আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কমিউনিস্ট জোক্স কালেকশান ৪ ( উৎসর্গঃ কালাহনুর গোত্রভুক্ত মহান কমিউনিস্ট বিপ্লবীদের )

এবার রাবিনোভিচ পর্বঃ ১। একদিন অস্ফূটে বলেই ফেলল রাবিনোভিচ : -- শালার অভিশপ্ত জীবন সাদা পোশাকে কেজিবির লোক ছিল আশেপাশেই । খপ করে ধরল এবং বলল : -- চলুন আপনাকে যেতে হবে আমার সঙ্গে । ভয়ে ফ্যাকাশে হয়ে গিয়ে তোতলাতে তোতলাতে রাবিনোভিচ বলে : -- আমি তো খারাপ কিছু বলিনি । বলছিলাম পশ্চিমি পুঁজিবাদী দেশগুলোর অভিশপ্ত জীবনের কথা ।

-- আপনি বললেন আর আমি বিশ্বাস করলাম, এতটাই নিরেট নই আমি ? অভিশপ্ত জীবন কোথায়, তা ভালো করেই জানা আছে আমাদের । চলুন আমার সঙ্গে । ২। রাবিনোভিচকে প্রশ্ন করা হল: -- জাতি হিসাবে ইহুদিরা এত আশাবাদী কেন ? -- ইতিহাস আমাদের বাধ্য করেছে আশাবাদী হতে । -- কি রকম ? -- যেমন ধরুন, মিশরের ফারাওরা যখন ছিল, ইহুদিরাও তখন ছিল ।

আজ ফারাওরা নেই । কিন্তু ইহুদিরা আছে । ছিল প্রাচীন গ্রীকরা, তখন ইহুদিরাও ছিল । প্রাচীন গ্রিকরা আজ নেই, কিন্তু ইহুদিরা আছে । ছিল রাশিয়ার জার, ছিল ইহুদিরা ।

আজ জার নেই, কিন্তু ইহুদিরা আছে । স্তালিন ছিল, ইহুদিরা ছিল । স্তালিন নেই, ইহুদিরা আছে । নাসের ছিল, ইহুদিরা ছিল । নাসের নেই, ইহুদিরা আছে ।

এখন আছে কমিউনিস্টরা, আছে ইহুদিরা । -- আপনি কি কিছু ইঙ্গিত করতে চাইছেন ? -- মোটেও না । আমি শুধু বলতে চাই, আমরা ফাইনালে উঠেছি । ৩। কেজিবি অফিসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে রাবিনোভিচকে ।

-- আমাদের কাছে খবর এসেছে, আপনি হিব্রু ভাষা শিখছেন । তার মানে ইজরায়েল যাওয়ার প্ল্যান আছে আপনার । -- মোটেও না । আমি ধর্মীয় গ্রন্থে পড়েছি, স্বর্গে হিব্রু ভাষায় কথা বলতে হবে ঈশ্বরের সঙ্গে । তাই হিব্রু ভাষাটা শিখে রাখছি ।

-- মৃত্যুর পর আপনি স্বর্গে যাবেন, এই ধারনা আপনার হল কোথা থেকে ? -- তা নিশ্চিত করে বলতে পারি না ঠিকই । তবে নরকে যদি যেতেই হয়, তার জন্য রুশ ভাষাটা তো শেখাই আছে ! ৪। রাবিনোভিচ মারা যাওয়ার পর তাকে নরকে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হল । যমদূতদের কাছে সে তীব্র প্রতিবাদ জানাল । বলল : -- সোভিয়েত দেশে এত বছর কাটানোর পরেও কি আমার স্বর্গে যাওয়ার সৌভাগ্য হতে পারে না ? -- যে জীবন তুমি সোভিয়েত দেশে কাটিয়ে এসেছো, হে রাবিনোভিচ, যমদূত বলল, তারপর নরকই তোমার কাছে মনে হবে স্বর্গের মতো ! ৫।

এক বস্তা রুবল নিয়ে গ্রাম থেকে রাবিনোভিচ এল মস্কো শহরে । শহরে পৌঁছে সে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল । পুরনো রুবলের বদলে নতুন রুবল কোথায় দিচ্ছে, তার হদিশ অনেক জিজ্ঞাসা করেও কারও কাছ থেকে পেল না । ঘাড়ে ওই ভারি বস্তা নিয়ে এদিক ওদিক ছোটাছুটি করাও সম্ভব হচ্ছে না । তাই সে ফুটপাতে তার বস্তাটা রেখে নিজেই খোঁজ নিতে গেল কোথায় মুদ্রা বদলের কাউন্টার খোলা হয়েছে ।

সব জেনে ফিরে এসে দেখে তার রুবলগুলি সব ফুটপাতে গড়াগড়ি যাচ্ছে, আর বস্তাটা হাওয়া ! ৬। কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য নেওয়া হচ্ছে । তার জন্য চলছে ইন্টারভিউ । এমনই এক সাক্ষাৎকারে রাবিনোভিচের কথার বিবরন: প্রশ্ন : তোমার মা কে ? উত্তর : সোভিয়েত ইউনিয়ন । প্রশ্ন : তোমার বাবা কে ? উত্তর : আমাদের মহান নেতা কমরেড স্তালিন ।

প্রশ্ন : তোমার সবচেয়ে কাঙ্খিত স্বপ্ন কী ? উত্তর : অচিরেই পুরোপুরি অনাথ হয়ে যাওয়া । (!) ৭। রাবিনোভিচ নতুন গায়ক। স্টেজে গান গাইতে ওঠার আগেই নিশ্চিত ছিল, নিজের সাফল্য সম্পর্কে । সে ভেবে রেখেছিল : প্রথম গানের পর যদি হাততালি না পড়ে তাহলে লেনিনের উপর গান গাইব ।

তারপরেও যদি হাততালি না দেয় শ্রোতারা, তাহলে গাইব স্তালিনের উপর গান । দেখব, তখন হাততালি না দিয়ে তারা যায় কোথায়.... কোথায় আবার ? কেজিবির দপ্তরে ! ৮। রাবিনোভিচদের যৌথ খামারে জুতোর সরবরাহ এসেছে মাত্র একজোড়া । সেই জুতো জোড়া কাকে দেওয়া হবে তা নিয়ে মিটিং চলছে । অনেকে দীর্ঘ বক্তৃতা দিলেন ।

সবার শেষে উঠলেন যৌথ খামারের ডিরেক্টর । তিনি বললেন : আমি প্রস্তাব করছি, জুতোজোড়া আমাকে দিয়ে দেওয়া হোক । এই প্রস্তাবের পক্ষে যারা, তাঁরা চুপ করে বসে থাকুন । আর সোভিয়েত শাসনব্যবস্থার বিপক্ষে যাঁরা, তাঁরা হাত তুলুন ! ৯। রাবিনোভিচের ছেলে প্রশ্ন করছে বাবাকে : -- বাবা এখন কি দেশে কমিউনিজম ? না কি, অবস্থা আরও খারাপ হবে আগের পর্ব দেখতে পারেনঃ কমিউনিস্ট জোক্স কালেকশান ৩ কমিউনিস্ট জোক্স কালেকশান ২ কমিউনিস্ট জোক্স কালেকশান ১ ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.