্রাকৃতিক নিয়মেই ভুলে যাবে। নুহাশপল্লী, একটা স্বপ্ন, তোমার স্মৃতির যাদুঘরে পরিণত হবে।

সেখানে তোমাকে অনেকেই সমাধিস্থ করতে চায় শুনে আমিও তোমার মত প্রশ্ন করি, স্মৃতির মিনার করে দিই চল কিন্তু গোরস্থান রুপে পরিচিত যাতে না হয় নুহাশপল্লী। আবার তেমনিভাবে ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয়ে তোমায় সমাধিস্থ করতে চাওয়ায় আমি যারপরনাই হতাশ। ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয় কি কীর্তিমান, মহীয়ানদের গোরস্থানে পরিণত হবে? তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের আর কোন পন্থা নেই। আবার আমার এই একান্ত ব্যক্তিগত মতামত তোমার লাখো ভক্তের হৃদয়ে আঘাত হানতে পারে জেনেও সাহস করে লিখছি। তুমিইতো বাঙালীকে নতুন করে বই পড়া, বই কেনার অভ্যাস গড়ে তুলতে প্রধান ভুমিকা পালন করেছিলে।

তাই সত্য কথা বলতে এতটুকু ভয় হচ্ছেনা আমার। আমি তোমার পাঁড় ভক্তদের উদ্দেশ্যে কোন প্রকার আঘাত না করে অনুরোধ করে বলছি, বাংলা সাহিত্যের পুনঃজাগরণ যদি হুমায়ুন আহমেদের হাত ধরে হয় তাহলে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে কি বলবেন? জানি অসম্ভব তুলনা হয়ে যাচ্ছে। আমি তাহলে কোন তুলনা না করেই বলি, তার সমাধি তো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই তাকে শ্রদ্ধা জানাতে লাখো-লাখো মানুষের ভীড় থাকার কথা কিন্তু তা শ’য়ের মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকে বড়জোড় তা হাজারে। আবার লালন, বঙ্গবন্ধু, জিয়া তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এতটুকু কার্পন্য না করে হাজার হাজার মানুষ প্রতি বছর যায় তাদের সমাধিতে। শ্রদ্ধার জায়গাটা মনে।

সে্টা স্থান, কালের আবর্তে বেঁধে রাখা যায়না। ইচ্ছে হলে মানুষ, মমতার প্রতি শাহজাহানের ভালবাসার নিদর্শন দেখতে ইন্ডিয়া যেতে পারে, লালনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ছেউড়িয়া যেতে পারে। তাঁকেও শ্রদ্ধা জানাতে অনেকেই টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়াতেও যাবে। তার প্রতি শ্রদ্ধায় কবিতার কয়েকটা লাইন উৎসর্গ করলাম...... “জানলা খুললেই তোমায় দেখতে পাব ফলবতী ডালিম, হাস্নাহেনা, কাঁঠগোলাপের সমাহার বৃষ্টির ছাঁট আসবে বলে জানালা খোলা হয়নাই পুরো বর্ষাকাল.................................... অথচ মনের জানালা খুলেই রেখেছি চোখের সামনে ভেসে উঠে, তোমার সন্তানেরা হিমু, মিসির আলী, বাকের” ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.