আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গ্রামীণ ফোন কর্মকর্তারা অফিসে যেতে পারছে না, কোন টিভি চ্যানেল এই নিউজ দেখাচ্ছে না। ক্যামেরা সব অফ, চার্জ নাই মনে হয়

গ্রামীণ ফোন কর্মকর্তারা অফিসে যেতে পারছে না, কোন টিভি চ্যানেল এই নিউজ দেখাচ্ছে না। ক্যামেরা সব অফ, চার্জ নাই মনে হয়। তবে এটা যদি কোন রাজনৈতিক নেতার অফিষ হতো তবে বলার আগেই তারা চলো যেতো। আমাদের ইলেকট্রনিক মিডিয়া এমনই বিবেকবান সৎ আর দেশপ্রেমিক। নিরীহ জিপির কর্মকর্তা কর্মচারীরা চাকুরী গেলে কি করে চলবে।

আর এখন মিডিয়া সব টাকার জন্য চুপ। শুধু চ্যানেল ২৪ দেখালো। মিডিয়া লোকের এতো নীতি কথা তাই মানায় না। ............................................................................................................. কর্মীদের আন্দোলনের জেরে দেশের প্রধান মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন রোববার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা কাজী মনিরুল কবির বাংলানিউজকে বলেছেন, পরিস্থিতি সামাল দিতে কর্মীদের কার্যালয়ে নয়, যার যার বাড়িতে থেকে অফিস করতে বল‍া হয়েছে।

এর আগে একটি সূত্র জানায়, প্রতিষ্ঠানটি চিফ ফাইন্যান্স অফিসার ফ্রিটজফ রাফটেন ই-মেইল অ্যাড্রেস থেকে সকল কর্মীর কাছে পাঠানো একটি মেইলের মাধ্যমে কার্যালয় বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে প্রথমে এ কথা অস্বীকার করেছিলেন প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা কাজী মনিরুল কবির। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, কেবল আন্দোলনকারীদের অফিস করতে না করা হয়েছে। গ্রামীণ ফোন কার্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়নি। পরে অবশ্য তিনি কার্যালয় বন্ধ রাখার খবর নিশ্চিত করেন এবং বলেন, গ্রামীণের প্রায় সকল কর্মীর কাছেই ল্যাপটপ রয়েছে।

তারা বাসা থেকে কাজ করতে পারবেন বলেই তাদের বাসায় গিয়ে কাজ করতে বলা হয়েছে। তবে অপর একটি সূত্র জানায়, সকাল থেকেই গ্রামীণ ফোনের অপারেশন হেড সোহেল আহমেদ কর্মীদের ডেকে ডেকে বলে দিচ্ছিলেন, রোববার অফিস ছুটি রাখার কথা। আন্দোলন যাতে দানা বাঁধতে না পারে সে জন্যই এ উদ্যোগ বলে জানান আন্দোলনকারী কর্মীরা। উল্লেখ্য, গ্রামীণ ফোনের কর্মী ছাঁটাইয়ের খবরটি ধারাবাহিকভাবে বাংলানিউজে তুলে ধরা হচ্ছিলো। ক্রমেই ছাঁটাইয়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন দানা বেধে উঠতে থাকে।

যার জের ধরেই রোববার সকালে আন্দোলনকারীদের কার্যালয়ে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়। এতে শুরু হয় বিক্ষোভ। যার জের ধরে রোববারের জন্য বন্ধ করা হয় ৪ হাজার ৮০০ কর্মীর প্রতিষ্ঠানটি। দেশের বৃহৎ মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনে চলমান কর্মী ছাঁটাইয়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া কর্মীদের অফিসে প্রবেশ করতে না দেওয়ায় বাইরে বিক্ষোভ করছেন তারা। রোববার সকালে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ের সামনে তারা বিক্ষোভ শুরু করেন।

সকাল পৌনে ১০টায় এ রিপোর্ট লেখার সময় তা চলছিল। বিক্ষোভরত একাধিক গ্রামীণ ফোন কর্মী বাংলানিউজকে বলেন, তাদের পরিচয়পত্রের বারকোড নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যাতে তারা অফিসে ঢুকতে না পারেন। এসব কর্মীদের ছাঁটাই করে দেওয়া হবে বলেও এরই মধ্যে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কর্মী জানান, এরই মধ্যে তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত যারা তাদের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে এবং ছাঁটাই করা হবে। আদিবা জেরিন, ম্যানেজার পিএন্ডও, গ্রামীণ ফোন, বাংলানিউজকে জানান, তাদের ৪৮ জনের মেইল আইডি ও বারকোড বন্ধ করা হয়েছে।

গত ৪ জুলাই সন্ধ্যায় রাজধানীর বারিধারাস্থ গ্রামীণ ফোন প্রধান কার্যালয়েই সভার মধ্য দিয়ে গ্রামীণফোন কর্মীদের ছাটাইয়ের বিরুদ্ধে আন্দোলনের জন্য একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটে। আর এ সংগঠনের নাম থাকা শতাধিক কর্মী রোববার কর্মস্থলে আসেন। কিন্তু তাদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এমনকি অফিস করতে না পেরে তারা বাইরে এসে বিক্ষোভ শুরু করেন। দেশের বৃহৎ মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনে চলমান কর্মী ছাঁটাইয়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেছেন প্রতিষ্ঠানের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী।

এই প্রতিবাদের অংশ হিসেবে গঠন করা হয়েছে কর্মীদের বিশেষ সংগঠন। তাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন ছাঁটাই হওয়া কর্মীরাও। প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা চলমান ছাঁটাইকে অনৈতিক আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে তা বন্ধ করাসহ ৫ দফা দাবি আদায়ে একটি লিফলেটও প্রকাশ করেছে। শুধু তাই নয়, কর্মী ছাঁটাই প্রক্রিয়ার মতো বেআইনি কার্যক্রমের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন তারা। Click This Link Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.