আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নচিকেতার চোর এবং একটি ছবি ও কিছু কথা

মনের আনন্দে অথবা মনন যন্ত্রনায় মনন কথা লিখি নিশিদিন.......... চোর -নচিকেতা ভিড় করে ইমারত, আকাশটা ঢেকে দিয়ে, চুরি করে নিয়ে যায় বিকেলের সোনা রোদ। ছোটো ছোটো শিশুদের শৈশব চুরি ক’রে, গ্রন্থ-কীটের দল বানায় নির্বোধ। এরপর চুরি গেলে বাবুদের ব্রীফ-কেস অথবা গৃহিণীদের সোনার নেকলেস, সকলে সমস্বরে, একরাশ ঘৃণা ভরে চিত্কার করে বলে — চোর, চোর, চোর, চোর, চোর। প্রতিদিন চুরি যায় মূল্যবোধের সোনা, আমাদের স্বপ্ন, আমাদের চেতনা। কিছুটা মূল্য পেয়ে ভাবি বুঝি শোধ-বোধ, ন্যায় নীতি ত্যাগ করে, মানুষ আপোস ক’রে, চুরি গেছে আমাদের সব প্রতিরোধ।

এর পর কোনো রাতে, চাকরটা অজ্ঞাতে, সামান্য টাকা নিয়ে ধরা প’ড়ে হাতে নাতে। সকলে সমস্বরে, একরাশ ঘৃণা ভরে চিত্কার করে বলে — চোর, চোর, চোর, চোর, চোর। প্রতিদিন চুরি যায় দিন বদলের আশা, প্রতিদিন চুরি যায় আমাদের ভালবাসা। জীবনী শক্তি চুরি গিয়ে আসে নিরাশা, সংঘাত্ প্রতিঘাত্ দেয়ালে দেয়ালে আঁকা, তবু চুরি যায় প্রতিবাদের ভাষা। কখনো বাজারে গেলে, দোকানী কিশোর ছেলে, কাঁপা কাঁপা হাত নিয়ে, ওজনেতে কম দিলে, সকলে সমস্বরে, একরাশ ঘৃণা ভরে চিত্কার করে বলে — চোর, চোর, চোর, চোর, চোর।

পথে ঘাটে চলতে ফিরতে আমরা প্রায়ই এই ধরনের চিত্র দেখে দেখে অভ্যস্ত। আম জনতা পেলেই হল শুরু করে দেয় ধুন্ধুমার পিঠের উপর। অথচ যারা দেশটাকে চুরি-ডাকাতি করে নিলামে তুলছে সে খবর তাদের নেই। এরা জাতীয় চিহ্নিত চোর-ডাকাত হয়েও এদেরকে ফুলের টোকাও দেওয়ার সাহস পায় না কেউ, আরও উল্টো পারলে ফুলের মালা প্রদান করে। আমার মনে হয় আম জনতা, সে সম্পর্কিত যত ক্ষোভ সব ঐ ক্ষুধে চোরদের উপর ঝাড়ে।

এটা একান্তই আমার ব্যক্তিগত অনুভুতি। তবে হুজুগে পড়ে এই ধরনের কাজ করা খুবই অমানবিক। জানিনা কবে বাংলার মানুষ এই হুজুগটা ছাড়তে পারবে । ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.