আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লাইলাতুল বরাত বিশ্ব মুসলিমের জন্য ভাগ্য রজনী , আল্লাহ আমাদের সহায়

শবেই বরাত মুসলমানদের জন্য ভাগ্যরজনী ************** দয়াল নবীজী মসজিদে নববিতে বেশ কয়েকজন সাহাবা কে লয়ে , গুরুত্ব পূর্ণ বিষয়ে নূরানি মোবারক দিক নির্দেশ দিচ্ছিলেন । উল্লেখ্য এমন সময় এক সাহাবা নবীজীকে প্রশ্ন রাখলেন , ইয়া রাছুলুল্লাহ সা আমরা কম আয়াত নিয়ে পৃথিবীতে আসিয়াছি । অন্যান্য যুগের নবীগনের উম্মতেরা বেশি দিন বাঁচত এবং তারা বেশিদিন এবাদত করার সুযোগ পাইত । আল্লাহপাক কি আমাদের কে কম সময়ে তাদের এবাদত এর সমান ছওয়াব দিবেন । সাথে সাথে জিব্রাইল আ নবীজীর নিকট হাজির ।

নবীজী বর্ণনা করেন হে আমার প্রিয় সাহাবাগন শুনে রাখ ইশা আ কুষ্ঠ রোগীকে হাত বুলিয়ে দিত রোগ ভাল হয়ে যেত , এবং মৃত কে জীবিত করে ভাল মন্দের খুজ লইত । এহেন ঘটনা অবলোকন করে তখনকার সময়ের মানুষ জন ঈশা আ কে খুব সমিহ করত এবং তার উচ্ছ প্রশংসা করত । এতে ইশা আ নিজেকে যামানার সবচাইতে বড় বুজুর্গ ভাবত । একদিন আল্লাহ বলেন হে ইশা নিজেকে এত বড় বুজুর্গ ভাবিওনা । মুহূর্তে সাগরের কিনারায় যাও এবং হাতের লাটি সাগরে নিক্ষেপ কর ।

ইশা আ সাগর তীরে গেলেন এবং সাগরে তার লাটি নিক্ষেপ করলেন তাৎক্ষনিক একটা সুড়ঙ্গ দেখতে পাইলেন । আল্লাহ পাক বলেন গভিরে যাও , তিনি তথায় গমন করলে একটি বৃহৎ পাথর খণ্ড দেখতে পাইলেন । আল্লাহ পাক বলেন পাথরে আঘাত কর , তিনি তাই করলেন এবং দেখতে পাইলেন পাথরের ভিতরে এক জইফ বৃদ্ধ লোক আল্লাহর জিকিরে মশগুল । ইশা আ অবাক হয়ে বললেন হে তাপস আপনি কে ,আর কত দিন যাবত এই সাগরের সুরঙ্গে পাথরের মধ্য আল্লাহর ধ্যানে মগ্ন । লকটি ছালামের উত্তর দিয়ে বলল হে ইশা নবী আমি ঠিক জানিনা কতদিন যাবত এই খানে তবে ইলিয়াস আ কে আমি দেখেছি ।

ইশা আ হিসাব করে দেখেন প্রায় সাড়ে ৬ হাজার বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেছেন । ইশা আ আবার সুধালেন হে তাপস নিশ্চই আমি ইশা আ এর চাইতে আপনার বুজুর্গি বেশি । বৃদ্ধ লোকটি সাথে সাথে তকবির দিয়ে বললেন হে ইশা আ যা ভাবছ তা সঠিক নয় বরং আখেরি যামানায় যে নবী পাক সা জগতে আসবেন তার উম্মতেরা এত ভাগ্যবান যে সে সময়ে ঐ নবী পাক সা এর উম্মতের একটা রাতের মর্যাদা আমার তামাম এবাদতের সমান হবেনা । ইশা আ প্রশ্ন করলেন কে সেই আখিরি নবী লোকটি বললেন আল্লাহর পেয়ারা হাবিব সমস্ত উম্মতের কাণ্ডার সমস্ত নবীদের সর্দার হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হেওয়াছাল্লাম । ইশা আ আল্লাহর খুত্রতি পায়ে লুটাইলেন হে আমার মাবুদ আমাকে যদি নবী না বানিয়ে ঐ যামানার দয়াল নবীজীর উম্মত হিসাবে কবুল কর তাইলে খুশি হব ।

আর মহান ভাগ্যবান সারা জাহানের রহমত সেই নবীজীর উম্মত হয়ে আমরা চলি বিপথে আল্লাহ ইশা আ এর দোয়া কবুল করেছিল এবং তাকে জিন্দা আকাশে উটায়ে নিয়েছিল আবার শেষ যামানায় আমাদের দয়াল নবীজীর উম্মত হিসাবে আসবেন । হে মুমিন গন ভেবে দেখা প্রয়োজন । নবীজী বলেন এই সমস্ত পবিত্র রাতে সয়ং আল্লাহ পাক নিকট তম আসমানে চলে আসেন এবং মুমিন বান্দাদের দোয়া কবুল করে থাকেন । ফেরেস্তাদের ছুটি দেন এবং আল্লাহ পাক বলেন হে ফেরেস্তারা সাক্ষি থাক যারা এই রহমতের রাত্রিতে ঘুম হারাম করে এবাদতে মশগুল থাকবে আমি নিজে আল্লাহ তাদের মুক্তির সাফায়াত হয়ে যাব । নবীজী বলেন এই সমস্ত এবাদতের রাত্রি মুমিনদের জন্য হাজার মাস এর চাইতেও উত্তম ।

আল্লাহ আমাদের হেদায়েত দিন রাছুল সাল্লালাহু আলাহেয়াচ্ছাল্লামের প্রতি যেন আমাদের দরুদ ও ছালাম হয় রহমত ও মুক্তির পাথেয় । আমিন । ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।