আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পার্বত্য ভূমি কমিশনের আইনের ১৩টি ধারা সংশোধন করার সরকারের সিদ্ধান্ত পার্বত্য বাঙ্গালীদের সাথে প্রতারণার সামীল

my country creat me a ginipig “প্রেস বিজ্ঞপ্তি” পার্বত্য ভূমি কমিশনের আইনের ১৩টি ধারা সংশোধন করার সরকারের সিদ্ধান্ত পার্বত্য বাঙ্গালীদের সাথে প্রতারণার সামীল। -পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র ঐক্য পরিষদ গত ১ আগস্ট ২০১২ইং বুধবার সকাল ১০.৩০ ঘটিকার সময় রাঙ্গামটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত পার্বত্য ভূমি কমিশন আইনের ১৩টি ধারা সংশোধন করার সরকারের সিদ্ধান্ত ও আদিবাসী স্বীকৃতির দাবীর প্রতিবাদে এক মানব বন্ধনে বক্তাগণ এই দাবী করেন। সংগঠনের জেলা সভাপতি উজ্জল পালের সভাপতিত্বে সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান খান উপস্থাপনায় উক্ত মানব বন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন সম-অধিকার আন্দোলনের জেলা সভাপতি মশিউল আলম হুমায়ন, ছাত্র নেতা ছগির আহামেদ, মো. নাজিম উদ্দিন, অলি আহাম্মদ, মেহেদী, মোঃ ইমরান হোসেন প্রমুখ। বক্তাগণ বলেন, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর আহবানে স্বাধীনতা লাভের আশায় লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে বাঙ্গালীর স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনলেও পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর কন্যার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯১সালে ২রা ডিসেম্বর বাংলার স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী প্রায় পঞ্চাশ হাজার নিরহ বাঙ্গালীর খুনী সন্তুু লারমার সাথে পার্বত্য বাঙ্গালী সহ ৭০% পার্বত্যবাসীর বাধা উপো করে পার্বত্য চুক্তির মাধ্যমে বাঙ্গালীদের স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিয়ে পরাধিনতার বাহনে পুণরায় বন্দি করেছেন। যা বাঙ্গালী জাতির ইতিহাসে কলঙ্কিত অধ্যায় হয়ে আছে।

৭১ এর পরবর্তীতে বাংলাদেশ সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশের জনগণ বাঙ্গালীরা সংবিধানিক অধিকার ভোগ করার কথা লেখা থাকলেও বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভিন্ন আইনে পরিচালিত হওয়া পবিত্র সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক। যা সচেতন বাঙ্গালীরা কখনো মেনে নিতে পারেনা। পার্বত্য চুক্তির সময় পার্বত্য বাসীর আন্দোলনের মুখে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার জাতিকে আশ্বস্থ করেছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রামে কোন বাঙ্গালী খুন হবেনা, অস্ত্রের ঝনঝনানি থাকবেনা, চাঁদাবাজি হবেনা। যা বর্তমানে মিথ্যাচারে পরিনত হয়েছে। এটা জাতির কাম্য নয়।

যে সন্তুু লারমা দাবীর মাধ্যমে উপজাতীয় হিসাবে স্বীকৃতি নিয়ে পার্বত্য চুক্তি করেছিল সেই সন্তুু লারমা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আদিবাসী স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য দাবীর মাধ্যমে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে। কারন আদিবাসীর স্বীকৃতি পেয়ে গেলে পার্বত্য চট্টগ্রাম আলাদা রাষ্ট্র বানাতে সম হবে। বক্তরা আরো বলেন, জেলা পরিষদ ও আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান কোন নির্বাচিত প্রতিনিধি নন, সুতরাং রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি তাদের দ্বারা পরিচালনা দেশের জন্য তিকর। যেটা পার্বত্য বাঙ্গালী কখনো হতে দেবেনা। পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতীয় সন্ত্রাসীর মাধ্যমে কার্বারী, হেডম্যান, চীফ সার্কেল আদিপত্য বিস্তার করে পার্বত্য সরকারী খাস জমি দখল করে নিচ্ছে।

উপজাতীয় গোষ্ঠিরা বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় ঘরবাড়ী তৈরী করে বসবাস করিতেছে কিšু‘ বাঙ্গালীরা পার্বত্য চট্টগ্রামে এক টুকরা জায়গা ক্রয় করে ঘর বাঁধতে চাইলে উপজাতীয় নেতাদের আপত্তি সন্দেহ জনক। তাই ভূমি কমিশনের কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্থ করে সন্তুু লারমা ভুমি কমিশন আইনের ১৩টি ধারা সংশোধন করার দাবী জানিয়ে আসছিলেন। যে ধারা সংশোধনের মাধ্যমে তাদের উপজাতীয় সন্ত্রাসী দ্বারা অর্জিত সরকারী খাস দখলীয় সম্পত্তি ও পার্বত্য বাঙ্গালীদের বসতঘর দখল পূর্বক নিজেদের নামে করতে সহজ হবে। সহজ হবে পার্বত্য অঞ্চল নিজেদের আয়ত্বে আনতে। এতে বাংলাদেশের ভূখন্ড হুমকির মুখে পড়বে।

বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বাংলাদেশে কোন আদিবাসী নেই এই ঘোষনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে উপজাতীয় নেতারা আদিবাসী স্বীকৃতির দাবী দেশদ্রোহীতার সামীল। সুতরাং দেশদ্রোহীতার অপরাধে উপজাতীয় নেতা সন্তুু লারমা, দেবাশীষ রায়, গৌতম চাকমা, প্রসিত খীসাকে গ্রেফতার করে শাস্তি দেওয়ার এবং ভূমি কমিশন আইন সংশোধনে সরকারী সিদ্ধান্ত বাতিল করার জন্য বক্তাগন সরকারের কাছে জোর দাবী জানান। অন্যথায় পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র ঐক্য পরিষদ কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচী দিতে বাধ্য হব। (মো. ইমরান হোসেন) দপ্তর সম্পাদক পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র ঐক্য পরিষদ রাঙ্গামাটি জেলা শাখা। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.