আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কমিউনিস্ট জোকস্ ৫



স্থানীয় সংবাদপত্রের এক সম্পাদক তাঁর সম্পাদকীয়তে মন্তব্য করেছিলেন, সুপ্রিম সোভিয়েতের নেতারা বদ্ধ পাগল । স্তালিনের হুকুমে কেজিবির লোকেরা সম্পাদককে ধরে নিয়ে যায় এবং অবিলম্বে তাঁর মৃত্যুদন্ড কার্যকর হয়েছিল । আমেরিকায় বেড়াতে গিয়ে এক সোভিয়েত নাগরিক তাঁর মার্কিন বন্ধুকে এই কাহিনীটি বলেছিলেন । তাজ্জব হয়ে মার্কিন বন্ধু বললেন : -- এ তো ভয়ঙ্কর ব্যাপার ! এত তুচ্ছ কারনে মৃত্যুদন্ড ? সোভিয়েত দেশের মানুষটি উত্তেজিত হয়ে বললেন : -- তুচ্ছ কারন বলছেন এটাকে ? জানেন ওই সম্পাদক আসলে রাষ্ট্রের গুপ্তকথা ফাঁস করে দিয়েছিলেন । স্টেট সিক্রেট ফাঁসের এই অভিনব আখ্যান শুনে মার্কিন বন্ধু গভীর দুঃখের সাথে মাথা নেড়ে বলেছিলেন : -- যাই বলুন, আমাদের দেশে সকলেরই সব কিছু বলার স্বাধীনতা আছে ।

নিজস্ব মত প্রকাশের অধিকার এতটুকু খর্ব করা হয় নি আমেরিকায় । ইচ্ছে করলেই আমি হোয়াইট হাউসের সামনে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলতে পারি - আইজেন হাওয়ার নিপাত যাক । সোভিয়েত নাগরিক অবাক হয়ে বললেন : এতে এত গর্ব করার কি আছে ? আমিও তো যখন তখন মস্কোর রেড স্কোয়ারে দাঁড়িয়ে বলতে পারি - আইজেন হাওয়ার নিপাত যাক । পোল্যান্ডের সঙ্গে সোভিয়েত ইউনিয়নের ব্যবসা বাণিজ্যের তখন রমরমা । পোল্যান্ডের মানুষ কী চোখে দেখতেন এই বাণিজ্যকে ? তাঁরা মজা করে বলতেন : -- আমরা সোভিয়েত ইউনিয়নে কয়লা রপ্তানি করি, তার বদলে তারা আমাদের কাছ থেকে ইস্পাত নিয়ে যায় ।

নৌবাহিনী গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে চেকোস্লোভাকিয়া । সোভিয়েত উপদেষ্টার কাছে এ ব্যাপারে পরামর্শ চাইতেই তিনি প্রশ্ন করলেন : -- নৌ-বাহিনীর কি দরকার আপনাদের ? আপনাদের তো সমুদ্রই নেই । -- তাতে কি ? চেক কতৃপক্ষের তুখোড় জবাব, আপনাদের দেশে আইন ও বিচার মন্ত্রনালয় কেন আছে তা নিয়ে আমরা প্রশ্ন তুলেছি কখনও ? রাজনীতি শিক্ষার ক্লাস চলছে । তরুন শিক্ষার্থীদের বোঝাচ্ছেন প্রবীন কমিউনিস্ট নেতা : -- সমাজতান্ত্রিক দেশগুলো পারস্পরিক লাভের ভিত্তিতে ব্যবসা করে বেশ লাভবান হচ্ছে । যেমন ধর,রুমানিয়া মাটি পাঠায় আমাদের ।

সেই মাটি দিয়ে খেলনা হুইসল বানিয়ে আমরা পাঠাই মঙ্গোলিয়া । সেখানকার রাখালেরা ভেড়া চড়ায় ওই হুইসল বাজিয়ে । -- তারপর মঙ্গোলিয়া কি আমাদের ভেড়ার মাংস আর চামড়া পাঠায় ? -- না, মাংস তারা নিজের খায়, আর চামড়া পাঠায় বুলগেরিয়ায় । সেই চামড়া দিয়ে বুলগেরিয়া বানায় গরম কোট । -- ওই কোটগুলো বুলগেরিয়া নিশ্চই আমাদের পাঠায় ? -- না, রুমানিয়ায় পাঠায় ।

-- আর রুমানিয়া থেকে আমরা কি পাই ? -- ওই যে, শুরুতে বললাম, মাটি ! মস্কোর কাছে এস্তোনিয়ার আকুল আবেদন : -- আমাদের অন্তত পাঁচ মিনিটের জন্য স্বাধীনতা দেওয়া হোক । সোভিয়েত কমিউনিস্ট পার্টিতে এ নিয়ে বিস্তর আলোচনা হল । প্রেসিডেন্ট গর্বাচভ সবাইকে বোঝালেন পাঁচ মিনিটের স্বাধীনতায় ওরা কি আর করতে পারবে ? দেওয়াই হোক পাঁচ মিনিটের স্বাধীনতা । পরদিন ্তুপ্রাভদায়্থ সংবাদ প্রকাশিত হল : গতকাল বিকেল চারটেয় এস্তোনিয়া যুদ্ধ ঘোষনা করে সুইডেনের বিরুদ্ধে এবং চারটে বেজে চার মিনিটে আত্মসমর্পন করে ।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.