আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পার্বত্য ভূমি কমিশন চেয়ারম্যানের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আজ : নতুন নিয়োগ নিয়ে বিরোধ

আমি একজন পর্যটন কর্মী। বেড়াতে, বেড়ানোর উৎসাহ দিতে এবং বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি অনুযায়ী ভূমি সমস্যা সমাধানের জন্য গঠিত কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি খাদেমুল ইসলামের মেয়াদ পূর্ণ হচ্ছে আজ। তিনি তিন বছরের জন্য নিয়োগ পেয়েছিলেন। এখন নতুন করে বিচারপতি খাদেমুল ইসলামই চেয়ারম্যান থাকছেন নাকি নতুন কাউকে নিয়োগ দেয়া হবে এ বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্র স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেনি।

জানা গেছে, ভূমি সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিলেও পাহাড়ের আঞ্চলিক দুটো রাজনৈতিক দল জনসংহতি সমিতি ও ইউপিডিএফের বিরোধিতা এবং আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সহায়তা না পাওয়ার কারণে ভূমি সমস্যা সমাধানে আবেদন নেয়া ছাড়া কিছু করতে পারেনি কমিশন। সূত্র মতে, পার্বত্য চুক্তি অনুযায়ী ভূমি কমিশন স্বাধীন এবং এর রায়ের বিরুদ্ধে আপিল ক্ষমতা রহিত করা হলেও আঞ্চলিক পরিষদ এ কমিশনের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান অব্যাহত রাখায় সরকার বিপাকে পড়েছে। জানতে চাইলে ভূমি কমিশনের সচিব আবদুল হামিদ নয়া দিগন্তকে বলেছেন, বিচারপতি খাদেমুল ইসলামের মেয়াদ পূর্তি হলেও সরকার এখানে আগের নিয়োগ নবায়ন করেন বা অন্য যে কাউকে নিয়োগ দেন না কেন, কমিশন তার নিজস্ব গতিতে এবং আইনে কাজ করবে। একাধিক সূত্র মতে, সরকার বিচারপতি খাদেমুল ইসলামকে আবার নিয়োগ দিতে চান। তবে আঞ্চলিক পরিষদ এতে আপত্তি জানিয়ে রেখেছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির বাস্তবায়নের বিষয়টি দেখভাল করছেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা গওহর রিজভী। তার নেতৃত্বে চলতি মাসে দেশের ১৮টি মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় বিভাগ জেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তরের লিখিত চুক্তি হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এটি করা হয়েছে জানিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব নব বিক্রম ত্রিপুরা বলেছেন, পর্যায়ক্রমে সরকার চুক্তি বাস্তবায়নের অন্যসব বিষয়গুলো নিশ্চিত করবে। চলতি মাসের গোড়ার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাঙ্গামাটিতে অনুষ্ঠিত হেডম্যানদের এক কর্মশালা উদ্বোধন করতে গিয়ে বলেছেন,‘পার্বত্য এলাকার ভূমির মালিকানা আপনারা যেন পান- আমরা তা চাই। আমি চাই, ভূমির প্রকৃত মালিকেরাই মালিকানা পাবেন।

আমরা পাহাড়িদের অধিকার সংরণ করব। কমিশন সেভাবেই কাজ করবে। ’ এ জন্য কমিশনকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়ে হেডম্যানদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ধারণা করে সমস্যা সৃষ্টি না করাই ভালো। আমি যতদিন আছি- ততদিন কোনো চিন্তা নাই। ’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৯৭ সালে স্বারিত পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে আমাদের সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং আমরা তা করে যাচ্ছি।

’ তবে প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্য নিয়ে জেএসএস ও ইউপিডিএফ এখনই কোনো মন্তব্য করতে রাজি নয়। সন্তু লারমা নয়া দিগন্তকে বলেন, আমরা বিচারপতি খাদেমুল ইসলামের অপসারণ চাই। যেহেতু তার মেয়াদ শেষ, আশা করি তাকে আবার নিয়োগ দেয়া থেকে সরকার বিরত থাকবেন। ২০০১ সালে সে সময়কার আওয়ামী লীগ সরকার ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য যে আইন করেছিল, তারও বিরোধিতা করছে জনসংহতি সমিতি। তারা এটাকে চুক্তির বরখেলাপ উল্লেখ করে ১৯টি সংশোধনী ও চারটি সংযুক্তির প্রস্তাব করে।

এরপর এটি আর চূড়ান্ত হয়নি বলে জনসংহতি সমিতির তথ্য ও প্রচার সম্পাদক মঙ্গল কুমার চাকমা নয়া দিগন্তকে বলেছেন। তিনি বলেন, সরকার এখানে নানা কৌশল করে ‘আদিবাসী’দের ভূমি অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে চাইছে। এটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.