আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বার্মার রোহিঙ্গার পর এবার কাচিন উদ্বাস্তুঃ পুশব্যাক করছে চীন

সাম্প্রতিককালের বাংলাদেশ সীমান্তে বার্মার রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট নিয়ে উত্তাপ এখন আর নেই। পরিস্থিতি এখন অনেক শান্ত ও স্থিতিশীল। আর বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের দৃঢ় কূটনৈতিক অবস্থান এবং এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আগামী মাসের মাঝামাঝিতে বার্মার প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন। বার্মার পশ্চিমাঞ্চলে সীমান্তবর্তী আরাকান প্রদেশে রাষ্ট্রীয় সহিংসতার পর এখন দেশটির পূর্বাঞ্চলের খ্রিস্টান ধর্মালম্বী জাতিগত কাচিন শরণার্থীদের সহিংসতা আক্রান্ত এলাকায় ঠেলে দেবার (পুশব্যাক) অভিযোগ উঠেছে বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে। অঞ্চলটিতে ১৭ বছর ধরে চালু যুদ্ধবিরতি গত বছর শেষ হবার পরে চলতি জুন মাসের শুরুতে বার্মিজ বাহিনী ও কাচিন স্বাধীনতা সেনা’র (কেআইএ) মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি চরমে পৌঁছেছে।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থার হিসাবে ষাট হাজারের বেশি লোক উদ্বাস্তু হয়েছে। বৌদ্ধ ধর্মপ্রধান দেশটিতে কাচিনরা প্রধানত ব্যাপ্টিস্ট ও ক্যাথলিক খ্রিস্টান এবং সরকারি হিসাবে মোট জনসংখ্যার শতকরা সাত ভাগ। প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কোনো আদমশুমারি বিগত চার দশকে বার্মায় হয়নি। এদিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, যুদ্ধ এড়াতে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে আশ্রয়প্রার্থী এই কাচিন উদ্বাস্তুদের ফিরিয়ে দিচ্ছে চীনা কর্তৃপক্ষ। প্রবল বর্ষা মৌসুমে জীবনধারনের ন্যূনতম উপকরণ ছাড়া অমানবিক জীবন যাপনে বাধ্য হচ্ছে শরণার্থীরা।

উদ্বাস্তুদের মধ্যে প্রায় দশহাজার লোক চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় আশ্রয়লাভের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হচ্ছে। সংস্থাটি বলছে, এই উদ্বাস্তুদের পানি, পয়নিষ্কাশন, আশ্রয় বা স্বাস্থ্যসেবার কোনো সুযোগ নেই। আশ্রয়লাভের চেষ্টা করায় এদের অনেককেই গ্রেফতার করেছে চীনা কর্তৃপক্ষ এবং বার্মার যুদ্ধ আক্রান্ত এলাকায় ঠেলে দিয়েছে। এদিকে চীনের ইউনান প্রদেশের একজন সামরিক কর্মকর্তা বলেছেন, উদ্বাস্তুদের মানবিক সাহায্য দিয়ে এবং কাচিন বিদ্রোহী ও বার্মিজ সরকারের মধ্যে মধ্যস্থতার চেষ্টা চালিয়ে চীন ভূমিকা রাখছে। বার্মা সরকার কর্তৃক ওই অঞ্চলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রবেশাধিকার কার্যত নিষিদ্ধ হলেও গত ১৫ জুন আল-জাজিরা’র সংবাদকর্মীরা কাচিন অঞ্চলের দুর্ভোগের ভিডিও দৃশ্য ধারণে সক্ষম হন।

টিভি নেটওয়ার্কটির প্রচারিত ভিডিও সংবাদে দেখা যায়, সরকারি বার্মিজ বাহিনীর আক্রমণের মুখে কাচিন স্বাধীনতা সেনা’রা নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে প্রাণান্তকর যুদ্ধে লিপ্ত। সূত্রঃ এপি নিউজ , ট্রাষ্ট নিউজ ,কাচিন নিউজ  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১২ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.