আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বার্মার মানুষের মুক্তি এবং কানাডা

যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি

নোবেল বিজয়ী, আং সাং সুকী ১৯৯০ সালের নির্বাচনে ৮২% ভোট পেলেও তাকে ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি - বরঞ্চ তাকে অন্তরীন করে রেখেছে। ১৯৮৮ সালের গনতন্ত্রের জন্যে আন্দোলনের সময় সামরিক সরকারের দমননীতিরে প্রেক্ষিত একটা নির্বাচনে সামরিক জান্তাকে রাজী করাতে কানাডাসহ জি৮ দেশগুলো একটা চাপ সৃস্টি করেছিলো। পরবর্তীতে সেই চাপ একটা সুস্পস্ঠ নীতিমালার আওতায় না আসায় বিষয়টা পুরোপুরি শাপে বর হয় সামরিক জান্তার। সীমিত এই অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞার সুযোগে কানাডিয়ান কর্পোরেশনগুলো সামরিক জান্তার সাথে বিভিন্ন বানিজ্যে জড়িয়ে পড়ে। এক নজরে দেখা যাক কানাডিয়ান সরকারের গৃহিত পদক্ষেপ সমূহ: ১) ১৯৮৮ সালের পর থেকে সরকারী দ্বিপাক্ষিক চুক্তিবন্ধ ২) বহুজাতিক সংস্থার মাধ্যমে কোন সহায়তা নয় ৩) কোন বানিজ্য নয় ৪) জান্তার কোন কর্তার জন্যে কানাডিয়ান ভিসা নিষিদ্ধ ৫) রেঙ্গুনে কুটনৈতিক মিশন বাতিল ৬) বানিজ্য উন্নয়নমূলক যে কোন কর্মকান্ড নিষিদ্ধ ৭) যে কোন সামরিক বানিজ্য নিষিদ্ধ এই নিষেধাজ্ঞা আসে ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৭ সময়কালের মধ্যে।

আসলে কি এই নিষেধাজ্ঞা কোন কাজ করেছে? লন্ডন থেকে প্রকাশিত সানডে টাইম থেকে জানা যায় - ১৯৯৯ সালে সময়কালে বার্মায় বৈদেশিক বিনিয়োগ কমে ৭৭৭ মিলিয়ন ইউএস ডলার থেকে কমে ৪২৯.৫ মিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলো - এই ৪২৯.৫ মিলিয়নের মধ্যে একটা বড় অংশই বিনিয়োগ হয়েছে কানাডিয়ান কোম্পানীগুলো থেকে। লক্ষ্যনীয় যে, সরকারের অস্পষ্ট আর দূর্বল নীতিমালার পুরোপুরি সুযোগ নিয়েছে কতিপয় কর্পোরেশন। নিষেধাজ্ঞার সময়কালে কানাডায় বার্মা থেকে আমদানী বেড়ে তিনগুন হয়ে দাড়িয়েছে ৬০ মিলিয়ন ডলারে। আর কানাডার জায়েন্ট কর্পোরেশনগুলো সামরিক সরকারের সাথে ৫০% শেয়ারে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে।

১) নরটেল নেটওয়ার্ক - টেলরাড নামক বার্মিজ কোম্পানীর মাধ্যমে সেলফোন টেকনোলজি বিক্রি করেছে। কিন্তু বার্মায় একই সময় ফ্যাক্স মেশিন আমদানী নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ২) ট্রান্স কানাডা পাইপলাইন - বিতর্কিত গ্যাস পাইপলাইন নির্মান করেছে - যেখানে গ্রামের পর গ্রামের মানুষকে বাড়ীঘর ত্যাগ করতে বাধ্য করা সহ জোর করে শ্রম দিতে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৩) আইভাহো মাইনস ( যার সিইও আমেরিকায় একজন ওয়ান্টেড পার্সন)- বার্মার মাইনিং শিল্পে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে। এই কর্পোরেশনের মুলধনের একটা বড় অংশের যোগানদার হলো সরকারের পেনশন ফান্ড - যার লভ্যাংশ কানাডার সকল অবসরভোগীরা পেয়ে থাকে।

কানাডার মতো জি৮ এর প্রভাবশালী দেশের অবস্থান যদি এমন হয় - তবে বাদবাকীদের অবস্থা সহজেই অনুমেয়। তবে আশার কথা হলো - কানাডা জনমত সংগঠিত হচ্ছে। একটা প্রাক্তন সৈনিকদের দল এগিয়ে এসেছে। এরা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বার্মায় জাপানী সৈন্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে বার্মাকে স্বাধীন করেছে। এরা প্রধান মন্ত্রীর কাছে দাবী করেছে যেন দ্রুত সংসদে এই বিষয়ে আলোচনা হয় এবং বার্মার সরকারের উপর একটা কার্যকর চাপ সৃস্টি করা হয়।

অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে দুই একদিনে মধ্যে কানাডার প্রধানমন্ত্রী বিষয়টা সংসদে তুলবেন। আশা করি কানাডা বিশ্বজনতম গঠনে একটা ভুমিকার রাখবে। যা হয়তো বার্মার জনগনের মুক্তিতে সামান্য হলেও ভুমিকা রাখবে।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৪ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.