আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বরখাস্ত হলেন ম্যারাডোনা!

২০১১ সালে দুই বছর মেয়াদি চুক্তিতে আরব আমিরাতের আল-ওয়াসল ক্লাবের কোচের দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফুটবল কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনা। ১৪ মাস শেষেই সেই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো তাঁকে। আমিরাতের ঘরোয়া ফুটবলে তাঁর দল ভালো করছিল না। সম্প্রতি, ক্লাবের পরিচালনা পর্ষদেও এসেছিল বড় ধরনের পরিবর্তন। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি একেবারেই অনুকূল ছিল না আর্জেন্টিনাকে ১৯৮৬ সালে বিশ্বকাপ জেতানো এই তারকার।

গতকাল মঙ্গলবার, ক্লাবের নতুন পরিচালনা পর্ষদ বৈঠকে বসে শেষ পর্যন্ত নির্ধারণ করে ফেলে ম্যারাডোনার ভাগ্য। বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ক্লাবের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা ডিয়েগো ম্যারাডোনা ও তাঁর কোচিং স্টাফদের পারফরম্যান্স পর্যালোচনা করে ম্যারাডোনা ও বাকিদের বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। গত জুনে আল-ওয়াসলের পরিচালনা পর্ষদ প্রধান মারওয়ান বিন বায়াতের পদত্যাগ কোচ হিসেবে ম্যারাডোনার ভাগ্য অনিশ্চিত করে তোলে। কারণ, ক্লাবের বাজে ফলাফলের পরও ম্যারাডোনা মারওয়ানের অকুণ্ঠ সমর্থন পেয়ে আসছিলেন। আল-ওয়াসলের নতুন পরিচালনা পর্ষদের প্রধান আহমেদ বিন ফাহাদ অবশ্য দায়িত্ব নিয়ে ম্যারাডোনা সম্পর্কে ইতিবাচকই ছিলেন।

তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, ম্যারাডোনার অধীনেই পরবর্তী মৌসুমে মাঠে নামবে আল-ওয়াসল। ১২ ক্লাবের আমিরাত প্রো-লিগে এই মুহূর্তে আল-ওয়াসলের অবস্থান অষ্টম। সম্প্রতি আল-ওয়াসল গালফ চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে বাহরাইনের মুহাররাকের কাছে হেরেছে। আরও একটি ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় ক্লাবটি সেমিফাইনাল থেকেই বিদায় নিয়েছে। মোটকথা, অনেক বড় নাম হলেও কোচ হিসেবে আমিরাতে ম্যারাডোনা ব্যর্থই ছিলেন।

বরখাস্ত হওয়ার পর অবশ্য ম্যারাডোনার কোনো মন্তব্য পায়নি বার্তা সংস্থাগুলো। আল-ওয়াসল ক্লাবের একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, এই মুহূর্তে ম্যারাডোনা কোথায় আছেন, সে সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।