আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আসছে পবিত্র শবেবরাত। শবেবরাতের রাতে ঘরে ঘরে তৈরি হবে রকমারি হালুয়া-রুটি।আজকে আপনাদের জন্য থাকছে শবেবরাতের স্পেশাল রেসিপি...

আমি উচ্চারিত সত্যের মতো স্বপ্নের কথা বলতে চাই আসছে পবিত্র শবেবরাত। শবেবরাতের রাতে ঘরে ঘরে তৈরি হবে রকমারি হালুয়া-রুটি। আজকে আপনাদের জন্য থাকছে শবেবরাতের স্পেশাল রেসিপি... আপনাদের জন্যই সাজিয়েছি ছবি ব্লগটি বুটের ডালের হালুয়া যা লাগবে : বুটের ডাল ১ কেজি, দুধ দেড় লিটার, চিনি দেড় কেজি, কনডেন্স মিল্ক ১ কৌটা। নারিকেল ১ বাটি, কাঠবাদাম ১ টেবিল চামচ, চেরি ২ টেবিল চামচ, এলাচি-২টা, দারুচিনি ৩ টুকরা, ঘি ১৫০ গ্রাম। যেভাবে করবেন : বুটের ডাল ধুয়ে দুধ দিয়ে সিদ্ধ করে নিন।

ডাল সিদ্ধ হলে বেটে রাখুন। এখন কড়াইতে ঘি ঢেলে তাতে এলাচ, দারুচিনি ফোঁড়ন দিয়ে একে একে ডাল বাটা, নারিকেল, চিনি দিয়ে অনবরত নাড়-ন। ৬-৭ ঘণ্টা নাড়ার পর হালুয়া শক্ত হয়ে এলে তাতে কন্ডেন্স মিল্ক সবটুকু ঢেলে দিন এবং নাড়-ন। নাড়তে নাড়তে তেল ভেসে উঠলে। ট্রেতে ঘি মেখে হালুয়া ঢেলে কাঠবাদাম ও চেরি দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করতে পারেন।

পাকা আমের বরফি যা লাগবে : পাকা আমের রস ১ বাটি, ডিম ৬-৭টা, চিনি ১৫০ গ্রাম, ঘন দুধ ১ বাটি, এলাচ ও দারুচিনি ২টা করে। যেভাবে করবেন : আমের রস ও ঘন দুধ একসঙ্গে করে জ্বাল দিন সঙ্গে এলাচ, দারুচিনি ও চিনি দিন। মিশ্রণটি ঘন হয়ে এলে তা ঠাণ্ডা করুন। ঠাণ্ডা মিশ্রণটিতে ডিম ফেটে মিশিয়ে রাখুন। এখন একটি অ্যালুমিনিয়ামের বাটিতে ক্যারামেল করে মিশ্রণটি ঢেলে প্রেসার কুকারে ১০ মিনিট চুলায় রেখে নামিয়ে ঠাণ্ডা করে একটি বাটিতে ঢেলে ফ্রিজে দুই ঘণ্টা রেখে বরফি আকারে কেটে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

কাঁঠাল বিচির হালুয়া যা লাগবে : কাঁঠালের বিচি সিদ্ধ বাটা ২ বাটি, নারকেল ১ বাটি, চিনি ৫০০ গ্রাম, গুঁড়া দুধ ১ কাপ, কনডেন্স মিল্ক ১ কাপ, ঘি আধাকাপ, এলাচ ৩-৪টা, দারুচিনি ৫ টুকরা, চেরিফল ৮-১০টি, বাদাম কুচি ১ টেবিল চামচ, কিশমিশ ১ টেবিল চামচ। যেভাবে করবেন : কাঁঠালের বিচি সিদ্ধ করার আগে এর খোসাই ফেলে সিদ্ধ করে বেটে নিন। এখন কড়াইতে ঘি ও এলাচ-দারুচিনি দিয়ে ফোড়ন দিন। ঘিয়ে একে একে কাঁঠালের বিচি বাটা, নারকেল, চিনি, এলাচ, দারুচিনি দিয়ে নাড়তে থাকুন। নাড়তে নাড়তে হালুয়া শক্ত হয়ে এলে চ্যাপ্টা প্লেটে ঢেলে সাজিয়ে পরিবেশন করতে পারেন।

অথবা বরফিও বানাতে পারেন। কাঁচা কলার হালুয়া যা লাগবে : কাঁচা কলা ২ বাটি, চিনি ৫০০ গ্রাম, গুঁড়া দুধ ১ কাপ, কনডেন্স মিল্ক ১ কাপ, নারকেল কোরানো ১ বাটি, এলাচ ২-৩টি, দারুচিনি ৩ টুকরা, ঘি আধাকাপ, সাজানোর উপকরণ। যেভাবে করবেন : কাঁচা কলার খোসা ফেলে সিদ্ধ করে বেটে নিন। এখন কড়াইতে ঘি ও এলাচ, দারুচিনি তাতিয়ে তাতে কাঁচা কলা বাটা, চিনি, নারকেল দিয়ে অনবরত নাড়তে থাকুন। মিশ্রণটি শক্ত ও ঘন হয়ে এলে তাতে গুঁড়া দুধ দিয়ে আবার নাড়তে থাকুন।

নাড়তে নাড়তে হালুয়া হয়ে এলে তাতে কনডেন্স মিল্ক ঢেলে নেড়েচেড়ে নামিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন। নারকেলের লাড্ডু যা লাগবে : নারকেল ২ বাটি, চিনি ১ বাটি, ঘি আধাকাপ, এলাচ গুঁড়া সামান্য, কনডেন্স মিল্ক ২ কাপ, সুজি ভাজা ২ কাপ, চেরি কুচি, বাদাম কুচি, দুধের সর এক কাপ। যেভাবে করবেন : কড়াইতে চিনি ও নারকেল ভাজতে থাকুন। মিশ্রণটি আঠালো হয়ে এলে তাতে সুজি ও দুধের সর ঢেলে দিন ও নাড়-ন। তারপর কনডেন্স মিল্ক দিয়ে নাড়তে থাকুন।

এলাচ গুঁড়াও ছিটিয়ে দিন। এক সময় মিশ্রণটি আঠালো হয়ে এলে তা নামিয়ে গোল গোল লাড্ডু তৈরি করে সাজিয়ে পরিবেশন করতে পারেন। গাজরের বরফি যা লাগবে : গাজর সিদ্ধ বাটা ২ বাটি, চিনি ২ বাটি, গুঁড়া দুধ ২ বাটি, এলাচ ২-৩টা, দারুচিনি- ২-৩ টুকরা, ঘি আধাকাপ, সাজানোর জন্য বাদাম ও চেরি কুচি। যেভাবে করবেন : কড়াইতে ঘি ঢেলে তাতে এলাচ, দারুচিনি, গাজর বাটা, চিনি, ও দুধ দিয়ে অনবরত ভাজতে থাকুন। ভাজতে ভাজতে মিশ্রণটি আঠালো ও শক্ত হয়ে এলে তা যে কোন সাইজের বরফি তৈরি করে সাজিয়ে পরিবেশন করতে পারেন।

চালকুমড়ার হালুয়া যা লাগবে : চালকুমড়া সিদ্ধ বাটা ২ বাটি, চিনি ৪০০ গ্রাম, নারকেল ১ বাটি, ঘি আধাকাপ, এলাচ ৩-৪টা, দারুচিনি ৩-৪টা, কাঠবাদাম কুচি ১ টেবিল চামচ, চেরি কুচি যতটুকু লাগবে, বাদাম কুচি। যেভাবে করবেন : কড়াইতে ঘি ঢেলে তাতে এলাচ ও দারুচিনি ফোড়ন দিয়ে একে একে চালকুমড়া সিদ্ধ বাটা, চিনি, নারকেল দিয়ে অনবরত নাড়তে থাকুন। এভাবে নাড়তে নাড়তে হালুয়ার পানি শুকিয়ে এলে একটু ঘন অথবা শক্ত হয়ে এলে যে কোন চ্যাপ্টা ট্রেতে বা প্লেটে ঢেলে সাজিয়ে পরিবেশন করুন। রুমালি রুটি যা লাগবে : ময়দা ৩ কাপ, খাবার সোডা আধা চা চামচ, লবণ পৌনে এক চা চামচ, তরল দুধ ১ কাপ বা পরিমাণমতো। যেভাবে করবেন : ময়দা, খাওয়ার সোডা ও লবণ একসঙ্গে মেখে নিন।

পরিমাণমতো দুধ দিয়ে ময়দা মেখে মসৃণ খামির তৈরি করুন। ভেজা সুতি কাপড় দিয়ে খামির ঢেকে রাখুন ২-৩ ঘণ্টা। এবার খামির ভালো করে ময়ান করে নিন। খামির ১০-১২ ভাগ করে বড় পাতলা রুটি তৈরি করুন। চুলায় বড় কড়াই উল্টো করে বসিয়ে গরম করে রুটি ছেঁকে নিন।

রুটি ছেঁকা হলে সুতি কাপড়ে রুটি পেঁচিয়ে রাখুন। পরিবেশন করুন সালাদ, ভাজি বা ভুনা মাংসের সঙ্গে। নানরুটি যা লাগবে : ময়দা ৪ কাপ, গুঁড়া দুধ ২ টেবিল চামচ, মাঝারি সাইজের কলা ২টি, ইস্ট দেড় টেবিল চামচ, চিনি ১ চা চামচ, ঘি বা তেল ২ টেবিল চামচ, লেবুর রস ১ চা চামচ, লবণ দেড় চা চামচ, কুসুম গরম পানি পরিমাণ মতো। যেভাবে করবেন : কলা ভালো করে ব্লেন্ড করে রাখুন। এবার কুসুম গরম পানি দিয়ে ঘি বা তেল ব্যতীত সব উপকরণ কলাসহ ভালো করে ময়ান করুন।

এবার ঘি দিয়ে আবার ময়ান করুন। মসৃণ ডো হবে। এক-দেড় ঘণ্টা গরম জায়গায় ঢেকে রেখে দিন। ডো ফুলে উঠলে ১২-১৩ ভাগ করে হাফ সে.মি. পুরু করে রুটি বেলুন। একটি পাত্রে হাফ কাপ পানি, ১ চা চামচ লবণ দিয়ে গুলে নিন।

ওভেনের ট্রেতে তেল মাখিয়ে ১৬০ ডিগ্রি তাপে ৬-১০ মিনিট রেখে ফুলে উঠলে ওপরে লবণ-পানি ছিটা দিয়ে উল্টিয়ে আবার ২-৩ মিনিট রেখে নামিয়ে শুকনা কাপড় পেঁচিয়ে ঢেকে রাখুন গরম এবং নরম থাকবে। ফ্রাইপ্যান গরম হলে রুটির ওপর লবণ-পানি ছিটিয়ে পানি দিয়ে ফ্রাইপ্যানে দিয়ে ঢেকে দিন। ২ মিনিট পর ঢাকনা খুলে ফ্রাইপ্যান চুলার আগুনে উল্টে ধরুন। সামান্য বাদামি হলে নামিয়ে নিন। আলু পরাটা যা লাগবে : সিদ্ধ আলু ম্যাশ করা ১ কাপ, ময়দা ১ কাপ, পেঁয়াজ মিহি কুচি কোয়াটার কাপ, কাঁচামরিচ মিহি কুচি ১ চা চামচ, জিরা ভাজা ও গুঁড়া আধা চা চামচ, ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, তেল ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, তেল ভাজার জন্য।

যেভাবে করবেন : ভাজার তেল ব্যতীত সব উপকরণ একসঙ্গে মেখে নিন। মাখানোটা নরম হয়ে গেলে আরও একটু ময়দা দিন। এবার গোলাকার বা চৌকা শেপের পরাটা বানিয়ে তেলে ভেজে নিন। পরিবেশন করুন সস বা চাটনির সঙ্গে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.